নোয়াখালী প্রতিনিধি :
নোয়াখালী সদর উপজেলায় সড়কের পাশ থেকে সামাজিক বনায়নের সরকারি গাছ কেটে নিচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র। দিনের বেলায় বনবিভাগের কড়া নজরধারী থাকলেও গভীর রাতে সক্রিয় ওই গত এক মাসে সড়কের পাশের অর্ধশতাধিক গাছ সাবাড় করে ফেলছে।
সোমবার সরেজমিন উপজেলার রব বাজার-উদয় সাধুরহাট-বলি মার্কেট সড়ক (বেঁড়ি বাঁধ) ঘুরে দেখা গেছে সামাজিক বনায়নের আকাশমনি, মেহগনি, শিশুসহ বিভিন্ন প্রজাতির সারিবদ্ধ গাছের মাঝ থেকে মোটা ও বৃহৎ আকৃতির কিছু গাছ গোড়াসহ উপড়ে নেওয়া হয়েছে। আবার কেটে নেওয়ার পর কিছু গাছের গোড়া ছুরির সাক্ষী হয়ে রয়ে গেছে।
স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, কিছু দিন আগেও সড়কের পাশের মোটা ও বৃহৎ আকৃতির গাছগুলো প্রাকৃতিক বাতাসে দৌল খাচ্ছিলো। কিন্তু কোথাও গভীর রাতে আবার কোথাও দিনের বেলায় প্রকাশ্যে এক-দুইটি করে গাছগুলো কেটে নিয়ে যাচ্ছে একটি সংঘবদ্ধ চক্র।
উপজেলার চরমটুয়া ইউনিয়নের ঘোনার বাড়ি মসজিদ হতে বলি মার্কেট সড়কের ১০ কিঃ মিঃ সামাজিক বনায়ন (২০০০-২০০১) এলাকার নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক বাসিন্দারা জানান, গত এক মাসে লক্ষীনারায়ণপুর গ্রামের কাজী সামছুল ইসলামের ছেলে কাজী হাসান ও তার ভাই কাজী শাহান প্রকাশ্যে ১০ থেকে ১২টি সরকারি গাছ কেটে নিয়ে যায়। তারা এলাকায় প্রভাবশালী হওয়ায় ভয়ে কেউ তাদের বিরুদ্ধে কথা বলতে চায় না।
এদিকে সড়কের গাছ কেটে নেওয়ার খবরে সরেজমিনে তদন্ত করেছেন বনবিভাগের নোয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তারা। বনবিভাগ নোয়াখালী রেঞ্জের বন প্রহরী মো. নাজমুল ইসলাম বলেন, চরমটুয়া ইউনিয়নের ঘোনার বাড়ি মসজিদ হতে বলি মার্কেট সড়কের ১০ কিঃ মিঃ সামাজিক বনায়নের কিছু গাছ চুরির খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গেলে স্থানীয় লোকজন এবং ল²ীনারায়ণপুর গ্রামের ফখরুল ইসলামের ছেলে কাজী হাসান জানান তার ভাই কাজী শাহান সড়কের তিনটি মেহগনি গাছ ও ২টি শিশু গাছ কেটে নিয়ে গেছে। গাছগুলো উদ্ধার করা না গেলেও চুরি হওয়া গাছের গোড়াগুলো রয়ে গেছে।
বনবিভাগ নোয়াখালী রেঞ্জ কর্মকর্তা সাখায়েত উল্যা বলেন, স্থানীয় উপকারভোগী সভাপতি ও তাদের সদস্যদের সাক্ষ্য গ্রহনের ভিত্তিতে এ বিষয়ে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।