নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবসে নোয়াখালীর চাটখিলে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দেওয়াকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও পুষ্পস্তবক ভাঙচুরের ঘটনায় কেন্দ্র থেকে উপজেলা ছাত্রলীগের সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হয়েছে।
বুধবার দুপুরে বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সভাপতি আল নাহিয়ান খান জয় ও সাধারণ সম্পাদক লেখক ভট্টাচার্য স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, গত ২৯জুলাই নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগ কর্তৃক ঘোষিত চাটখিল উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটির বিরুদ্ধে অভিযোগের ভিত্তিতে আজ থেকে তাদের সাংগঠনিক সকল কার্যক্রম স্থগিত করা হলো। একই সাথে আগামী ৩কার্যদিবসের মধ্যে এ বিষয়ে লিখিত জবাব দিতে জেলা কমিটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আসাদুজ্জামান আরমান জানান, গত ২৯ জুলাই চাটখিলে ১০সদস্য বিশিষ্ট উপজেলা ছাত্রলীগের কমিটি দেওয়া হয়। তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগটি তদন্ত করে আগামী ৩দিনের মধ্যে আমরা কেন্দ্রে লিখিত পাঠাবো।
প্রসঙ্গত, গত ১৫ আগস্ট সকালে শোক দিবস উপলক্ষে চাটখিল উপজেলা পরিষদ চত্বরে স্থাপিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানাতে নেতাকর্মীদের নিয়ে আসেন চাটখিল পৌরসভা আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান লিটন ও উপজেলা যুবলীগের আহবায়ক বেলায়েত হোসেন। উপজেলা আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে পুষ্পস্তবক অর্পণের সময় মাইকে যুবলীগের সভাপতির নাম না বলাকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয় এবং দু’পক্ষের মধ্যে হাতাহাতি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এসময় তারা একে অন্যকে লক্ষ্য করে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং পুষ্পমাল্য, পুষ্পস্তবক ভেঙে ও ছিঁড়ে ফেলে।
এ ঘটনায় বঙ্গবন্ধুকে অবামাননা হয়েছে অভিযোগ এনে গত সোমবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জেলা, উপজেলা, পৌরসভা ও কলেজ ছাত্রলীগের ব্যানারে চাটখিলে বাজারে এ সংবাদ সম্মেলন করে ছাত্রলীগের একাংশ। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন, জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি তানভীর আহমেদ চৌধুরী আকাশ।