ঢাকা ০৫:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
সুবর্ণচরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ, নারীসহ আহত ৩ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আবদুল হক, সম্পাদক পলাশ সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা, আহত-৫ কারাগারের দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও বেগমগঞ্জে সম্পত্তির জন্য মা বোনকে মারধর, বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ গাছের ঢাল কাটা নিয়ে ঝগড়া, প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা তাহজ্জত নামাজ পড়তে উঠে ছুরিকাঘাতে খুন হয় বৃদ্ধা নারী এক বাহারের শূন্যতায় বিপণন ব্যাহত ঘটছে সংবাদপত্রের সুধারামে মাদরাসা ছাত্রকে হত্যার অভিযোগ বিস্ফোরক মামলায় গ্রেফতার বিএডিসির গুদামরক্ষক যুবলীগ নেতা

সর্বাত্মক লকডাউন উপেক্ষা করে আ.লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মিছিল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৩:২৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ ৭৭৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ কমিটি অনুসারী ও কাদের মির্জার অনুসারীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় সর্বাত্মক লকডাউন উপেক্ষা করে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।

দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মিছিলের ঘটনায় উপজেলার সচেতন মহলে ব্যাপক বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসির ব্যর্থতাকে দুষছেন তারা।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুজ্জামান স্বপনের ওপর হামলার প্রতিবাদে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে উপজেলা আ.লীগ কমিটি অনুসারীরা।

উপজেলা আ.লীগ কমিটির অনুসারীরা উপজেলার চরককাঁকড়া ইউনিয়নের রাস্তার মাথা বাজারে, চর ফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে, চরপার্বতী ইউনিয়নের চৌধরী হাট বাজারে, চরএলাহী ইউনিয়নের চর এলাহী বাজারে, রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কাদের মির্জার নির্দেশে আ.লীগ নেতাদের ওপর হামলার বিচার দাবি করে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তার শাস্তি দাবি করেন।


ওই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি, চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশ্রাফ হোসেন রভেন্স, সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নুরে এ মাওলা রাজু প্রমূখ।

অপরদিকে, উপজেলা আ.লীগ কমিটির অনুসারীদের মিছিলের কাউন্টারে বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে কাদের মির্জা অনুসারীরা পাল্টা মিছিল করে। রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার পক্ষে বসুরহাট পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডে, সিরাজপুর ইউনিয়নে, বটতলা পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডে মিকন, হাশেম, রাজুর নেতৃত্বে, উপজেলা আ.লীগ কমিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, হঠাৎ করে দুই পক্ষের লোকজন মিছিল করে। তবে তিনি দাবি করেন, পাল্টাপাল্টি মিছিল হয়নি। দুই পক্ষ বড় দূরত্বে দুই জায়গায় মিছিল করে। বর্তমানে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীকে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং দুই পায়ে গুলি করে দেয়। এছাড়াও কাদের মির্জার অনুসারীরা একই দিন দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে উপজেলা আ.লীগের সাস্কৃতিক সম্পাদক নুরুজ্জামান স্বপনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নুরনবী চৌধুরীকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সর্বাত্মক লকডাউন উপেক্ষা করে আ.লীগের দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মিছিল

আপডেট সময় : ০৩:২৬:০৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ কমিটি অনুসারী ও কাদের মির্জার অনুসারীরা প্রশাসনের নাকের ডগায় সর্বাত্মক লকডাউন উপেক্ষা করে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সভা করেছে।

দুই গ্রুপের পাল্টাপাল্টি মিছিলের ঘটনায় উপজেলার সচেতন মহলে ব্যাপক বিরুপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে এবং উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও ওসির ব্যর্থতাকে দুষছেন তারা।

সোমবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যা ৭টা থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুর নবী চৌধুরী ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সাংস্কৃতিক সম্পাদক নুরুজ্জামান স্বপনের ওপর হামলার প্রতিবাদে উপজেলার ৫টি ইউনিয়নে এই বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করে উপজেলা আ.লীগ কমিটি অনুসারীরা।

উপজেলা আ.লীগ কমিটির অনুসারীরা উপজেলার চরককাঁকড়া ইউনিয়নের রাস্তার মাথা বাজারে, চর ফকিরা ইউনিয়নের চাপরাশিরহাট বাজারে, চরপার্বতী ইউনিয়নের চৌধরী হাট বাজারে, চরএলাহী ইউনিয়নের চর এলাহী বাজারে, রামপুর ইউনিয়নের বামনী বাজারে এ বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করে। এ সময় বিক্ষোভকারীরা কাদের মির্জার নির্দেশে আ.লীগ নেতাদের ওপর হামলার বিচার দাবি করে তাকে দ্রুত আইনের আওতায় এনে তার শাস্তি দাবি করেন।


ওই বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, চরকাঁকড়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুর রহমান আরিফ, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি জায়দল হক কচি, চাপরাশিরহাট ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি আশ্রাফ হোসেন রভেন্স, সরকারি মুজিব কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি নুরে এ মাওলা রাজু প্রমূখ।

অপরদিকে, উপজেলা আ.লীগ কমিটির অনুসারীদের মিছিলের কাউন্টারে বসুরহাট পৌরসভার বিভিন্ন স্থানে কাদের মির্জা অনুসারীরা পাল্টা মিছিল করে। রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত থেমে থেমে উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জার পক্ষে বসুরহাট পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ডে, সিরাজপুর ইউনিয়নে, বটতলা পৌরসভা ৪ নং ওয়ার্ডে মিকন, হাশেম, রাজুর নেতৃত্বে, উপজেলা আ.লীগ কমিটির সিনিয়র নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে স্লোগান দিয়ে বিক্ষোভ মিছিল করে।

এ বিষয়ে কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, হঠাৎ করে দুই পক্ষের লোকজন মিছিল করে। তবে তিনি দাবি করেন, পাল্টাপাল্টি মিছিল হয়নি। দুই পক্ষ বড় দূরত্বে দুই জায়গায় মিছিল করে। বর্তমানে পুলিশ সর্তক অবস্থানে রয়েছে।

উল্লেখ্য, এর আগে সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বসুরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক নুরনবী চৌধুরীকে মির্জা কাদেরের অনুসারীরা লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে পা ভেঙ্গে দেয় এবং দুই পায়ে গুলি করে দেয়। এছাড়াও কাদের মির্জার অনুসারীরা একই দিন দুপুর ১২টার দিকে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডে উপজেলা আ.লীগের সাস্কৃতিক সম্পাদক নুরুজ্জামান স্বপনকে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করে। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে উন্নত চিকিৎসার জন্য নুরনবী চৌধুরীকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) পাঠানো হয়।