ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

সুধারামে ডোবায় মিলল শিশুর লাশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২ ৫৭৮৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী বাজার এলাকার একটি ডোবা থেকে ১১ বছর বয়সী মো. মারুফ নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মানাধীন ভবনের সামনের ডোবা থেকে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 

মারুফ সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের মৃত ছানা উল্যার ছেলে। সে নোয়াখালী পৌর এলাকার বোর্ড স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পরিবারসহ বাস করতো। মারুফ ভাঙারি মালামাল খুঁজতো এবং তা দোকানে বিক্রি করতো।

 

নিহত শিশুর মা মায়া বেগম জানায়, গতকাল বুধবার সকালে তার কাছ থেকে ১০টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় মারুফ। এর পর এলাকার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কিছু সময় খেলাধুলা করেছে। তারপর থেকে সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। প্রতিদিন সন্ধ্যার মধ্যে ফিরতো। কিন্তু বুধবার সে আর ফিরেনি। খোঁজ নিতে গেলে তার সহপাঠীরা জানায় গতকাল বিকেলে কোন এক যুবক তাকে হোন্ডায় করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সুধারাম থানায় জিডি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

 

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ডোবায় পড়ে থাকা অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও এটি হত্যা নাকি পানিতে পড়ে মারা গেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সুধারামে ডোবায় মিলল শিশুর লাশ

আপডেট সময় : ০৬:২৬:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ মে ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদী বাজার এলাকার একটি ডোবা থেকে ১১ বছর বয়সী মো. মারুফ নামে এক শিশুর মরদেহ উদ্ধার করেছে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ।

 

বৃহস্পতিবার দুপুরে নোয়াখালী পৌরসভার মাইজদী টেকনিক্যাল স্কুল এন্ড কলেজের নির্মানাধীন ভবনের সামনের ডোবা থেকে শিশুর মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

 

মারুফ সদর উপজেলার নোয়ান্নই ইউনিয়নের মৃত ছানা উল্যার ছেলে। সে নোয়াখালী পৌর এলাকার বোর্ড স্কুল সংলগ্ন এলাকায় পরিবারসহ বাস করতো। মারুফ ভাঙারি মালামাল খুঁজতো এবং তা দোকানে বিক্রি করতো।

 

নিহত শিশুর মা মায়া বেগম জানায়, গতকাল বুধবার সকালে তার কাছ থেকে ১০টাকা নিয়ে বাসা থেকে বের হয় মারুফ। এর পর এলাকার ছেলে-মেয়েদের সঙ্গে কিছু সময় খেলাধুলা করেছে। তারপর থেকে সে আর বাসায় ফিরে আসেনি। প্রতিদিন সন্ধ্যার মধ্যে ফিরতো। কিন্তু বুধবার সে আর ফিরেনি। খোঁজ নিতে গেলে তার সহপাঠীরা জানায় গতকাল বিকেলে কোন এক যুবক তাকে হোন্ডায় করে নিয়ে যায়। পরে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজ খবর নিয়েও তার কোন হদিস পাওয়া যায়নি। এক পর্যায়ে বৃহস্পতিবার সুধারাম থানায় জিডি করার সিদ্ধান্ত নেয়। এর মধ্যে দুপুর ১টার দিকে তার মরদেহ পাওয়া যায়।

 

এ বিষয়ে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল হক জানান, স্থানীয়দের তথ্যের ভিত্তিতে ডোবায় পড়ে থাকা অবস্থায় তার মরদেহটি উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। তার শরীরে আঘাতের কোনো চিহ্ন পাওয়া যায়নি। তারপরও এটি হত্যা নাকি পানিতে পড়ে মারা গেছে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।