ঢাকা ০৬:২০ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

আ.লীগ নেত্রীর ছেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩ ১৫ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হাসান পিয়াস (৩৮) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আমিন উল্লার ছেলে। তার মা সাজেদা কানন একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের ব্যাংক রোডের শফি উল্যাহ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত পিয়াস হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। বিদেশ থেকে ফেরার পর বিয়ে করেন। এরপর পুনরায় বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যে সে নানা রকমের মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েন । মাদক সেবন নিয়ে সর্বশেষ স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার সময় নিহতের স্ত্রী তার শশুর বাড়িতে ছিলেন। নিহতের স্ত্রী বাপের বাড়ি থাকায়। উভয় পক্ষ মনে করেছে একে অপরের বাড়িতে আছে। এছাড়াও গত ২ দিন যাবত তার ফোন বন্ধ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে গত মঙ্গলবার রাত ১টার পর যে কোন সময় সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা দরজা খুলে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

আ.লীগ নেত্রীর ছেলের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করল পুলিশ

আপডেট সময় : ১০:০৪:১৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৩

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে এক যুবকের অর্ধগলিত মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত হাসান পিয়াস (৩৮) উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডের মৃত আমিন উল্লার ছেলে। তার মা সাজেদা কানন একই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভানেত্রী।

 

বৃহস্পতিবার (১৯ অক্টোবর) বেলা ১১টার দিকে উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়নের বাংলাবাজারের ব্যাংক রোডের শফি উল্যাহ মার্কেটের দ্বিতীয় তলায় একটি কক্ষ থেকে এ মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

 

পুলিশ ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, নিহত পিয়াস হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। বিদেশ থেকে ফেরার পর বিয়ে করেন। এরপর পুনরায় বিদেশ যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। এর মধ্যে সে নানা রকমের মাদকের সাথে জড়িয়ে পড়েন । মাদক সেবন নিয়ে সর্বশেষ স্ত্রীর সাথে মনোমালিন্য সৃষ্টি হয়। ঘটনার সময় নিহতের স্ত্রী তার শশুর বাড়িতে ছিলেন। নিহতের স্ত্রী বাপের বাড়ি থাকায়। উভয় পক্ষ মনে করেছে একে অপরের বাড়িতে আছে। এছাড়াও গত ২ দিন যাবত তার ফোন বন্ধ থাকায় ধারণা করা হচ্ছে গত মঙ্গলবার রাত ১টার পর যে কোন সময় সে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্নহত্যা করে। বৃহস্পতিবার সকালের দিকে অতিরিক্ত দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়রা দরজা খুলে তার ঝুলন্ত মরদেহ দেখে পুলিশে খবর দেয়।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহের সুরতহাল প্রস্তুত করেন। এ ঘটনায় একটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে। মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।