নোয়াখালীতে লিফটের বক্সে পড়ে নারীর মৃত্যু

নিউজ ডেস্ক
নিউজ ডেস্ক
আপডেটঃ : রবিবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে এসে হাসপাতালের ক্রটিপূর্ণ লিফটের বক্সে পড়ে জহুরা বেগম (৪০) নামের এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বিষয়টি দূর্ঘটনা বললেও রোগীর স্বজনদের বক্তব্য শুনে বিষয়টি খতিয়ে দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলছে পুলিশ।

 

রবিবার সন্ধ্যা ৫টার দিকে নোয়াখালী জেলা শহর মাইজদীর জি-৮ গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতাল প্রাইভেট লিমিটেড ৪র্থ তলায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত জহুরা বেগম লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার চন্দ্রগঞ্জের রামকৃষ্ণপুর গ্রামের খুরশিদ আলমের স্ত্রী।

 

নিহতের স্বজনরা বলছেন, গত ২৯ জানুয়ারি জহুরার শ্বশুর আনোয়ারুল ইসলাম সড়ক দূর্ঘটনায় মারাত্বক আহত হন। ওইদিন সন্ধ্যায় উনাকে মাইজদী জি-৮ গ্রামীণ জেনারেল হাসপাতালের চতুর্থ তলার ৪১৭ নাম্বার কক্ষে ভর্তি করা হয়। ভর্তির পর থেকে হাসপাতালটির লিফট চতুর্থ তলায় কাজ করছিল না। এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে একাধিকবার জানালেও তারা কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। রবিবার দুপুরে অসুস্থ শ্বশুরকে দেখতে ছেলেকে নিয়ে হাসপাতালে আসেন জহুরা। সন্ধ্যায় শ্বশুরকে দেখে ছেলেকে নিয়ে বাড়ী যাওয়ার জন্য হাসপাতালের নিছে নামতে লিফটের কাছে গিয়ে সুইজে চাপ দেন তিনি। কিছুক্ষণের মধ্যে দরজা খুললেও লিফটি পাঁচ তলায় চলে যায়, কিন্তু চার তলায় লিফট আছে ভেবে তিনি ভিতরে পা দিতেই ছিটকে নিছে পড়ে যান। হাসপাতালের লোকজন বিষয়টি দেখতে পেয়ে জহুরাকে উদ্ধার করে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে গেলে সেখানে তার মৃত্যু হয়। নিহতের স্বজনদের অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা ও ক্রটিপূর্ণ লিফটের কারনেই জহুরার মৃত্যু হয়েছে। তারা এ ঘটনার সুবিচার দাবী করেছেন।

 

হাসপাতালটির চেয়ারম্যান আব্দুল মালেক মানিক বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, চতুর্থ তলায় লিফটি কাজ করছিল না। এ একটি দূর্ঘটনা।

 

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। এ মৃত্যুর বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অবহেলা পেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। একই সাথে ওই লিফটি বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।


এই ক্যাটাগরির আরো নিউজ

আর্কাইভ

সোম মঙ্গল বুধ বৃহ শুক্র শনি রবি
 
১০
১১১২১৩১৪১৫১৬১৭
১৮১৯২০২১২২২৩২৪
২৫২৬২৭২৮২৯৩০