ঢাকা ০৫:৩৫ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

৩ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের প্রতিবাদে নোবিপ্রবির মূল ফটকে তালা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ ২০৯০০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

তিনজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সামনের সড়ক অবরোধ করে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বহিষ্কৃত তিনজন ছাত্রের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

 

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে। এর আগে, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে সুধারাম থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

 

বিক্ষোভে অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তুচ্ছ ঘটনায় বেশি শাস্তি দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। এ কারণে শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার পথে। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে করছে। শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনায় শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া তিনজন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সতর্ক করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বহিষ্কারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে নোটিশ জারি করার পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বহিষ্কারাদেশ প্রতিবাদে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিকেল চারটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সব ফটক তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে বিকেল পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের সোনাপুর-চর জব্বর সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।

 

প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয় হয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

৩ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারের প্রতিবাদে নোবিপ্রবির মূল ফটকে তালা

আপডেট সময় : ১০:০২:০৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

তিনজন শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) সামনের সড়ক অবরোধ করে মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ করেছেন শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা বহিষ্কৃত তিনজন ছাত্রের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবি জানান।

 

মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকেল ৪টা থেকে শতাধিক শিক্ষার্থী সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা পর্যন্ত এ কর্মসূচি পালন করে। এর আগে, বিকেল সাড়ে চারটার দিকে প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুরসহ প্রক্টরিয়াল বডির সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে শিক্ষার্থীদের শান্ত করতে ব্যর্থ হন। পরে খবর পেয়ে সুধারাম থানার একদল পুলিশ ঘটনাস্থলে যায়।

 

বিক্ষোভে অংশ গ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তুচ্ছ ঘটনায় বেশি শাস্তি দিয়েছেন শিক্ষার্থীদের। এ কারণে শাস্তি পাওয়া শিক্ষার্থীদের শিক্ষাজীবন ধ্বংস হওয়ার পথে। তাই শিক্ষার্থীরা বাধ্য হয়ে শাস্তি প্রত্যাহারের দাবিতে আন্দোলনে করছে। শাস্তির আদেশ প্রত্যাহার না করা পর্যন্ত আন্দোলন চলমান থাকবে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও একাধিক শিক্ষার্থী সূত্রে জানা যায়, গত ২৩ নভেম্বর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনায় শিক্ষা, সমাজবিজ্ঞান ও ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন সায়েন্স বিভাগের তিনজন শিক্ষার্থীকে সর্বনিম্ন ছয় মাস থেকে সর্বোচ্চ তিন বছরের জন্য বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এ ছাড়া তিনজন শিক্ষার্থীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ও সতর্ক করা হয়। মঙ্গলবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে বহিষ্কারসহ নানা শাস্তিমূলক ব্যবস্থার বিষয়ে নোটিশ জারি করার পর বহিষ্কৃত শিক্ষার্থী ও তাদের সহপাঠীদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দেয়। একপর্যায়ে বহিষ্কারাদেশ প্রতিবাদে ও বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের দাবিতে বিকেল চারটার দিকে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকসহ সব ফটক তালা দিয়ে বন্ধ করে দেয়। একপর্যায়ে বিকেল পাঁচটার দিকে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসের সামনের সোনাপুর-চর জব্বর সড়কেও যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন।

 

প্রক্টর নেওয়াজ মোহাম্মদ বাহাদুর বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাষাশহীদ আবদুস সালাম হলে দুই দল ছাত্রের মধ্যে মারামারির ঘটনায় তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শৃঙ্খলা বোর্ডের সুপারিশের ভিত্তিতে কয়েকজন শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয় হয়। ওই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা আন্দোলন করে। বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা চলছে।