নোয়াখালী প্রতিনিধি:
একটি বেসরকারী ব্যাংকের ঋণ খেলাপির অভিযোগে নোয়াখালী জেলা পরিষদের নির্বাচনে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী আওয়ামীলীগ নেতা আলাবক্স তাহের টিটুর চেয়ারম্যান পদে প্রার্থীতা ফিরে পেতে আদালতে দায়ের করা আপিলে মনোনয়নের বৈধতা ফিয়ে পেয়েছেন। এর মধ্য দিয়ে আওয়ামীলীগ সমর্থিত আবদুল ওয়াদুদ পিন্টুর বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় নির্বাচিত হওয়ার সুযোগ বন্ধ হয়ে গেল।
রোববার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকালে বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও বিচারপতি এস. এম মনিরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোট ডিভিশনের দ্বৈত বেঞ্চ শুনানী শেষে বৃহষ্পতিবার বিকালে এ রায় দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, আলাবক্স তাহের টিটু নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। ১৮ সেপ্টেম্বর মননোয়নপত্র যাচাই বাচাই কালে ঋণ খেলাপি উল্লেখ করে রিটানিং অফিসার ও আপিলেট অথরিটি কবিরহাট পৌর সভার সাবেক মেয়র ও সাবেক জেলা পরিষদের সদস্য আলাবক্স তাহের টিটুর চেয়ারম্যান পদে মনোনয়নপত্র বাতিল ঘোষণা করেন। উক্ত মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করেন আলাবক্স তাহের টিটু। রোববার বিকালে শুনানী শেষে আদালত নোয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটুর মনোনয়নপত্র বাতিল করে রিটানিং অফিসার ও আপিলেট অথরিটির দেওয়া আদেশ কেন বে-আইনী ও অবৈধ ঘোষণা করা হবে না সে মর্মে বিবাদীর প্রতি রুল নিশি জারি করেন। একই সঙ্গে ১৮ ও ২২ সেপ্টেম্বর তার মনোনয়নপত্র বাতিলের আদেশ স্থগিত করে নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনের রিটানিং অফিসারকে রিট পিটিশনকারীরর মনোনয়পত্র গ্রহণ করে প্রতীক বরাদ্দের নির্দেশনা দেন।
জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেসবাহ উদ্দিন জানান, একটি বেসরকারী ব্যাংকে চেয়ারম্যান প্রার্থী আলাবক্স তাহের টিটুর ব্যাংক ঋণ খেলাপি থাকায় তার মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। শুনেছি উচ্চ আদালতে তিনি আপিল করে প্রার্থীতা ফিরে পেয়েছেন। তবে আদালতের রায়ের কপি রোববার রাত ৮টা পর্যন্ত জেলা নির্বাচন কার্যালয়ে ও রিটানিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে পৌঁছায়নি। রায়ের কপি হাতে পাওয়ার পর এবিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
নির্বাচনের রিটানিং কর্মকর্তা ও নোয়াখালী জেলা প্রশাসক দেওয়ান মাহবুবুর রহমান বলেন, আলাবক্স তাহের টিটুর প্রার্থীতা ফিরে পাওয়ার রায়ের কোন কাগজপত্র তার কাছে এসে পৌছায়নি।
আলাবক্স তাহের টিটু বলেন, তিনি প্রার্থীতা ফিরে পেতে উচ্চ আদালতে আপিল করেছেন। আদালত তার প্রার্থীতা বহাল রেখেছেন। তিনি ঢাকা থেকে রায়ের কপি নিয়ে নোয়াখালীর পথে রয়েছেন।
বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তিন সদস্য নির্বাচিত। নোয়াখালী জেলা পরিষদ নির্বাচনে তিনটি ওয়ার্ডে বিনা প্রতিদ্বন্দিতায় তিন জন সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন। তারা হলেন ১নং ওয়ার্ডে সাবেক সদস্য যুবলীগ নেতা মাসুদুর রহমান শিপন, ২নং ওয়ার্ডে মোশারফ হোসেন দুলাল ও ৯নং ওয়ার্ডে মো. মহি উদ্দিন। নোয়াখালী সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মেজবাহ উদ্দিন রোববার সন্ধ্যায় এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।