ঢাকা ০৪:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নারী সাংবাদিককে ম্যসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি পাঠানোর অপরাধে গ্রেফতার যুবক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২ ২৫৯৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীতে ম্যাসেঞ্জারে অনৈতিক প্রস্তাবের ইঙ্গিত দিয়ে অশ্লীল ছবি পাঠানোর অভিযোগে ইসমাইল হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ।

 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় সুধারাম থানার এস আই মোঃ মফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাকে আটক করে ।

 

তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার নোয়াখলী জেলা প্রতিনিধি নারী সংবাদকর্মী সানজিদা হক অনু। মামলা নং ৯/২০২২ ইং। ধারা ২০১২ এর ৮(৩)।

 

মামলার সুত্রে জানাযায়, ইসমাইল হোসেন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঐ নারী সাংবাদিকের সাথে পরিচিত করে । পরে তার ফেইসবুক আইডিতে তার সাথে সম্পৃক্ত হয়। একপর্যায়ে সে ঐ নারী সাংবাদিকের ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে বার্তা পাঠায়। ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক তার এসব বার্তার কোন উত্তর না দিয়ে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে সর্তক করে। এতে ইসমাইল হোসেন আরো বেপরোয়া হয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ফর্নোগ্রাফি ছবি পাঠাতে থাকে। নারী সাংবাদিক লোক লজ্জার ভয়ে প্রথমে কাউকে না জানালেও পরে সে বাধ্য হয়ে তার সহকর্মীদের এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করলে তারা তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বললে সে সুধারাম মডেল থানায় নিজে বাদী হয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফর্নোগ্রাফি আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন একজন স্বীকৃত নারী লিপ্সু, লম্পট ও প্রতারক। সে অন্যকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে সবসময় খুব স্মার্টলি চলাফেরা করে। নিজেকে বিভিন্ন লোকের কাছে কখনো পাথর ব্যবসায়ী, কখনো আইনজীবি, কখনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কখনো মানবাধিকার কর্মকর্তা, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানান ভাবে প্রতারণার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিযে নিচ্ছে। প্রকৃত ভাবে সে এসব পেশার সাথে কোন ভাবে জড়িত নয়। এছাড়া দেশের অনুমোদিত কোন প্রত্রিকা বা টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। মূলত সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউবে বিভিন্ন নামে আইডি খুলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলে। তার মূল লক্ষ্য থাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়িক, ঠিকাদার, ডাক্তারসহ বিভিন্ন লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এক সময় নানা রকম অজুহাতে তাদের নিকট মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে। কেউ তার এ প্রস্তাবে রাজি না হলে তখন সে দাবীকৃত টাকার বিনিময়ে নিজ নামীয় ব্যাংক একাউন্টের চেক প্রদান করবে বলে আশ্বাস্ত করে।

 

এবিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে অপরাধী ইসমাইল হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। বুধবার তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

নারী সাংবাদিককে ম্যসেঞ্জারে অশ্লীল ছবি পাঠানোর অপরাধে গ্রেফতার যুবক

আপডেট সময় : ০৭:৫২:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ৬ এপ্রিল ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীতে ম্যাসেঞ্জারে অনৈতিক প্রস্তাবের ইঙ্গিত দিয়ে অশ্লীল ছবি পাঠানোর অভিযোগে ইসমাইল হোসেন (২৭) নামে এক যুবককে গ্রেফতার করেছে সুধারাম থানা পুলিশ।

 

মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১ টায় সুধারাম থানার এস আই মোঃ মফিজুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্সসহ তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেগমগঞ্জের চৌরাস্তা এলাকা থেকে তাকে আটক করে ।

 

তার বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেছে ভুক্তভোগী জাতীয় দৈনিক কালবেলা পত্রিকার নোয়াখলী জেলা প্রতিনিধি নারী সংবাদকর্মী সানজিদা হক অনু। মামলা নং ৯/২০২২ ইং। ধারা ২০১২ এর ৮(৩)।

 

মামলার সুত্রে জানাযায়, ইসমাইল হোসেন নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে ঐ নারী সাংবাদিকের সাথে পরিচিত করে । পরে তার ফেইসবুক আইডিতে তার সাথে সম্পৃক্ত হয়। একপর্যায়ে সে ঐ নারী সাংবাদিকের ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে অনৈতিক প্রস্তাব দিয়ে বার্তা পাঠায়। ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক তার এসব বার্তার কোন উত্তর না দিয়ে তাকে বিভিন্ন মাধ্যমে সর্তক করে। এতে ইসমাইল হোসেন আরো বেপরোয়া হয়ে অশ্লীল ও কুরুচিপূর্ণ ফর্নোগ্রাফি ছবি পাঠাতে থাকে। নারী সাংবাদিক লোক লজ্জার ভয়ে প্রথমে কাউকে না জানালেও পরে সে বাধ্য হয়ে তার সহকর্মীদের এ বিষয়টি সম্পর্কে অবগত করলে তারা তাকে আইনের আশ্রয় নিতে বললে সে সুধারাম মডেল থানায় নিজে বাদী হয়ে মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে ফর্নোগ্রাফি আইনে একটি অভিযোগ দায়ের করেন।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত ইসমাইল হোসেন একজন স্বীকৃত নারী লিপ্সু, লম্পট ও প্রতারক। সে অন্যকে নিজের প্রতি আকৃষ্ট করতে সবসময় খুব স্মার্টলি চলাফেরা করে। নিজেকে বিভিন্ন লোকের কাছে কখনো পাথর ব্যবসায়ী, কখনো আইনজীবি, কখনো প্রশাসনিক কর্মকর্তা, কখনো মানবাধিকার কর্মকর্তা, কখনো সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে নানান ভাবে প্রতারণার মাধ্যমে সমাজের বিভিন্ন শ্রেণী পেশার মানুষের কাছ থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ হাতিযে নিচ্ছে। প্রকৃত ভাবে সে এসব পেশার সাথে কোন ভাবে জড়িত নয়। এছাড়া দেশের অনুমোদিত কোন প্রত্রিকা বা টেলিভিশন চ্যানেলের সাথে তার সম্পৃক্ততা নেই। মূলত সে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ও ইউটিউবে বিভিন্ন নামে আইডি খুলে নিজেকে সাংবাদিক পরিচয় দিয়ে চলে। তার মূল লক্ষ্য থাকে সমাজে প্রতিষ্ঠিত রাজনৈতিক নেতা, ব্যবসায়িক, ঠিকাদার, ডাক্তারসহ বিভিন্ন লোকজনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এক সময় নানা রকম অজুহাতে তাদের নিকট মোটা অঙ্কের টাকা দাবী করে। কেউ তার এ প্রস্তাবে রাজি না হলে তখন সে দাবীকৃত টাকার বিনিময়ে নিজ নামীয় ব্যাংক একাউন্টের চেক প্রদান করবে বলে আশ্বাস্ত করে।

 

এবিষয়ে সুধারাম মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ জাকির হোসেন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ভুক্তভোগী নারী সাংবাদিক একটি অভিযোগ দিয়েছেন। বিষয়টি আমরা গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে অপরাধী ইসমাইল হোসেনকে তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে বেগমগঞ্জ চৌরাস্তা থেকে রাত সাড়ে ১১টার দিকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হই। বুধবার তাকে আদালতে প্রেরন করা হয়।