নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
নোয়াখালী পৌর এলাকায় সড়কের পাশের একটি স্টিলের খুঁটিতে বিদ্যুতায়িত হয়ে নাবিল আল আরাভী ওয়াফি (১০) নামের এক স্কুলছাত্রের মৃত্যু হয়েছে। ঘটনায় আহত হয়েছে আরও দুই জন। বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়া খুঁটিটি টেলিফোনের বলে দাবি করছে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (পিডিবি) কর্তৃপক্ষ।
সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ড লক্ষ্মীনারয়ণপুর এলাকার লাতু কমিশনারের বাড়ির সামনে এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত নাবিল আল আরাভী ওয়াফি ওই এলাকার সানা উল্যাহ মোহনের ছেলে। সে নোয়াখালী পৌর মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেণির ছাত্র। আহতরা হচ্ছেন, একই এলাকার আবদুল হক সাব (৫০) ও তার ছেলে পলাশ (২২)।
স্থানীয় লোকজন জানান, ঘুর্ণিঝড় ‘অশনি’ কারনে সকাল থেকে জেলার বিভিন্নস্থানে বৃষ্টি হয়। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বাসা থেকে পাশ্ববর্তী দোকানে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয় নাবিল। দোকানে আসার পথে লাতু কমিশনারের বাড়ি এলাকায় সড়কের পাশে থাকা একটি স্টিলের খুঁটি স্পর্শ করে সে। এসময় ওই খুঁটিটি বিদ্যুতায়িত থাকায় ঘটনাস্থলে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ঘটনাস্থলে মারা যায় সে। বিষয়টি দেখতে পেয়ে তাকে উদ্ধার করতে এগিয়ে এসে আহত হন আবদুল হক ও তার ছেলে পলাশ।
নিহতের চাচা মো. নয়ন খুঁটিটি বিদ্যুতের দাবি করে বলেন, দীর্ঘদিন ধরে বিদ্যুৎ বিভাগকে পুরাতন স্টিলের খুঁটিটি সরাতে বলা হলেও তারা সরাননি। এছাড়াও নাবিল বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হওয়ার সাথে সাথে বিদ্যুৎ অফিসে ফোন করলেও তারা লাইন বন্ধ করে নাই। পরে অফিসে গিয়ে বলার পর লাইন বন্ধ করে, ততক্ষণে নাবিল মারা যায়।
অভিযোগ অস্বীকার করে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড নোয়াখালীর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. নুরুল আমিন বলেন, প্রথমত খুঁটিটি আমাদের না, এটি টেলিফোন লাইনের খুঁটি। আমাদের বিদ্যুতের প্রধান খুঁটি থেকে আশপাশের বাসার লোকজন লাইন নিতে টেলিফোনের স্টিলের খুঁটিটি ব্যবহার করেছেন। সেটাতে বৃষ্টির কারণে বিদ্যুতায়িত হয়ে এ ঘটনা ঘটেছে। জরুরি নাম্বারে কলা পাওয়ার পরই বিদ্যুৎ সংযোগ বন্ধ করা হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।