পেকুয়া, (কক্সবাজার) প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের পেকুয়ায় ৪ মাসের অন্ত:স্বত্তা গৃহবধূ ও মাদ্রাসার ৭ম শ্রেণীর ছাত্রীসহ ৪ নারীকে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। স্থানীয়রা জখমীদের উদ্ধার করে পেকুয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। এদের মধ্যে ১ নারীকে মাথায় ধারালো দা দিয়ে কুপিয়ে জখম করায় তার অবস্থা আশংকাজনক।
৩ অক্টোবর (শনিবার) বিকেল ৩ টার দিকে উপজেলার টইটং ইউনিয়নের জুমপাড়া মধ্যম রিজার্ভ পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হলেন বাঁশখালী শেখেরকিলের নুরুল আবছারের স্ত্রী জন্নাতুল ফেরদৌস (৩৫), একই এলাকার কাইছারের স্ত্রী ৪ মাসের অন্ত:স্বত্তা কামরুন্নাহার (৩০), মধ্যম রিজার্ভপাড়ার আহমদ ছবির মেয়ে টইটং শফিকিয়া মাদ্রাসার ৭ম শ্রেনীর ছাত্রী ইয়াসমিন আক্তার (১২), মো: কালু মিয়ার স্ত্রী সাজেদা বেগম (৫০)।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয় সুত্র জানায়, ৮০ শতক রিজার্ভ জায়গা নিয়ে টইটং ইউনিয়নের মধ্যম রিজার্ভপাড়ার মৃত আলী হোছাইনের ছেলে নুরুল আবছার ও বাঁশখালীর শেখেরকিল ইউনিয়নের মৃত নজির আহমদের পুত্র নুরুল আবছারের মধ্যে বিরোধ চলছিল। সুত্র জানায়, ২০০৬ সালে শেখের কিলের নুরুল আবছার ৮০ শতক জায়গা মধ্যম রিজার্ভ পাড়ার নজির আহমদ থেকে ক্রয় করেন। ওই সময় থেকে খরিদ মালিক বাঁশখালীর নুরুল আবছার রক্ষনাবেক্ষনসহ জায়গা ভোগ করছিলেন।
ওই স্থানে আহমদ ছবিকে বসতবাড়িসহ জায়গাটি দেখভাল করতে খরিদ মালিক দায়িত্ব দেন। আহমদ ছবির স্ত্রী হাছিনা বেগম নুরুল আবছারের বোন। এ দিকে জায়গা জবর দখল কুমানসে মধ্যমরিজার্ভপাড়ার মৃত আলী হোছাইনের পুত্র নুরুল আবছার গভীর রাতে জায়গায় অনুপ্রবেশ করে। শুক্রবার দিবাগত রাতে একটি কুঁড়েঘর নির্মাণ করে। পরের দিন শনিবার জায়গার মালিক বিষয়টি জেনে যান। এর সুত্র ধরে ওই দিন বিকেল ৩ টার দিকে জবর দখলকারী নুরুল আবছার তার ছেলে রুবেলসহ ৫/৬ জনের দুবৃর্ত্তরা ধারালো দা ও লোহার রড দিয়ে স্কুল ছাত্রীসহ ৪ জনকে কুপিয়ে জখম করে। আহমদ ছবির স্ত্রী হাছিনা বেগম জানান, রাতে অস্ত্রধারী এনে আমার ভাইয়ের জায়গায় কুঁড়েঘর তৈরী করে। এর আগেও তারা একাধিকবার দখল প্রচেষ্টা চালায়।
২০১৫ সালের ১৭ জুন নুরুল আবছার গং হামলা করেছিল। সে সময় আমি ও আমার মেয়ে রুবি আক্তারকে গাছের সাথে বেঁধে নিষ্টুর নির্যাতন চালায়। সে সময় সংবাদপত্রে এর সচিত্র প্রতিবেদন ছাপানো হয়েছিল। জায়গার ভোগ দখলদার বাঁশখালীর নুরুল আবছার জানান, অস্ত্র স্বস্ত্র নিয়ে রাতে এসে জায়গা জবর দখলের পায়তারা চালায়। ভাড়াটে লোকজন ভীতি ছড়িয়ে একটি কুড়েঘরও নির্মাণ করে। খবর পেয়ে আমার স্ত্রী, ৩ বোন, ভাগিনী এসে দেখছিল।
এ সময় নুরুল আবছার, তার ছেলে রুবেলসহ ৫/৬ জন মিলে কুপিয়ে জখম করে। অপরদিকে মধ্যম রিজার্ভপাড়ার নুরুল আবছারের পুত্র রুবেল জানান, এ জায়গা আমাদের। আমার দাদার অংশ কাউকে না জানিয়ে দাদার এক ভাই বাঁশখালীর নুরুল আবছারকে বিক্রি করে দিয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের রায় আছে আমাদের পক্ষে। পেকুয়া থানার ওসি সাইফুর রহমান মজুমদার জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।