নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
পঞ্চম ধাপে নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার ভাসানচরে এসে পৌঁছেছে আরও ২২৫৭জন রোহিঙ্গা নারী-পুরুষ। এরমধ্যে ৫৬৩জন পুরুষ, ৬৬৫জন নারী ও ১০২৯জন শিশু রয়েছে। এরআগে সকালে পতেঙ্গা বিসিজি আউটপোষ্ট থেকে ৬টি নৌবাহিনী জাহাজে করে ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয় তারা। উখিয়া থেকে চট্টগ্রাম আসার পথে অসুস্থ হওয়ায় ২ রোহিঙ্গাকে লোহাগড়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বুধবার দুপুর ১টা থেকে ২টা পর্যন্ত সময়ের মধ্যে তারা ভাসানচরে এসে পৌঁছেছে বলে নিশ্চিত করেছেন ভাসানচর থানার ওসি মো. মাহে আলম।
তিনি বলেন, সকালে পতেঙ্গা বিসিজি আউটপোষ্ট থেকে ৩৭৭জন রোহিঙ্গা নিয়ে বিএনএস সন্দীপ, ৩৭৭জন রোহিঙ্গা নিয়ে বিএনএস হাতিয়া, ৩৬০জন রোহিঙ্গা নিয়ে এলসিইউ-১, ৩৭৯ রোহিঙ্গা নিয়ে এলসিইউ-২, ৩৯৩জন রোহিঙ্গা নিয়ে এলসিইউ-৩ এবং ৩৭১ জন রোহিঙ্গা নিয়ে এলসিইউ-৪ ভাসানচরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া দুপুর ১টা থেকে ২টার মধ্যে তারা ভাসানচরে এসে পৌঁছেছে।
জানা গেছে, এরআগে চারটি ধাপে ভাসানচরে আবাসন নিশ্চিত হয়েছে ৯ হাজার ৫শত ৪০ রোহিঙ্গার। প্রথম ধাপে গত ৪ ডিসেম্বর এসেছিল ১৬৪২ জন, দ্বিতীয় ধাপে গত ২৯ ডিসেম্বর ১৮০৫জন, তৃতীয় ধাপে গত ২৮ ও ২৯ জানুয়ারি ২০২১তারিখে ৩২০০ জন ও ১৪ ও ১৫ ফেব্রুয়ারি ভাসানচরে আসে আরও ২৮৯৩জন রোহিঙ্গা।
ভাসানচরে নৌবাহিনীর তত্ত্বাবধানে রোহিঙ্গা স্থানান্তরের জন্য নিজস্ব তহবিল থেকে ৩ হাজার ৯৫ কোটি টাকা ব্যয়ে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। ১লাখ রোহিঙ্গার বসবাসের জন্য উপযোগী করে ১২০টি গুচ্ছগ্রামের অবকাঠামো তৈরি করা হয়েছে ১৩হাজার একর আয়তনের এই চরটিতে।