নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর ভাসানচরে চতুর্থ দফায় পৌঁছেছেন দুই হাজার ১০ জন রোহিঙ্গা। সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুর পৌনে ২টার দিকে তারা সেখানে পৌঁছান। তাদের মধ্যে ৪৮৫ জন নারী ,৫৭৭ জন পুরুষস ও ৯৪৮ জন শিশু রয়েছে।
একই দিন সকাল ৯ টার দিকে চট্রগ্রামের পতেঙ্গা নৌবাহিনীর রেডি রেসপন্স বার্থ থেকে তাদের নিয়ে ৫ টি জাহাজ ভাসান চরের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। এর আগে, রোববার সড়ক পথে তারা চট্রগ্রাম এসে পৌঁছান। রাতে তাদের বিএএফ শাহীন কলেজ মাঠের অস্থায়ী ক্যাম্পে রাখা হয়। চতুর্থ দফায় ধাপে ধাপে প্রায় ৪ হাজার রোহিঙ্গাকে ভাসানচরে আনা হবে বলে জানাগেছে।
ভাসানচর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মাহে আলম জানান, রোহিঙ্গাদের জাহাজ থেকে নামিয়ে প্রাথমিক মেডিকেল পরীক্ষা শেষে গাড়ী যোগে ওয়্যার হাউজ এ সমবেত করে ব্রিফ প্রদান করা হয়। পরে ভাসান চরের ক্লাস্টারে স্থানান্তর করা হয়।
উল্লেখ্য, গত বছরের ৪ ডিসেম্বর প্রথম ধাপে আনুষ্ঠানিকভাবে নারী-পুরুষ, শিশুসহ নোয়াখালীর হাতিয়ার ভাসানচরে পৌঁছে ১ হাজার ৬৪২ জন রোহিঙ্গা। রোহিঙ্গাদের জন্য প্রস্তুত ৭,৮,৯,১০ নম্বর ক্লাষ্টারে তাদেরকে রাখা হয়। প্রথমধাপে ভাষানচরে আসা রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশু রয়েছে ৮১০জন,পুরুষ ৩৬৮জন, নারী ৪৬৪জন।
গত ২৯ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজার থেকে আরো ১ হাজার ৮০৪ জন রোহিঙ্গা ভাসানচরে পৌঁছায়। তাদের মধ্যে ১৩০ জনের বেশী রয়েছে প্রথম দফায় যাওয়া রোহিঙ্গাদের স্বজন। গত বছরের ৮ মে বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের জল সীমায় ভাসতে থাকা ২৭৭ রোহিঙ্গাদের আরো একটি দলকে ভাসান চরে স্থানান্তর করা হয়। কক্সবাজারের বঙ্গোপসাগরে বোটে ভাসমান অবস্থা থেকে তাঁদের উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা দলটিতে ৯২ জন পুরুষ, ১৫৭ জন নারী ও ২৮ জন শিশু ছিল।
গত ২৯ জানুয়ারী ভাসানচরে এসে পৌঁছান এক হাজার ৭৭৬ জন রোহিঙ্গা। । এদের মধ্যে পুরুষ ৪০৪ জন, মহিলা ৫১০ জন এবং আটশত ৬২ জন শিশু রয়েছে। ৩০ জানুয়ারী তৃতীয় দফায় দ্বিতীয় পর্যায়ে আরো ১ হাজার ৪৬৭ জন রোহিঙ্গা এসে পৌঁছায়। এদের মধ্যে পুরুষ ৩৪৭ জন, মহিলা ৪০৫ জন এবং ৭১৫ জন শিশু ছিলো ।
এর আগে ২০১৯ সালের ১৯ এপ্রিল হাতিয়ায় মেঘনা নদীর বুকে জেগে উঠা ভাসানচরে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয় কেন্দ্র নির্মান শেষ হয়। ২০১৯ ইং সালের ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এ প্রকল্পের কাজ বাস্তবায়ন হওয়ার কথা থাকলেও আগেই শেষ হয় সকল অবকাঠামো নির্মান। হাতিয়া থেকে প্রায় ৫০কিলোমিটার দূরে ১৩ হাজার বর্গ কিলোমিটার দ্বীপের এ আশ্রয়ন প্রকল্পে ১২০টি গুচ্ছগ্রাম রয়েছে।এতে ১ লাখ রোহিঙ্গা বাসযোগ্য করা হয়েছে।