নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর বিচ্ছিন্ন দ্বীপ উপজেলা হাতিয়াতে পর্যটন কেন্দ্রে তিন যুবতীকে শ্লীলতাহানি করে ধর্ষণের চেষ্টা করে স্বর্ণ ছিনতাইয়ের অভিযোগ উঠেছে।
শুক্রবার (৩ মার্চ) রাতে এ ঘটনায় ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার রুপা (২৮) বাদী হয়ে হাতিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে চারজনকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন। তাৎক্ষণিক পুলিশ এ ঘটনায় অভিযুক্ত প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করে। এর আগে, গত বৃহস্পতিবার ২ মার্চ বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার নিমতলী পর্যটন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গ্রেফতার মিন্টু (২৮) উপজেলার নিমতলী এলাকার বেলাল মাঝির ছেলে।
ভুক্তভোগী নাছিমা আক্তার রুপা অভিযোগ করে বলেন, গত বৃহস্পতিবার দুপুরে তারা তিন বোন হাতিয়া উপজেলার ওছখালী থেকে নিমতলী পর্যটন এলাকায় ঘুরতে যান। নিমতলী সৈকত ঘুরে দেখার সময় অপরিচিত চার যুবক তাদের উক্ত্যত করতে শুরু করে। একপর্যায়ে তাদের ধর্ষণের চেষ্টা করে পরনের শাড়ি,ব্লাউজ ছিড়ে ফেলে। ওই সময় তাদের চিৎকারে স্থানীয় লোকজন জড়ো হয়। পরে স্থানীয় লোকজনের সামনে বখাটেরা প্রকাশ্যে আমাদের গলার, কানের স্বর্ণের চেইন, কানের ফুল, ব্যাগে থাকা ২১ হাজার টাকা ছিনিয়ে নিয়ে যায়। রুপা অভিযোগ করে আরো বলেন, এ ঘটনায় থানায় লিখিত অভিযোগ করলে হাতিয়া থানার ওসি আমির হোসেন প্রথমে এ ঘটনাকে মিথ্যা দাবি করে বিষয়টি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করে। তারপর আমাকে মুঠোফোনে কল করেও বিশ্রী গালিগালাজ করে। কিন্ত ঘটনার সময় স্থানীয়রা ভিডিও করে ফেসবুকে ছেড়ে দেওয়ায় ওসি মামলা নিতে বাধ্য হয়। ওসি আমাদের কিছু হয়নি বলে আসামি ছেড়ে দেওয়ারও হুমকি দেয়।
হাতিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আরিফুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়েছে। পুলিশ মামলার প্রধান আসামিকে গ্রেফতার করেছে। আসামিকে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।
এ বিষয়ে জানতে একাধিকবার হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেনের মুঠোফোনে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। তাই এ বিষয়ে তার কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
সহাকরী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) মো. আমান উল্যাহ বলেন, বিষয়টি ওসি আমাকে অবগত করলে তাকে মামলা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়। তবে মামলার বাদীর সাথে ওসির খারাপ ব্যবহারের বিষয়ে আমাকে কেউ অভিযোগ করেনি।