সুবর্ণচর প্রতিবেদক:
নোয়াখালীতে যুবলীগ নেতাকে নির্যাতন শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে সুবর্ণচর উপজেলার ১ নং চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক।
১৩ সেপ্টেম্বর (বুধবার) সন্ধ্যায় নোয়াখালী প্রেস ক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন করেন চেয়ারম্যান ওমর ফারুক।
সংবাদ সম্মেলনে চরজব্বর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান এডভোকেট ওমর ফারুক বলেন, নোয়াখালী জেলার সুবর্ণচর উপজেলা আওয়ামীলীগের নির্বাচিত সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব পালন করি ২০০৪ ইং সাল থেকে ২০১২ ইং সাল পর্যন্ত এবং উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি পদে কাউন্সিলরদের ভোটে নির্বাচিত হই। ২০১২ ইং সাল থেকে ২০২২ইং সাল পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করি। সুবর্ণচর উপজেলার ১নং চরজব্বর ইউনিয়ন গত ১০ (দশ) বছর যাবত ছিল সন্ত্রাস, মাদক ব্যবসায়ী, ভূমিদস্যু, বনদস্য, চোর, ডাকাত ও সন্ত্রাসীদের অভয়ারন্য জনগন এ পরিবেশ থেকে রক্ষাপেতে জোর পূর্বক আমাকে প্রার্থী করায় চেয়ারম্যান পদে এবং আমাকে সর্বাধিক ভোটের ব্যবধানে নির্বাচিত করে। আমি নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে ঐ গৌষ্ঠী পরিকল্পিত ভাবে চুরি সহ বিভিন্ন বে-আইনী কর্মকান্ড করতে থাকে। নির্বাচনকালীন সময়ে ৫ ফেব্রুয়ারী ইং তারিখে প্রতিপক্ষের হামলায় আমার পক্ষের প্রায় শতাধিক কর্মী সমর্থক আহত হন এবং অনেকে স্থায়ী ভাবে পঙ্গুত্ব বরণ করেন।
এদিকে গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর বিভিন্ন মাধ্যমে আমাকে জড়িয়ে যে সংবাদ প্রচার করা হচ্ছে তা সত্য নয় এবং মিথ্যা, বানোয়াট ও উদ্দেশ্য প্রনোদিত।
প্রকৃত ঘটনা হচ্ছে আমার ইউনিয়নে গত কয়েকদিন যাবৎ বিভিন্ন বসত বাড়ী, দোকান পাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে চুরি হচ্ছে এতে জনজীবন অতিষ্ট। গতকাল ১২ সেপ্টেম্বর ইং মঙ্গলবার সাড়ে ১২ টার সময় আমার ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড জাহাজমারা গ্রামের দেওয়াখালী বাজারে স্থানীয় জনগন চোর সন্দেহে মোহাম্মদ হোসেন কে আটক করে গনপিটুনি দেয় এবং আমাকে মোবাইল ফোনে ঘটনাটি জানায়। আমি তাৎক্ষনিক আমার ইউনিয়ন পরিষদের গ্রাম পুলিশ মোঃ মহি উদ্দিন ও মোঃ নুর উদ্দিনকে ঘটনাস্থলে যাওয়ার নির্দেশ প্রদান করি। দায়িত্ব পালনরত গ্রাম পুলিশগন ঘটনাস্থলে উত্তেজিত জনতার হাত থেকে মোঃ হোসনকে উদ্ধার করে সুবর্নচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যায়। জনতা কর্তৃক ধৃত চোর মোহাম্মদ হোসেনকে হাসপাতালে নেওয়ার পর উক্ত চোরের পক্ষ নিয়ে প্রাক্তন মেম্বার নুর নবী ওরপে নোব্বা চোরা, সিরাজ (সাবেক মেম্বার) শাহজাহান, রতন, আলা উদ্দিন সহ ২০/২৫ জন চিহ্নিত সন্ত্রাসীগন মোহাম্মদ হোসেনকে হাসপাতাল থেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে কতিপয় ব্যক্তি জনতাকৃত আটক মোহাম্মদ হোসেনকে রাজনৈতিক দলের কর্মী হিসেবে পরিচয় দিয়ে এবং তার পায়ে গুলি করা হয়েছে মর্মে সাংবাদিকদের মিথ্যা তথ্য দেয়। মিথ্যা তথ্যের ঘটনার ভিত্তি করে সংবাদ পরিবেশন করে জনমনে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে যা সত্য নয়। আমি ঘটনাটি ভাৎক্ষনিক ভাবে অফিসার ইনচার্জ চরজব্বার থানা জনাব দেবপ্রিয় দাস এবং চরজব্বর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোঃ জয়নাল আবেদীনকে মোবাইলে অবহিত করি এবং প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য অনুরোধ করি।
সূবর্ণচর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্মে চিকিৎসকদের নিকট চিকিৎসারত অবস্থায় মোঃ হোসেনকে সাবেক মেম্বার নবী, সিরাজ, শাহজাহান, রতনসহ যে সমস্ত ব্যক্তিরা তাকে ২৫০ শর্য্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে নিয়ে যায়। তারা পথিমধ্যে হোসেনের উপর কি ধরনের নির্যাতন করেছে তার তদন্ত করা প্রয়োজন । মোঃ হোসেন ওয়ার্ড যুবলীগের কমিটির কোন পদে নাই এবং সে যুবলীগের কর্মীও নয় ।
স্থানে উল্লেখ্য যে, সাম্প্রতিক জি.আর মামলা নং-১৫৯৫/২২ ইং (চর জব্বর থানার) মামলায় সোহেল নামীয় চোর বিজ্ঞ জুডিসিয়াল ম্যাজিট্রেট ৮ নং আমলী আদালতের নিকট ১৬৪ ধারা স্বীকারোক্তি প্রদান করে বলে যে, পরিকল্পিত চুরির ঘটনার মূল হোতা নবী মেম্বারের সহোদর ভাই মজনুর নাম প্রকাশ করে। যাতে তারা ক্ষিপ্ত হয়ে আমার বিরুদ্ধে হীন ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। এমতাবস্থায় আপনাদের মাধ্যমে সত্য ঘটনা উদঘাটনের জন্য প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।