ঢাকা ০৩:৫৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২১ জানুয়ারী ২০২৫

অর্থ আত্নসাথ মামলায় নোয়াখালীতে ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জেল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২ ৫১৭৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের ৫৪টি ইলেকট্রনিক্স মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬লাখ ৩০হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ডাক বিভাগের তিন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- এবং অর্থদ- করেছে দুদকের স্পেশাল জজ আদালত।

 

বুধবার বিকেলে এ রায় প্রদান করেন স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান। দ-প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের কাউন্টার অপারেটর রীনা রানী মজুমদার, সহকারি পোস্ট মাস্টার মো. মুনির চৌধুরী শহিদ ও ডিপিএমজি কার্যালয়ের পোস্টাল অপারেটর আনোয়ার হোসেন।

 

দুদক জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, দ-প্রাপ্ত ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মরত অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৩জুন থেকে ৩অক্টোবর পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে যোগসাজসের মাধ্যমে ৫৪টি ইলেকট্রনিক্স মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬লাখ ৩০হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ অক্টোবর সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন পোস্ট মাস্টার এস এম সহিদ উল্যাহ। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য থানা থেকে দুদক প্রধান কার্যালয়ের তৎকালিন উপ-পরিচালক নাছির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে এ কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

জেলা দুদকের পিপি আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি মুনির চৌধুরী শহিদের উপস্থিত রায় ঘোষণা করা হয়। অপর দুই আসামি এখনও পলাতক। রায়ে আসামি রীনা মজুমদার ও আনোয়ার হোসেনকে বিভিন্ন ধারায় ১৩বছরের সশ্রম কারাদ-, ১৬লাখ ৫০হাজার টাকা অর্থদ- এবং মুনির চৌধুরী শহিদকে ১৩বছরের সশ্রম কারাদ- ও ২লাখ ১০হাজার টাকা অর্থদ- করা হয়েছে।

 

পিপি আরও জানান, এ মামলার রায়ে কারাদ- পাওয়া গ্রেপ্তারকৃত আসামির হাজতবাসকালিন সময় থেকে বাদ যাবে। পলাতক আসামীরা যেদিন আত্মসমর্পণ করবে বা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হবে সেদিন থেকে তাদের সাজা কার্যকর হবে। এছাড়াও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

অর্থ আত্নসাথ মামলায় নোয়াখালীতে ৩ কর্মকর্তা-কর্মচারীর জেল

আপডেট সময় : ১২:০১:৩৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ জুন ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের ৫৪টি ইলেকট্রনিক্স মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬লাখ ৩০হাজার টাকা আত্মসাতের ঘটনায় ডাক বিভাগের তিন কর্মকর্তা কর্মচারীকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদ- এবং অর্থদ- করেছে দুদকের স্পেশাল জজ আদালত।

 

বুধবার বিকেলে এ রায় প্রদান করেন স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক এ এন এম মোর্শেদ খান। দ-প্রাপ্ত আসামিরা হচ্ছেন, নোয়াখালীর প্রধান ডাকঘরের কাউন্টার অপারেটর রীনা রানী মজুমদার, সহকারি পোস্ট মাস্টার মো. মুনির চৌধুরী শহিদ ও ডিপিএমজি কার্যালয়ের পোস্টাল অপারেটর আনোয়ার হোসেন।

 

দুদক জেলা কার্যালয়ের তথ্যমতে, দ-প্রাপ্ত ডাক বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা কর্মরত অবস্থায় ২০১৩ সালের ১৩জুন থেকে ৩অক্টোবর পর্যন্ত নিজেদের মধ্যে যোগসাজসের মাধ্যমে ৫৪টি ইলেকট্রনিক্স মানি অর্ডার (ইএমও) ম্যাসেজ জালিয়াতির মাধ্যমে ২৬লাখ ৩০হাজার টাকা আত্মসাৎ করে। এ ঘটনায় ওই বছরের ১৩ অক্টোবর সুধারাম মডেল থানায় মামলা দায়ের করেন পোস্ট মাস্টার এস এম সহিদ উল্যাহ। পরে মামলাটি অধিকতর তদন্তের জন্য থানা থেকে দুদক প্রধান কার্যালয়ের তৎকালিন উপ-পরিচালক নাছির উদ্দিনকে দায়িত্ব দেওয়া হয়। তদন্ত শেষে এ কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।

 

জেলা দুদকের পিপি আবুল কাশেম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আসামি মুনির চৌধুরী শহিদের উপস্থিত রায় ঘোষণা করা হয়। অপর দুই আসামি এখনও পলাতক। রায়ে আসামি রীনা মজুমদার ও আনোয়ার হোসেনকে বিভিন্ন ধারায় ১৩বছরের সশ্রম কারাদ-, ১৬লাখ ৫০হাজার টাকা অর্থদ- এবং মুনির চৌধুরী শহিদকে ১৩বছরের সশ্রম কারাদ- ও ২লাখ ১০হাজার টাকা অর্থদ- করা হয়েছে।

 

পিপি আরও জানান, এ মামলার রায়ে কারাদ- পাওয়া গ্রেপ্তারকৃত আসামির হাজতবাসকালিন সময় থেকে বাদ যাবে। পলাতক আসামীরা যেদিন আত্মসমর্পণ করবে বা পুলিশ কর্তৃক গ্রেপ্তার হবে সেদিন থেকে তাদের সাজা কার্যকর হবে। এছাড়াও পলাতক আসামিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।