ঢাকা ০২:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সম্পত্তির দ্বন্দ্বে কবিরহাটে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন আসামী গ্রেফতার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২ ৮৬১৬ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ২ সুন্দলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃদ্ধ মহিন উদ্দিনকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তাঁর মেয়েসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, নিহত বৃদ্ধের মেয়ে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের মুন্সি মিয়া বাড়ির শাহিনা আক্তার (৩৭) ও তার স্বামী মো. নুরনবী সুমন (৪০) ছেলে মো.ইউছুফ শামীম (১৮)।

 

বুধবার (১১ মে) ভোর রাতে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর সদর থানার সালনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেন কবিরহাট থানা পুলিশ।

 

একই দিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

পুলিশ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মহিন উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে তার মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতিদের বিরুদ্ধে।

 

নিহত মো. মহিন উদ্দিন (৬০) উপজেলার উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পর দিন সকালে নিহতের আরেক মেয়ে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় নুর নবী সুমন (৪০), নুর নবীর স্ত্রী শাহেনা আক্তার (৩৭) ও তাঁদের ছেলে মো.ইউছুফ শামীম (১৮)। এ ছাড়া মামলায় নুর নবীর আরেক ছেলেকেও আসামি করা হয়। নুর নবী তাঁর পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন।

 

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে নিহত মহিন উদ্দিন ঘরজামাই নুর নবীর কাছে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন। ওই সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে নুর নবীর সঙ্গে মহিন উদ্দিনের মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে মহিন উদ্দিনের সঙ্গে নুর নবী ও তাঁর ছেলেদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নুর নবী ও তাঁর ছেলেরা মহিন উদ্দিনকে মারধর করেন। এতে মহিন উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে নুর নবী ও তাঁর পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সম্পত্তির দ্বন্দ্বে কবিরহাটে বাবাকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তিন আসামী গ্রেফতার

আপডেট সময় : ০৭:৩৩:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ মে ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার ২ সুন্দলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে বৃদ্ধ মহিন উদ্দিনকে (৬০) পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় তাঁর মেয়েসহ তিন আসামিকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

গ্রেফতারকৃতরা হলো, নিহত বৃদ্ধের মেয়ে উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের ৬নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের মুন্সি মিয়া বাড়ির শাহিনা আক্তার (৩৭) ও তার স্বামী মো. নুরনবী সুমন (৪০) ছেলে মো.ইউছুফ শামীম (১৮)।

 

বুধবার (১১ মে) ভোর রাতে গাজীপুর জেলার জয়দেবপুর সদর থানার সালনা এলাকা থেকে তাদের গ্রেফতার করেন কবিরহাট থানা পুলিশ।

 

একই দিন দুপুর পৌনে ১টার দিকে নোয়াখালীর পুলিশ সুপার (এসপি) শহীদুল ইসলাম এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

 

পুলিশ জানায়, গত ৩০ এপ্রিল সন্ধ্যা ৬টার দিকে নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলার সুন্দলপুর ইউনিয়নের উত্তর সুন্দলপুর গ্রামে সম্পত্তি নিয়ে দ্বন্দ্বের জের ধরে মহিন উদ্দিনকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠে তার মেয়ে, মেয়ের জামাই ও নাতিদের বিরুদ্ধে।

 

নিহত মো. মহিন উদ্দিন (৬০) উপজেলার উত্তর সুন্দলপুর গ্রামের মৃত মোস্তফা মিয়ার ছেলে। এ ঘটনার পর দিন সকালে নিহতের আরেক মেয়ে কবিরহাট থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় আসামি করা হয় নুর নবী সুমন (৪০), নুর নবীর স্ত্রী শাহেনা আক্তার (৩৭) ও তাঁদের ছেলে মো.ইউছুফ শামীম (১৮)। এ ছাড়া মামলায় নুর নবীর আরেক ছেলেকেও আসামি করা হয়। নুর নবী তাঁর পরিবার নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই বসবাস করতেন।

 

উল্লেখ্য, কয়েক মাস আগে নিহত মহিন উদ্দিন ঘরজামাই নুর নবীর কাছে কিছু সম্পত্তি বিক্রি করেন। ওই সম্পত্তি বুঝিয়ে দেওয়া নিয়ে নুর নবীর সঙ্গে মহিন উদ্দিনের মতবিরোধ দেখা দেয়। এর জের ধরে মহিন উদ্দিনের সঙ্গে নুর নবী ও তাঁর ছেলেদের কথা কাটাকাটি হয়। কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে নুর নবী ও তাঁর ছেলেরা মহিন উদ্দিনকে মারধর করেন। এতে মহিন উদ্দিন গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাৎক্ষণিকভাবে বাড়ির লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে কবিরহাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনার পর থেকে নুর নবী ও তাঁর পরিবারের সবাই পালিয়ে যায়।