ঢাকা ০৮:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হজ্জযাত্রা উপলক্ষে সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা সাড়ে তিন বছর পর জামায়াত নেতা হলেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত মাটি নিয়ে দ্বন্দ্ব: যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২ সুবর্ণচরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ, নারীসহ আহত ৩ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আবদুল হক, সম্পাদক পলাশ সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা, আহত-৫ কারাগারের দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও বেগমগঞ্জে সম্পত্তির জন্য মা বোনকে মারধর, বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ গাছের ঢাল কাটা নিয়ে ঝগড়া, প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা তাহজ্জত নামাজ পড়তে উঠে ছুরিকাঘাতে খুন হয় বৃদ্ধা নারী

প্রতারকের খপ্পরে খোয়া গেল মাদ্রাসার টাকা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০২:১৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১ ৩৭৩৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নে মোবাইলে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে মাদ্রাসার অনুদানের ৬২’হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে। ঘটনায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল কালাম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

রোববার সকালে প্রতারণার স্বীকার মাওলানা আবুল কালাম এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি নেয়াজপুর ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামে নেয়ামতপুর নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা নামের একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। গত ৩জানুয়ারি রোববার তার ব্যবহৃত মোবাইলে লন্ডন প্রবাসী খালাতো ভাই মাবুল হক পরিচয়ে একটি কল আসে। উনার ব্যাংকে কোন একাউন্ট আছে কি না, থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে বলে খালাতো ভাই পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি। এর কিছুক্ষণ পর তার ব্যবহৃত মোবাইলে ৮লাখ ৫০হাজার টাকার একটি মেসেজ আসে। ওই ব্যক্তি পুনঃরায় কল দিয়ে বলে আপনার মাদ্রাসার জন্য অনুদান পাঠিয়েছি, পিন নাম্বার দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকাগুলো তুলে আমার এক বন্ধুর মা অসুস্থ্য তার বিকাশে ওই টাকা থেকে ১লাখ এখন পাঠিয়ে দিবেন।

 

তিনি আরও জানান, ওইদিন ব্যাংকের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি টাকা তুলতে পারেন নি। ওই ব্যক্তি বার বার কল দিয়ে ১লাখ টাকা বিকাশ করতে অনুরোধ করায় মাদ্রাসার অনুদানের ফান্ডে থাকা ৬২হাজার টাকা তিনি বিকাশের মাধ্যমে প্রতারকের নাম্বারে পাঠিয়ে দেন। পরদিন সোমবার সকালে লন্ডনে থাকা নিজের খালাতো ভাইকে কল দিয়ে জানতে পারেন তার সাথে কোন কথা বা টাকাও পাঠাতে বলেন নি তিনি। ঘটনাটি প্রতারণা বুঝতে পেরে গত ৭জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সুধারাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আবুল কালাম।

 

সুধারাম মডেল থানার এসআই সুধন চন্দ্র দাস জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর প্রতারক চক্রটির সদস্যদের ধরতে আমরা কাজ করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

প্রতারকের খপ্পরে খোয়া গেল মাদ্রাসার টাকা

আপডেট সময় : ০২:১৫:১১ অপরাহ্ন, রবিবার, ১০ জানুয়ারী ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর সদর উপজেলার নেয়াজপুর ইউনিয়নে মোবাইলে প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়ে মাদ্রাসার অনুদানের ৬২’হাজার টাকা খোয়া গিয়েছে। ঘটনায় মাদ্রাসার প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আবুল কালাম বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।

 

রোববার সকালে প্রতারণার স্বীকার মাওলানা আবুল কালাম এ প্রতিবেদককে জানান, তিনি নেয়াজপুর ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামে নেয়ামতপুর নূরানী হাফিজিয়া মাদ্রাসা নামের একটি মাদ্রাসা পরিচালনা করেন। গত ৩জানুয়ারি রোববার তার ব্যবহৃত মোবাইলে লন্ডন প্রবাসী খালাতো ভাই মাবুল হক পরিচয়ে একটি কল আসে। উনার ব্যাংকে কোন একাউন্ট আছে কি না, থাকলে জাতীয় পরিচয়পত্র দিতে বলে খালাতো ভাই পরিচয়দানকারী ওই ব্যক্তি। এর কিছুক্ষণ পর তার ব্যবহৃত মোবাইলে ৮লাখ ৫০হাজার টাকার একটি মেসেজ আসে। ওই ব্যক্তি পুনঃরায় কল দিয়ে বলে আপনার মাদ্রাসার জন্য অনুদান পাঠিয়েছি, পিন নাম্বার দেখিয়ে ব্যাংক থেকে টাকাগুলো তুলে আমার এক বন্ধুর মা অসুস্থ্য তার বিকাশে ওই টাকা থেকে ১লাখ এখন পাঠিয়ে দিবেন।

 

তিনি আরও জানান, ওইদিন ব্যাংকের সময় শেষ হয়ে যাওয়ায় তিনি টাকা তুলতে পারেন নি। ওই ব্যক্তি বার বার কল দিয়ে ১লাখ টাকা বিকাশ করতে অনুরোধ করায় মাদ্রাসার অনুদানের ফান্ডে থাকা ৬২হাজার টাকা তিনি বিকাশের মাধ্যমে প্রতারকের নাম্বারে পাঠিয়ে দেন। পরদিন সোমবার সকালে লন্ডনে থাকা নিজের খালাতো ভাইকে কল দিয়ে জানতে পারেন তার সাথে কোন কথা বা টাকাও পাঠাতে বলেন নি তিনি। ঘটনাটি প্রতারণা বুঝতে পেরে গত ৭জানুয়ারি বৃহস্পতিবার সুধারাম থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন আবুল কালাম।

 

সুধারাম মডেল থানার এসআই সুধন চন্দ্র দাস জানান, অভিযোগ পাওয়ার পর প্রতারক চক্রটির সদস্যদের ধরতে আমরা কাজ করছি।