ঢাকা ০২:০০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫

বৃদ্ধাশ্রমে খুঁজে পেলেন জীবনসঙ্গী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২ ২৮৯৪ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রেমময় পৃথিবীতে কে কখন কার হয় কে জানে। রানাঘাটের বৃদ্ধাশ্রমে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই ভালোবাসার টানেই নতুন করে জীবন শুরু করলেন দুজন। একজন সুব্রত সেনগুপ্ত। পরিবহণ দফতরের প্রাক্তন কর্মী। ৭০এর গন্ডি পার করেছেন সদ্য। অন্যজন অপর্ণা চক্রবর্তী। বয়স ৬৫ বছর। তাঁর বাড়ি রানাঘাটের আইসতলা। দুজনেই এতদিন ছিলেন অবিবাহিত। জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন দুজনে। জীবনের গল্পটা দুজনের অনেকটাই আলাদা। কিন্তু মিলও রয়েছে একটা বিষয়ে। দুজনেই বড্ড একা ছিলেন। এবার দুটি প্রাণ এক হল এতদিনে।

সুব্রতবাবুর বাড়িতে মা, দুই ভাই, তাদের স্ত্রীরা রয়েছেন। কিন্তু সেই পরিবারে ঠাঁই হয়নি সুব্রতবাবুর। তিনি ২০১৯ সাল থেকে রানাঘাটের পূর্ণনগর জগদীশ মেমোরিয়াল বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় অপর্ণা চক্রবর্তীর। তিনি প্রায় বছর পাঁচেক ধরে ওই বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন। আগে এক অধ্যাপকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। বয়স বাড়তে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে পরিবার। বাধ্য হয়েই বৃদ্ধাশ্রমে থাকছিলেন। সেখানেই একদিন অপর্ণাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুব্রত। কিন্তু রাজি ছিলেন না অপর্ণা। জীবনের শেষ প্রান্তে আর নতুন করে এসব কিছু ভাবেননি তিনি।

এদিকে ২০২০ সাল থেকে বৃদ্ধাশ্রমের কাছেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন সুব্রতবাবু। কিছুদিন আগে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আর সেকথা শুনে মন কেমন করেছিল অপর্ণার। তিনি গিয়েছিলেন সুব্রতর কাছে। এরপর পুরোটাই রূপকথার মতো। পরে বৃদ্ধাশ্রমের মালিকই বিয়ের ব্যবস্থা করলেন দুজনের।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

বৃদ্ধাশ্রমে খুঁজে পেলেন জীবনসঙ্গী

আপডেট সময় : ০৯:৩০:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ৪ এপ্রিল ২০২২

প্রেমময় পৃথিবীতে কে কখন কার হয় কে জানে। রানাঘাটের বৃদ্ধাশ্রমে জীবনের শেষ প্রান্তে এসে এই ভালোবাসার টানেই নতুন করে জীবন শুরু করলেন দুজন। একজন সুব্রত সেনগুপ্ত। পরিবহণ দফতরের প্রাক্তন কর্মী। ৭০এর গন্ডি পার করেছেন সদ্য। অন্যজন অপর্ণা চক্রবর্তী। বয়স ৬৫ বছর। তাঁর বাড়ি রানাঘাটের আইসতলা। দুজনেই এতদিন ছিলেন অবিবাহিত। জীবনের অনেকটা পথ পেরিয়ে এসেছেন দুজনে। জীবনের গল্পটা দুজনের অনেকটাই আলাদা। কিন্তু মিলও রয়েছে একটা বিষয়ে। দুজনেই বড্ড একা ছিলেন। এবার দুটি প্রাণ এক হল এতদিনে।

সুব্রতবাবুর বাড়িতে মা, দুই ভাই, তাদের স্ত্রীরা রয়েছেন। কিন্তু সেই পরিবারে ঠাঁই হয়নি সুব্রতবাবুর। তিনি ২০১৯ সাল থেকে রানাঘাটের পূর্ণনগর জগদীশ মেমোরিয়াল বৃদ্ধাশ্রমে থাকতে শুরু করেন। সেখানেই তাঁর সঙ্গে দেখা হয় অপর্ণা চক্রবর্তীর। তিনি প্রায় বছর পাঁচেক ধরে ওই বৃদ্ধাশ্রমে রয়েছেন। আগে এক অধ্যাপকের বাড়িতে পরিচারিকার কাজ করতেন। বয়স বাড়তে দরজা বন্ধ করে দিয়েছে পরিবার। বাধ্য হয়েই বৃদ্ধাশ্রমে থাকছিলেন। সেখানেই একদিন অপর্ণাকে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন সুব্রত। কিন্তু রাজি ছিলেন না অপর্ণা। জীবনের শেষ প্রান্তে আর নতুন করে এসব কিছু ভাবেননি তিনি।

এদিকে ২০২০ সাল থেকে বৃদ্ধাশ্রমের কাছেই একটি ভাড়া বাড়িতে থাকতে শুরু করেন সুব্রতবাবু। কিছুদিন আগে সেখানেই অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আর সেকথা শুনে মন কেমন করেছিল অপর্ণার। তিনি গিয়েছিলেন সুব্রতর কাছে। এরপর পুরোটাই রূপকথার মতো। পরে বৃদ্ধাশ্রমের মালিকই বিয়ের ব্যবস্থা করলেন দুজনের।