অনলাইন ডেস্কঃ
বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট নিম্নচাপের কারণে দেশজুড়ে চলা বৃষ্টিপাত শনিবার পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। এ সময়ের মধ্যে রাজধানী ঢাকাসহ দেশের কোথাও কোথাও ভারী থেকে অতিভারী বর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। রোদের দেখা মিলবে রবিবার নাগাদ।
শুক্রবার দুপুরে আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, আজ সন্ধ্যার মধ্যে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপটি পশ্চিমবঙ্গ-খুলনা উপকূল অতিক্রম করতে পারে। এর ফলে শুক্রবার সারাদিন এবং শনিবার দুপুর পর্যন্ত রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বৃষ্টি ও ঝড়ো বাতাস অব্যাহত থাকতে পারে। একই সঙ্গে বৃষ্টি ঝরিয়ে নিম্নচাপটি দুর্বল হতে থাকায় সমুদ্রবন্দরে চার নম্বর সংকেত নামিয়ে তিন নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।
সাগরে নিম্নচাপের কারণে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে ভারী বৃষ্টি হয়েছে। রাজধানী ঢাকাসহ মধ্যাঞ্চলীয় জেলাগুলোতেও ভারী থেকে মাঝারি বৃষ্টিপাত হয়েছে। শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে দুপুর পর্যন্ত ঢাকায় ২৮ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। একই সময়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে বরিশালে; ১১৬ মিলিমিটার। একই সময়ে সবচেয়ে বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলায় ১৮৯ মিলিমিটার। এছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় কক্সবাজারে ১১৯, চট্টগ্রামে ১৪২, কুতুবদিয়ায় ১৬৬, সন্দীপে ১১০, সীতাকুণ্ডে ১১৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। গত ২৪ ঘণ্টায় সবচেয়ে কম বৃষ্টিপাত হয়েছে সিলেট বিভাগে মাত্র ১১ মিলিমিটার।
দিনভর বৃষ্টির প্রভাবে রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি পর্যন্ত কমতে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদ আবহাওয়াবিদ আবদুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘আজ রাতের তাপমাত্রা এক থেকে দুই ডিগ্রি কমতে পারে। এখন থেকে রাতের তাপমাত্রা ক্রমাগতভাবে কমতে থাকবে।‘
এদিকে বিবিসির আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ঢাকাসহ বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলীয় জেলাগুলোতে শুক্রবার সারাদিন বৃষ্টির সম্ভাবনা প্রবল এবং শনিবার মেঘলা আবহাওয়া ও বাতাস থাকলেও ভারী বৃষ্টির সম্ভবনা অপেক্ষাকৃত কম।
বিবিসি ওয়েদার বলছে, উত্তর ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলের জেলাগুলোতে শুক্রবার বিকালের পর থেকেই বৃষ্টি কমে আসতে পারে এবং শনিবার সেসব এলাকায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করতে পারে।
এদিকে টানা বৃষ্টির কারণে বন্দর নগরী চট্টগ্রাম পানির নিচে ডুবেছে। মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে নগরীর নিম্নাঞ্চলে হাঁটু পানি জমেছে। ভারী বর্ষণের ফলে চট্টগ্রামে দেখা দিয়েছে পাহাড় ধসের আশঙ্কা। নগরীতে ভূমি ধসের শঙ্কা তৈরি হওয়ায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে পাহাড়ের ঢালুতে ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় বসবাসকারীদের অবিলম্বে সরে যেতে মাইকিং করা হচ্ছে। এ জন্য চট্টগ্রাম নগরীতে খোলা হয়েছে ১৫টি আশ্রয়কেন্দ্র।