ঢাকা ০৩:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

আরো সাতদিন বগুড়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-মার্কেট বন্ধ থাকবে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:২৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০ ৪২০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

এনকে বার্তা ডেস্ক::

বগুড়ায় দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী সাতদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (৩০ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের এক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগামীকাল রোববার (৩১ মে) থেকে ৭ জুন পর্যন্ত শহরের সকল মার্কেটের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সম্প্রতি বগুড়ায় দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে করোনা প্রতিরোধে ব্যবসায়ীদের নেয়া এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সভায় জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, ১২ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রায়হান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উজ্জল কুমার ঘোষ, জেলা মার্কেটিং অফিসার শরিফুল ইসলাম, বগুড়া চেম্বারের সহসভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ, রাজা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজসহ শহরের সকল মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ব্যবসায়ীদের নেয়া এমন সিদ্ধান্তকে চালাকি বলে মত দিয়েছেন অনেকে। তাদের মতে, ঈদের পরে কোন ব্যবসা ভালো হয় না। ক্রেতারা আনুষ্ঠানিকতায় ঈদের এক সপ্তাহ ব্যস্ত থাকেন। এই সময়টাতে বরাবরেই মার্কেটগুলো ক্রেতা শুন্য থাকে। এই সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের বসে বসে সাপ্তাহিক বেতন দিতে হয়।

এখন করোনার কারণে মার্কেট বন্ধ করে মানুষের বাহবা নেয়ার সুক্ষ কৌশল অবলম্বন করছেন বগুড়ার ব্যবসায়ীরা। তারা মূলত গরীব কর্মচারিদের ঠকানোর জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যদি ঈদের আগে মার্কেটগুলো তারা বন্ধ রাখতো তাহলে তাদের ত্যাগ বোঝা যেতো।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

আরো সাতদিন বগুড়ার ব্যবসা প্রতিষ্ঠান-মার্কেট বন্ধ থাকবে

আপডেট সময় : ১২:২৯:৩২ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩১ মে ২০২০

এনকে বার্তা ডেস্ক::

বগুড়ায় দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় আগামী সাতদিন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও মার্কেট বন্ধের সিদ্ধান্ত নিলেন ব্যবসায়ীরা। শনিবার (৩০ মে) দুপুরে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে জেলা প্রশাসকের সঙ্গে ব্যবসায়ীদের এক সভায় এই সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়। আগামীকাল রোববার (৩১ মে) থেকে ৭ জুন পর্যন্ত শহরের সকল মার্কেটের দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখবেন বলে জানান ব্যবসায়ীরা।

সম্প্রতি বগুড়ায় দিন দিন করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত বলে জানিয়েছেন তারা। এদিকে করোনা প্রতিরোধে ব্যবসায়ীদের নেয়া এমন পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে জেলা প্রশাসন।

সভায় জেলা প্রশাসক ফয়েজ আহমদ, পুলিশ সুপার আলী আশরাফ ভূঞা, ১২ ইস্ট বেঙ্গলের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল রায়হান, জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপপরিচালক উজ্জল কুমার ঘোষ, জেলা মার্কেটিং অফিসার শরিফুল ইসলাম, বগুড়া চেম্বারের সহসভাপতি মাহফুজুল ইসলাম রাজ, রাজা বাজার ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি পরিমল প্রসাদ রাজসহ শহরের সকল মার্কেটের ব্যবসায়ী নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে ব্যবসায়ীদের নেয়া এমন সিদ্ধান্তকে চালাকি বলে মত দিয়েছেন অনেকে। তাদের মতে, ঈদের পরে কোন ব্যবসা ভালো হয় না। ক্রেতারা আনুষ্ঠানিকতায় ঈদের এক সপ্তাহ ব্যস্ত থাকেন। এই সময়টাতে বরাবরেই মার্কেটগুলো ক্রেতা শুন্য থাকে। এই সময়ে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের কর্মচারিদের বসে বসে সাপ্তাহিক বেতন দিতে হয়।

এখন করোনার কারণে মার্কেট বন্ধ করে মানুষের বাহবা নেয়ার সুক্ষ কৌশল অবলম্বন করছেন বগুড়ার ব্যবসায়ীরা। তারা মূলত গরীব কর্মচারিদের ঠকানোর জন্যই এই উদ্যোগ নিয়েছেন। যদি ঈদের আগে মার্কেটগুলো তারা বন্ধ রাখতো তাহলে তাদের ত্যাগ বোঝা যেতো।