ঢাকা ০২:৫৯ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীতে অসহায় মেয়ের বিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০ ১২৫৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে মৃত পিতার অবর্তমানে অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে বিয়ের সকল খরচ বহন করে এক অসহায় মেয়েকে বিয়ে দিলেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন ।

নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের্র বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার উল্ল্যাহ ২০০৯ সালে কক্সবাজারে কর্তব্যরত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। মৃত্যকালে তিন মেয়ে এক ছেলে ছোট থাকায় পরিবারের হাল ধরার কেউ ছিলোনা। ফলে চরম অন্ধকার নেমে আসে পরিবারটিতে ।

মৃত পুলিশ কনেস্টবলের স্ত্রী সাহেদা আক্তার জানান, মেয়ে আসমাউল হোসনা মুক্তার বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ার পরই জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। ঠিক সেই সময় পাশে এসে সকল খরচ বহন করে বিয়ের কার্য সম্পন্ন করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার। এই বিয়ের আয়োজনে বর-কনে দুইজনই বেশ উৎফুল্ল। পিতার অবর্তমানে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করায় পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এলাকাবাসী ।

পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, অসহায় পরিবারের পাশে থেকে বিয়ে দিয়েছি, তারা একা নয় আমরা সবাই তাদের পাশে আছি । পুলিশ প্রশাসন এধরনের সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত রাখবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি থীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ইন সার্ভিসট্রেনিং সেন্টার ) সাজ্জাত হোসেন, সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ নবীন হোসেন, এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজাহের সহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নোয়াখালীতে অসহায় মেয়ের বিয়ে দিলেন পুলিশ সুপার

আপডেট সময় : ০৮:৩৬:২৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১১ অগাস্ট ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে মৃত পিতার অবর্তমানে অভিভাবকের দায়িত্ব নিয়ে বিয়ের সকল খরচ বহন করে এক অসহায় মেয়েকে বিয়ে দিলেন নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন ।

নোয়াখালী সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নের ৫নং ওয়াডের্র বাসিন্দা পুলিশ কনস্টেবল আনোয়ার উল্ল্যাহ ২০০৯ সালে কক্সবাজারে কর্তব্যরত অবস্থায় সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন। মৃত্যকালে তিন মেয়ে এক ছেলে ছোট থাকায় পরিবারের হাল ধরার কেউ ছিলোনা। ফলে চরম অন্ধকার নেমে আসে পরিবারটিতে ।

মৃত পুলিশ কনেস্টবলের স্ত্রী সাহেদা আক্তার জানান, মেয়ে আসমাউল হোসনা মুক্তার বিয়ের কথা পাকাপাকি হওয়ার পরই জেলা পুলিশ সুপারের সহযোগিতা চাওয়া হয়। ঠিক সেই সময় পাশে এসে সকল খরচ বহন করে বিয়ের কার্য সম্পন্ন করেন নোয়াখালী পুলিশ সুপার। এই বিয়ের আয়োজনে বর-কনে দুইজনই বেশ উৎফুল্ল। পিতার অবর্তমানে অভিভাবকের দায়িত্ব পালন করায় পুলিশ সুপারের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান এলাকাবাসী ।

পুলিশ সুপার আলমগীর হোসেন জানান, অসহায় পরিবারের পাশে থেকে বিয়ে দিয়েছি, তারা একা নয় আমরা সবাই তাদের পাশে আছি । পুলিশ প্রশাসন এধরনের সহযোগিতা সবসময় অব্যাহত রাখবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ,অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দীপক জ্যোতি থীসা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ( ইন সার্ভিসট্রেনিং সেন্টার ) সাজ্জাত হোসেন, সুধারাম থানার অফিসার ইনচার্জ নবীন হোসেন, এওজবালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুজাহের সহ সমাজের গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ।