ঢাকা ০১:৫৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করে গৃহবধূর আত্মহত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩ ১১ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে এক গৃহবধূর মরহেদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মারজান আক্তার (২১) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছেরের মেয়ে।

 

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবার বাড়ির বসত ঘরের নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দেয় সে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহত মারজানের বাবা তার কক্ষের দরজা খুলে মেয়েকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

নিহতের বাবা আবু নাছের অভিযোগ করে বলেন, মারজানের শ্বশুর বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়। সে চার দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসে। শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের মানসিক নির্যাতন সয্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। ফাঁস দেওয়ার আগে আমার মেয়ে তার মুঠোফোনে এক ভিডিও বার্তায় তার মুত্যুর জন্য তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দাদী শাশুড়িকে তার দায়ী করে গেছেন। ভিডিও বার্তাটি আমি পুলিশের কাছে দিয়েছি।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের আলোকে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

ভিডিও বার্তায় অভিযোগ করে গৃহবধূর আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ০৯:০৫:০৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ অক্টোবর ২০২৩

কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ থেকে এক গৃহবধূর মরহেদ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত মারজান আক্তার (২১) উপজেলার বসুরহাট পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের আবু নাছেরের মেয়ে।

 

শুক্রবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যার দিকে মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এর আগে, একই দিন বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বাবার বাড়ির বসত ঘরের নিজ শয়ন কক্ষে গলায় ফাঁস দেয় সে।

 

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে নিহত মারজানের বাবা তার কক্ষের দরজা খুলে মেয়েকে ফাঁস লাগানো অবস্থায় দেখতে পায়। পরে তাকে উদ্ধার করে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করে।

 

নিহতের বাবা আবু নাছের অভিযোগ করে বলেন, মারজানের শ্বশুর বাড়ি লক্ষীপুর জেলায়। সে চার দিন আগে স্বামীর বাড়ি থেকে আমাদের বাড়িতে আসে। শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের মানসিক নির্যাতন সয্য করতে না পেরে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সে। ফাঁস দেওয়ার আগে আমার মেয়ে তার মুঠোফোনে এক ভিডিও বার্তায় তার মুত্যুর জন্য তার স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি ও দাদী শাশুড়িকে তার দায়ী করে গেছেন। ভিডিও বার্তাটি আমি পুলিশের কাছে দিয়েছি।

 

কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) প্রণব চৌধুরী বলেন, মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য মরদেহ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরবর্তীতে লিখিত অভিযোগের আলোকে এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।