নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নে মো. রাশেদ (৩২) নামে এক ব্যবসায়ীকে তার অফিস থেকে তুলে নিয়ে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। তার পরিবারের অভিযোগ স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেলের নেতৃত্বে এ হত্যার ঘটনা ঘটেছে। এঘটনায় ৪জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার রাত সোয়া ১০টার দিকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে রাশেদের মৃত্যু হয়। নিহত রাশেদ উপজেলার চরএলাহি ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড গাংচিল গ্রামের আবুল হাসেম প্রকাশ বাদী হাসেমের ছেলে। আটককৃতরা হলো, ইমাম হোসেন (৫২), নোমান (২৪), ইউনুছ (৩২), মোঃ মুনির (৩০)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, রাশেদের মাটি কাটার মেশিন, টাক্ট্রর ও সিএনজি ব্যবসা ছিল। শুক্রবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে কিল্লার বাজারের নিজ অফিসে বসে হিসাব-নিকাশ করছিল রাশেদ। এসময় কয়েকজন দূর্বৃত্ত এসে রাশেদের উপর হামলা করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে হাসেম বাজারে নিয়ে যায়। হাসেম বাজারে নিয়ে প্রথমে ইকবাল নেতা রুমে আটক করে রাশেদকে মারধর করে। পরে ওই বাজারের সন্ত্রাসীরা রাশেদকে এলাপাতাড়ি পিটিয়ে তার হাত-পায়ের রগ কেটে দিয়ে ফেলে যায়। এলাকায় আধিপত্য নিয়ে রাশেদের ভাই দেলোয়ারের সাথে স্থানীয় ইউপি সদস্য মোজাম্মেল মেম্বারের সাথে বিরোধ রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস ও ভাই দেলোয়ার হোসেন অভিযোগ করে বলেন, মোজাম্মেল মেম্বারের নেতৃত্বে স্থানীয় সন্ত্রাসী ইকবাল, মেহরাজ ও বেচু মাঝিসহ অন্তত ২৫-৩০ জন সন্ত্রাসী কিল্লার বাজার থেকে রাশেদকে তুলে নিয়ে যায়। পরে তারা হাসেম বাজারে নিয়ে প্রকাশ্যে রাশেদকে পিটিয়ে জখম করে ফেলে যায়। মমূর্ষ অবস্থায় রাশেদকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আরিফুর রহমান জানান, রাশেদ হত্যার ঘটনায় তার স্ত্রী জান্নাতুল ফেরদাউস বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এঘটনায় পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৪জনকে আটক করেছে। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রয়েছে। মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।