নিজেস্ব প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার (২৩ নভেম্বর) কবিরহাট সরকারি মডেল উচ্চ বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে এ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে সভাপতি পদে হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিমের নাম ও সাধারণ সম্পাদক পদে জহিরুল হক রায়হানের নাম ঘোষণা করা হয়। সভাপতি হাজী মোহাম্মদ ইব্রাহিম নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরীর বড় ভাই এবং সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হান কবিরহাট পৌরসভার মেয়র হিসেবে বর্তমানে দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি ২০১২ সাল থেকে সফলতার সাথে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এ নিয়ে দ্বিতীয় বারের মত উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হলেন মেয়র রায়হান।
এর আগে বেলা ২ টায় পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের আহবায়ক অধ্যক্ষ এ এইচ এম খায়রুল এনাম চৌধুরী সেলিম।
সম্মেলনে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত ছিলেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। প্রধান অতিথির বক্তব্যে ওবায়দুল কাদের বলেন, কবিরহাট ও কোম্পানীগঞ্জ এ দুই উপজেলা আমার নিজ নির্বাচনী উপজেলা। আমি এ উপজেলা গুলোকে জমজ ভাইয়ের মতো করে দেখি। তিনি বলেন, আমার প্রিয় কবিরহাট আজ আওয়ামীলীগের দুর্জয় ঘাটি। এ কবিরহাট একসময় অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল, এখানে কোন রাস্তাঘাট ছিল না, পোল কালভার্ট ছিল না, সেসময়ে আমাকে বাড়ি বাড়ি নিয়ে মানুষের সাথে পরিচয় করিয়ে দিয়েছেন একজন মানুষ, যার কথা না বললেই নয়, তিনি হলেন সদর পূর্বাঞ্চল আওয়ামীলীগের দুঃসময়ের কান্ডারী হাজী মোহাম্মদ ইদ্রিস সাহেব। ওবায়দুল কাদের বলেন, হাজী ইদ্রিস সাহেবের পুত্র ও আমার ছোট ভাই একরাম দীর্ঘদিন আমার সাথে সে এলাকার উন্নয়নে কাজ করেছে। মাঝেখানে একটু ভুল বুঝাবুঝি হয়েছে আমাদের মাঝে, সেজন্য সে আমার কাছে ক্ষমা ও চেয়েছে। আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এবং ইব্রাহিমও একরামের পক্ষ থেকে আমার কাছে ক্ষমা চেয়েছে, আমি তাকে ক্ষমা করে দিয়ে দলের জন্য কাজ করার নির্দেশ দিয়েছি। এসময় তিনি বলেন, অনেকে অনেক কথা বলতে পারেন তবে উপজেলা পর্যায়ে জহিরুল হক রায়হানের মতো দক্ষ সংগঠক আর নেই কবিরহাটে। তিনি বলেন অনেকে একসময় বলতো নোয়াখালী বিএনপির ঘাটি, কিন্তু আমি তাদেরকে বলতে চাই নোয়াখালী বিএনপির ঘাটি নয়, নোয়াখালী এখন আওয়ামীলীগের দুর্জয় ঘাটি। নোয়াখালী আওয়ামীলীগ আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এখন অধিক শক্তিশালী। অতীত স্বরণ করে ওবায়দুল কাদের বলেন, জাতীয় নির্বাচনের সময় যদি কবিরহাটের মানুষ আমাকে ভোট না দিতো তাহলে আজ আমি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক হতে পারতাম না। তাই আমি কবিরহাট বাসীর কাছে চির ঋণী। আমি আমার প্রিয় কবিরহাটের নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্য বলতে চাই নির্বাচনকে সামনে রেখে চারদিক থেকে ষড়যন্ত্র হচ্ছে, বিএনপি জামাত নানামুখী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে। তাদের ষড়যন্ত্র কে প্রতিহত করতে আপনাদেরকে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে। আর কোন ভুল বুঝাবুঝি নয়, নির্বাচনকে সামনে রেখে মতভেদ ভুলে সবাই ঐক্যবদ্ধ হয়ে দলের জন্য কাজ করতে হবে।
সম্মেলনে কবিরহাট উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নুরুল আমিন রুমির সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক জহিরুল হক রায়হানের সঞ্চালনায় আরো বক্তব্য রাখেন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাঈদ আল মাহমুদ স্বপন, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের কৃষি ও সমবায় বিষয়ক সম্পাদক ফরিদুন্নাহার লাইলী, বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যাণ বিষয়ক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এমপি একরামুল করিম চৌধুরী, জেলা আওয়ামীলীগের আহ্বায়ক অধ্যক্ষ এ.এইচ.এম খায়রুল এনাম চৌধুরী সেলিম, যুগ্ম-আহ্বায়ক শিহাব উদ্দিন শাহীন, শহীদুল্লাহ খাঁন সোহেল প্রমূখ।