ঢাকা ০৫:৫৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সুবর্ণচরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ, নারীসহ আহত ৩ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আবদুল হক, সম্পাদক পলাশ সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা, আহত-৫ কারাগারের দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও বেগমগঞ্জে সম্পত্তির জন্য মা বোনকে মারধর, বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ গাছের ঢাল কাটা নিয়ে ঝগড়া, প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা তাহজ্জত নামাজ পড়তে উঠে ছুরিকাঘাতে খুন হয় বৃদ্ধা নারী এক বাহারের শূন্যতায় বিপণন ব্যাহত ঘটছে সংবাদপত্রের সুধারামে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার বিএডিসির গুদামরক্ষক যুবলীগ নেতা

না ফেরার দেশে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০ ৭৪৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডেস্ক রিপোর্ট::

 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আর নেই। থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। চিরকুমারী সাহারা খাতুনের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

তার ব্যক্তিগত সহকারী মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঢাকা-১৮ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত সোমবার অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় গত ২ জুন সাহারা খাতুন ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।এরপর গত ৬ জুলাই (সোমবার) সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ এবং মায়েন নাম টুরজান নেসা।

সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সাহারা খাতুন তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় আসলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

না ফেরার দেশে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন

আপডেট সময় : ১১:০৩:৩৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১০ জুলাই ২০২০

ডেস্ক রিপোর্ট::

 

সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন আর নেই। থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন। চিরকুমারী সাহারা খাতুনের বয়স হয়েছিল ৭৭ বছর।

তার ব্যক্তিগত সহকারী মজিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

দেশের প্রথম নারী স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন ঢাকা-১৮ আসনে সংসদ সদস্য ছিলেন। সাহারা খাতুনের মৃত্যুতে শোক জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

গত সোমবার অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। জ্বর, অ্যালার্জিসহ বার্ধক্যজনিত বিভিন্ন রোগে অসুস্থ অবস্থায় গত ২ জুন সাহারা খাতুন ঢাকার ইউনাইটেড হাসপাতালে ভর্তি হন। পরে তার অবস্থার অবনতি হলে ১৯ জুন সকালে তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।

এরপর অবস্থার উন্নতি হলে তাকে ২২ জুন দুপুরে আইসিইউ থেকে এইচডিইউতে (হাই ডিপেন্ডেন্সি ইউনিট) স্থানান্তর করা হয়। পরে ২৬ জুন সকালে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবারও তাকে আইসিইউতে নেয়া হয়।এরপর গত ৬ জুলাই (সোমবার) সাহারা খাতুনকে থাইল্যান্ডের বামরুনগ্রাদ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।

১৯৪৩ সালের ১ মার্চ ঢাকার কুর্মিটোলায় জন্মগ্রহণ করেন সাহারা খাতুন। তার বাবার নাম আব্দুল আজিজ এবং মায়েন নাম টুরজান নেসা।

সাহারা খাতুন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টে একজন আইনজীবী হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। ঢাকা-১৮ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়ে সাহারা খাতুন তিনবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

২০০৮ সালে মহাজোট ক্ষমতায় আসলে প্রথমে তাকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হয়। পরে সেখান থেকে সরিয়ে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ের।