নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ায় কালবৈশাখী ঝড়ে একটি মসজিদ সহ তিনটি গ্রামের প্রায় ২৫টি ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। শনিবার সকালে উপজেলার জাহাজমারা, সুখচর ও নলচিরা ইউনিয়নের তিনটি গ্রামে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়। তবে এসময় সবাই ঘরের বাহিরে বের হয়ে যাওয়ায় কোন হতাতের ঘটনা ঘটেনি।
স্থানীয়রা জানায়, সকালে ঘূর্ণিঝড়টি হাতিয়ার বিভিন্ন ইউনিয়নে আঘাত হানে। এতে অনেক জায়গায় গাছ পড়ে রাস্তায় চলাচলে বিঘœ ঘটে। প্রায় ঘন্টা ব্যাপী চলা ঝড় ও বৃষ্টিতে জনজীবন বিপন্ন হয়ে পড়ে।
নলচিরা ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো: শরিফ জানান, তাঁর ইউনিয়নের তুপানিয়া গ্রামে বেড়ীর উপরে বসবাস করা ৫টি ও বেড়ীর ভিতরে গাছ পড়ে আরো ৫টি বসতঘর বিধ্বস্থ হয়। ঘূর্ণিঝড়ে এসব বসতঘরের চাল ও বেড়া বাতাসে উড়িয়ে নিয়ে যায়।
নলচিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মনছুর উল্যা শিবলী জানান, ঘূর্ণিঝড়ে বিধ্বস্ত এসব ঘরবাড়ীর মালিককে ৫হাজার টাকা করে দেওয়া হয়েছে। উপজেলা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদেরকে পূর্নবাসনের উদ্যোগ নেওয়া হবে।
এদিকে একই সময় জাহাজমারা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের জাহাজমারা গ্রামে ১০টি বসতঘর বিধ্বস্ত হয়। গ্রামের বাসিন্ধা আমিনুল ইসলাম রাসেল জানান, সকালের ঝড়ে তাদের বাড়ীর সামনের কাচারি ঘরটি বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া পাশবর্তী আরো ৯টির মত কাঁচা ঘরবাড়ী বিধ্বস্ত হয়। তবে প্রত্যেকটি বাড়ীর অনেক গাছপালা ভেঙে গেছে। রাস্তার পাশের গাছ পালা পড়ে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। স্থানীয়রা ভেঙে পড়া এসব গাছ কেটে নেওয়ায় রাস্তায় চলাচল এখন স্বাভাবিক হয়েছে।
এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) বায়েজীদ বিন আখন্দ বলেন, ইউপি চেয়ারম্যানরা ঝড়ে ঘরবাড়ি বিধ্বস্ত হওয়ার বিষয়টি মোবাইলে জানিয়েছে। এসব এলাকা পরিদর্শন করে ক্ষতিগ্রস্থদের সহায়তার ব্যবস্থা করা হয়েছে।