ঢাকা ০৫:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৬ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
হজ্জযাত্রা উপলক্ষে সুবর্ণচর উপজেলা সমিতি সদস্যদের বিদায় সংবর্ধনা সাড়ে তিন বছর পর জামায়াত নেতা হলেন চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত মাটি নিয়ে দ্বন্দ্ব: যুবলীগ কর্মিকে পিটিয়ে হত্যা, আটক ২ সুবর্ণচরে সন্ত্রাসী কায়দায় বাড়ীঘরে হামলা-ভাংচুরের অভিযোগ, নারীসহ আহত ৩ জাতীয়তাবাদী আইনজীবি ফোরামের সভাপতি আবদুল হক, সম্পাদক পলাশ সাম্যবাদী আন্দোলনের নেতাকর্মিদের ওপর হামলা, আহত-৫ কারাগারের দেয়াল টপকে পালানোর চেষ্টা, ফেসবুকে ভাইরাল ভিডিও বেগমগঞ্জে সম্পত্তির জন্য মা বোনকে মারধর, বসতঘর ভাঙচুরের অভিযোগ গাছের ঢাল কাটা নিয়ে ঝগড়া, প্রতিবেশী বৃদ্ধাকে পিটিয়ে হত্যা তাহজ্জত নামাজ পড়তে উঠে ছুরিকাঘাতে খুন হয় বৃদ্ধা নারী

বেগমগঞ্জে খাদ্যে বিষক্রিয়া, এক শিশুর মৃত্যু, অসুস্থ ১৮ #ভিডিও

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১ ১৭০১৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মিশন নূর হাদি নামের ১০বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ আরও ১৮জন অসুস্থ হয়েছেন। যার মধ্যে ১৭ অসুস্থ শিশুকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তিকৃত সকলের বয়স ৯ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।

 

সোমবার রাত ৯টার দিকে একলাশপুর বাজারের দোতালা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিশন নূর হাদি ওই মাদ্রাসার নূরানী শাখার ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের এশার নামাজ শেষ করে রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসার একজন শিক্ষকসহ রাতের খাওয়ার খায় নূরানীর শাখার প্রায় ১৮জন শিশু শিক্ষার্থী। খাওয়ার শেষ পর্যায়ে এসে একজন একজন করে সবাই বমি করতে শুরু করে। একপর্যায়ে সবাই বমি করতে শুরু করলে মাদ্রাসা কৃর্তপক্ষ স্থানীয় একজন চিকিৎসকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন। পরে তিনি তাদের অবস্থা দেখে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। রাত ১১টার দিকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়।

অসুস্থদের সাথে আসা মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, নূরানীর ছাত্ররা যখন ভাত খাচ্ছিল তখন আমরা নামাজ পড়ছিলাম। তাদের চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি সবাই বমি করতেছে। গুরুর মাংশগুলো একসাথে দুপুরে রান্না করে আলাদা দুই ভাগ করে রাখা হয়েছিল। দুপুরে খাওয়ার পর কারো সমস্য হয়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, রাতে ভাতের সাথে বাচ্চাদের গরুর মাংশ দেওয়া হয়। যা দুপুরেও তারা খেয়েছিল। স্থানীয় এক মহিলা তাদের খাওয়ার গুলো রান্না করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, হাসপাতালে ১৮জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসার পর একজন মারা যায়। অন্য শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে রোগিদের সাথে আসা লোকজন জানিয়েছে। দুই শিশুর অবস্থা আংশকাজনক।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

বেগমগঞ্জে খাদ্যে বিষক্রিয়া, এক শিশুর মৃত্যু, অসুস্থ ১৮ #ভিডিও

আপডেট সময় : ০৯:০৮:২১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩ অগাস্ট ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার একলাশপুর ইউনিয়নের মদিনাতুল উলুম ইসলামিয়া মাদ্রাসা ও এতিমখানায় খাদ্যে বিষক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে মিশন নূর হাদি নামের ১০বছরের এক শিশুর মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় এক মাদ্রাসা শিক্ষকসহ আরও ১৮জন অসুস্থ হয়েছেন। যার মধ্যে ১৭ অসুস্থ শিশুকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ভর্তিকৃত সকলের বয়স ৯ থেকে ১০ বছরের মধ্যে।

 

সোমবার রাত ৯টার দিকে একলাশপুর বাজারের দোতালা মসজিদ সংলগ্ন মাদ্রাসায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত মিশন নূর হাদি ওই মাদ্রাসার নূরানী শাখার ছাত্র।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের এশার নামাজ শেষ করে রাত ৯টার দিকে মাদ্রাসার একজন শিক্ষকসহ রাতের খাওয়ার খায় নূরানীর শাখার প্রায় ১৮জন শিশু শিক্ষার্থী। খাওয়ার শেষ পর্যায়ে এসে একজন একজন করে সবাই বমি করতে শুরু করে। একপর্যায়ে সবাই বমি করতে শুরু করলে মাদ্রাসা কৃর্তপক্ষ স্থানীয় একজন চিকিৎসকে মাদ্রাসায় নিয়ে আসেন। পরে তিনি তাদের অবস্থা দেখে দ্রুত জেনারেল হাসপাতালে নেওয়ার পরামর্শ প্রদান করেন। রাত ১১টার দিকে তাদের হাসপাতালে আনা হয়।

অসুস্থদের সাথে আসা মাদ্রাসার এক শিক্ষার্থী বলেন, নূরানীর ছাত্ররা যখন ভাত খাচ্ছিল তখন আমরা নামাজ পড়ছিলাম। তাদের চিৎকার শুনে আমরা এসে দেখি সবাই বমি করতেছে। গুরুর মাংশগুলো একসাথে দুপুরে রান্না করে আলাদা দুই ভাগ করে রাখা হয়েছিল। দুপুরে খাওয়ার পর কারো সমস্য হয়নি।

স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মাদ্রাসার অধ্যক্ষ ইসমাইল হোসেনের সাথে কথা বলে তিনি জানতে পারেন, রাতে ভাতের সাথে বাচ্চাদের গরুর মাংশ দেওয়া হয়। যা দুপুরেও তারা খেয়েছিল। স্থানীয় এক মহিলা তাদের খাওয়ার গুলো রান্না করেন।

নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. সৈয়দ মহিউদ্দিন আব্দুল আজিম জানান, হাসপাতালে ১৮জন শিশু শিক্ষার্থীকে নিয়ে আসার পর একজন মারা যায়। অন্য শিশুদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়েছে। খাদ্যে বিষক্রিয়ার কারণে এ সমস্যা হয়েছে বলে রোগিদের সাথে আসা লোকজন জানিয়েছে। দুই শিশুর অবস্থা আংশকাজনক।