ঢাকা ১১:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

তাসপিয়া হত্যার মূল আসামী শ্যূটার রিমনসহ ৫ জনকে সবর্ণচর থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২ ২২৬৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাবার কোলে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৪ বছরের শিশু তাসপিয়া হত্যার প্রধান আসামি শ্যূটার রিমন, মহিনসহ ৫ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ (সিপিসি-৩) কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাসপিয়া হত্যার শ্যূটার রিমন, মহিনসহ ৫ জনকে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক এলাকা থেকে বিদেশী, দেশী আগ্নেয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে ‘তুই (আবু জাহের) ওইদিন বৈঠকে ছিলি’ বলে গালাগালি করে। এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তারা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পিছন থেকে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পিছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা।

 

এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নানির কোলে মারা যায় তাসফিয়া। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় তার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বাদশা, রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

তাসপিয়া হত্যার মূল আসামী শ্যূটার রিমনসহ ৫ জনকে সবর্ণচর থেকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব

আপডেট সময় : ১২:৪৪:১৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২০ এপ্রিল ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলায় বাবার কোলে থাকা অবস্থায় সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত ৪ বছরের শিশু তাসপিয়া হত্যার প্রধান আসামি শ্যূটার রিমন, মহিনসহ ৫ জনকে অস্ত্রসহ গ্রেফতার করেছে র‌্যাব।

 

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়। এ বিষয়ে র‌্যাব-১১ (সিপিসি-৩) কোম্পানী কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার খন্দকার মো. শামীম হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাসপিয়া হত্যার শ্যূটার রিমন, মহিনসহ ৫ জনকে সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক এলাকা থেকে বিদেশী, দেশী আগ্নেয় অস্ত্রসহ গ্রেফতার করা হয়েছে।

 

উল্লেখ্য, বুধবার (১৩ এপ্রিল) বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পাশ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার বন্ধু স্টোরে যান আবু জাহের। ওই দোকানে গিয়ে তাসফিয়ার জন্য চকলেট, জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হওয়ার সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মামুনের দোকানে এসে ‘তুই (আবু জাহের) ওইদিন বৈঠকে ছিলি’ বলে গালাগালি করে। এক পর্যায়ে তাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরে তারা দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা পিছন থেকে তাদের লক্ষ্য করে প্রথমে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে তারা বাড়ি যাওয়ার সময় পিছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শর্টগানের গুলি ছুঁড়ে সন্ত্রাসীরা।

 

এতে তাসফিয়া ও জাহের গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়েন। পরে গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছলে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নানির কোলে মারা যায় তাসফিয়া। এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার (১৪ এপ্রিল) দুপুরে তাসফিয়া হত্যার ঘটনায় তার খালু হুমায়ুন কবির বাদী হয়ে বাদশা, রিমনসহ ১৭ জনের নাম উল্লেখ্য ও অজ্ঞাতনামা আরও ১০-১২ জনকে আসামি করে একটি মামলা দায়ের করেছেন। মামলায় এ পর্যন্ত ৯ জন এজাহারভুক্ত আসামিকে গ্রেফতার করেছে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী।