নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর সদর উপজেলায় পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধের জেরধরে পাওনাদারের মারধরে এক নারী মারা যাওয়া অভিযোগ পাওয়া গেছে। এই ঘটনায় পুলিশ এক নারীকে গ্রেফতার করে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে।
নিহত নূর নাহার (৪৫) উপজেলার ৩নং নোয়ান্নই ইউনিয়নের ৯নং ওয়ার্ডের গোড়াপুর গ্রামের সামছুল হকের স্ত্রী।
বৃহস্পতিবার (১২জানুয়ারি) দুপুরের দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, গতকাল বুধবার (১১জানুয়ারি) বিকেলের দিকে উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহতের বড় ছেলে রুবেল জানান, ৪ থেকে ৫ বছর আগে তার বাবা আগে বিস্কুট বেকারী থেকে বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে বিক্রি করত। তখন ৫-৬ হাজার টাকা তার বাবা ধারনেন কাদির হানিফ ইউনিয়নের গোবিন্দপুর এলাকার বাসিন্দা মহিনের (৩৫) কাছ থেকে। কিন্তু মহিন বর্তমানে ৩০ হাজার টাকা পাওনা বলে দাবি করে আসছে। এই ঘটনার জেরধরে মহিন সন্ত্রাসী ভাড়া করে মাইজদী হাউজিং এলাকা থেকে তার ছোট ভাই বিপ্লবের রিকশা আটক করে নিয়ে যায়। পরে তার মা রিকশা উদ্ধার করতে গতকাল বুধবার বিকেলের দিকে মহিনের বাড়িতে যায়। সেখানে মহিনের পা ধরে তার মা রিকশা ফেরত চায়। একর্পায়ে মহিনের সাথে তার মায়ের বাকবিতন্ডা হয়। এতে মহিন ক্ষিপ্ত হয়ে তার মায়ের শরীরে জোরে ধাক্কা দেয় এবং লাথি মারে। এতে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে মহিন তাকে মৃত অবস্থায় ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠায়। হাসপাতালে কর্তব্যরত নার্স জানায় মৃত অবস্থায় মাকে হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে সুধারাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ারুল ইসলাম বলেন, মনে হয় এটা মেরে ফেলার ঘটনা না। ময়না তদন্তের রিপোর্ট এলে বলা যাবে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে ওসি বলেন, নিহতের পরিবারের অভিযোগ ছিল টাকা দাবি করে রিকশা আটক করে। পরে তার ছেলে ও মা মহিনের বাড়িতে যায়। সেখানে গেলে তার মা অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে হাসপাতালে নিয়ে যায়। হাসপাতাল আসার পথে ওই নারী মারা যায়।
ওসি আরো বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। ভুক্তভোগী পরিবার অভিযোগ দিলে আমরা মামলা নেব।