নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
রামগতি উপজেলার ভূমিদস্যু ও কথিত বাদশা ডাকাতের বিরুদ্ধে সুবর্ণচরের বসবাসরত ভূমিহীনদের বাড়ীঘর ভাংচুর, লুটপাট ও নারীদের নির্যাতনের অভিযোগ পাওয়া গেছে। খবর পেয়ে গভীর রাতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চরজব্বর থানা পুলিশ। এ ঘটনায় ঐ এলাকায় থমথমে পরিবেশ বিরাজ করতে দেখা গেছে। যে কোন সময় বড় ধরনের হামলার শিকার হতে পারেন সুবর্ণচরের অসহায় ভূমিহীন মানুষজন।
১২ ফেব্রুয়ারী (সোমবার) ঘটনাটি ঘটে সুবর্ণচর ৫নং চর জুবিলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ড চর জিয়া উদ্দিন গ্রামের নতুন বাজার এলাকায়।
ভূমিহীন চর জিয়া উদ্দিনের সুলতান আহমদের পুত্র জাকের হোসেন দুলাল (৫০) সুজা মিয়ার পুত্র মোঃ আব্দুল(৫২), ইউনুছ মিয়ার স্ত্রী মর্জিনা আক্তার (৩৩) বাহার এর স্ত্রী পারভিন আক্তার (৩৫),, কালামের স্ত্রী রুমা আক্তার (৩১) হাসানের স্ত্রী নাজমা আক্তার (৩২), বাহার মাঝির স্ত্রী সুমি আক্তার সহ একাধিক ভুক্তভোগী বলেন, লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলা সংলগ্ন সুবর্নচরের ৫০ একর সরকারী খাসজমি কাগজ পত্র করে ভূমিহীনগন নথি সৃজন পূর্বক ঘরবাড়ী নির্মাণ করে বসবাস করিয়া আসিতেছে ভূমিহীনদের দাবী দীর্ঘদিন তাদের দখলে থাকা, জায়গা জমি প্বার্শবতী লক্ষীপুর জেলার রামগতি উপজেলার বাদশা ওরপে বাসু ডাকাত, ফরিদ মেম্বার, বাবর শিকদারসহ, ২০/২৫ জন সন্ত্রাসী বাহিনী গতকাল ১২ ফেব্রুয়ারী সোমবার গভীর রাতে সুবর্ণচরে প্রবেশ করে দেশীয় অস্র সস্রে সজ্জিত হয়ে নিরিহ ভূমিহীনদের বাড়ীঘর দখল করার চেষ্টা করে, ৭/৮ টি বাড়ী ভাংচুর করে, একটি বসত বাড়ী নিয়ে যায় এবং একাধিক ঘরবাড়ী লন্ডভন্ড করে রেখে যায়। বিগত ২ মাস ধরে এসব অত্যাচার নির্যাতন চালিয়ে আসছে কথিত বাদশা ডাকাত ও তার লোকজন।
সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় একাধিক বাড়ীঘর কুপিয়ে ক্ষতিগ্রস্থ করেছে ভূমিদস্যুরা।
চরজব্বর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন রাত দেড়টায় খবর পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে চরজব্বর থানা পুলিশ, দীর্ঘদিন ধরে দুই পাড়ের জায়গা নিয়ে দুপক্ষের বিরোধ চলে আসছে। জায়গা জমির বিষয় গুলো দেখবে এসিল্যান্ড। ফোজধারী কোন অপরাধ সংগঠিত হলে সে বিষয়ে আমি ব্যবস্থা নিবো। যেহেতু জায়গা জমি সংক্রান্ত বিষয় সেখানে আমার কিছু করার নেই।
ভূমিদস্যুদের বিরুদ্ধে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা ও উপযুক্ত শাস্তি প্রদানের জন্য ভূক্তিভোগীরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, নোয়াখালী জেলা প্রশাসক, নোয়াখালী পুলিশ সুপার, সুবর্ণচর উপজেলা নির্বাহী অফিসার, ভুমি কর্মকর্তা এবং চরজব্বার থানাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন।