দিনমজুরকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

হাতিয়া প্রতিনিধি:
  • আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫ ১২০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে চুরির অভিযোগে মোহাম্মদ জাফর (১৮) নামে এক কিশোর দিনমজুরকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

আরো পড়ুন: দিনমজুরকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, একই দিন সকালে উপজেলার প্রকল্প বাজার এলাকার প্রধান সড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জাফর উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের প্রকল্প বাজার এলাকার মোহাম্মদ জাকের হোসেনের ছেলে।

আরো পড়ুন: এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা, মারধরে আরেকজনের মৃত্যু

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, গত ১০-১২দিন আগে বিএনপি নেতা সোহেলের বাড়িতে কাজ করেন জাফর। গত ৫দিন আগে বাড়ির মালিককে না জানিয়ে সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার সময় তাদের আলমারির চাবি, মোবাইল চার্জার ও নগদ ১১শত টাকা নিয়ে যান। এ ঘটনার জেরধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় আলী বাজার এলাকা থেকে জাফরকে ধরে মোটরসাইকেলে করে প্রকল্প বাজারে নিয়ে আসেন সোহেল মাহমুদ। সেখানে জাফরের বাবাকেও ডাকা হয়। একপর্যায়ে তার বাবা চলে যায়। পরে জাফরকে আটকে রেখে নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪জন দগ্ধ

তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে অভিযুক্ত চানন্দি ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি সোহেল মাহমুদ বলেন, স্থানীয় এনসিপির কয়েকজন নেতার সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরধরে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে তারা। জাফরের বাবাকে খবর দিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে সেখানে তার বাবা ছেলেকে রেখে চলে যান। পরে জাফরকেও তার বাবাকে নিয়ে আসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কী হয়েছে, আমি জানি না। সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনেছি।

আরো পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু

হাতিয়ার মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লেয়াকত আলী বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটিকে হত্যাকান্ড মনে হচ্ছে। শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। তবে ফাঁস দিয়ে মরলে রশির দাগ হবে চন্দ্রা আকৃতির। কিন্তু এই রশির দাগটা গোলাকার।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

দিনমজুরকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৭:৪৫:২২ অপরাহ্ন, শনিবার, ৪ অক্টোবর ২০২৫

নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে চুরির অভিযোগে মোহাম্মদ জাফর (১৮) নামে এক কিশোর দিনমজুরকে হত্যা করে গাছে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।

আরো পড়ুন: দিনমজুরকে হত্যা করে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ

শনিবার (৪ অক্টোবর) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, একই দিন সকালে উপজেলার প্রকল্প বাজার এলাকার প্রধান সড়কের পাশ থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়। নিহত জাফর উপজেলার চানন্দি ইউনিয়নের প্রকল্প বাজার এলাকার মোহাম্মদ জাকের হোসেনের ছেলে।

আরো পড়ুন: এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, কিশোরকে কুপিয়ে হত্যা, মারধরে আরেকজনের মৃত্যু

নিহতের স্বজনদের অভিযোগ, গত ১০-১২দিন আগে বিএনপি নেতা সোহেলের বাড়িতে কাজ করেন জাফর। গত ৫দিন আগে বাড়ির মালিককে না জানিয়ে সেখান থেকে চলে যান। যাওয়ার সময় তাদের আলমারির চাবি, মোবাইল চার্জার ও নগদ ১১শত টাকা নিয়ে যান। এ ঘটনার জেরধরে গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে স্থানীয় আলী বাজার এলাকা থেকে জাফরকে ধরে মোটরসাইকেলে করে প্রকল্প বাজারে নিয়ে আসেন সোহেল মাহমুদ। সেখানে জাফরের বাবাকেও ডাকা হয়। একপর্যায়ে তার বাবা চলে যায়। পরে জাফরকে আটকে রেখে নির্যাতন করে তার ছেলেকে হত্যা করে ঝুলিয়ে দেওয়া হয়।

আরো পড়ুন: গ্যাস লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে একই পরিবারের ৪জন দগ্ধ

তবে অভিযোগ নাকচ করে দিয়ে অভিযুক্ত চানন্দি ইউনিয়ন পশ্চিম শাখা বিএনপির সভাপতি সোহেল মাহমুদ বলেন, স্থানীয় এনসিপির কয়েকজন নেতার সাথে আমার বিরোধ রয়েছে। ওই বিরোধের জেরধরে আমাকে রাজনৈতিক ভাবে ঘায়েল করার চেষ্টা করছে তারা। জাফরের বাবাকে খবর দিয়ে আনা হয়। পরবর্তীতে সেখানে তার বাবা ছেলেকে রেখে চলে যান। পরে জাফরকেও তার বাবাকে নিয়ে আসার জন্য ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর কী হয়েছে, আমি জানি না। সকালে তার মৃত্যুর খবর শুনেছি।

আরো পড়ুন: বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ফ্রিজ মিস্ত্রির মৃত্যু

হাতিয়ার মোর্শেদ বাজার তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. লেয়াকত আলী বলেন, প্রাথমিক ভাবে এটিকে হত্যাকান্ড মনে হচ্ছে। শরীরে কোন আঘাতের চিহৃ নেই। তবে ফাঁস দিয়ে মরলে রশির দাগ হবে চন্দ্রা আকৃতির। কিন্তু এই রশির দাগটা গোলাকার।