নোয়াখালী প্রতিনিধি:
নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগ গ্রুপ ও কাদের মির্জা গ্রুপের মধ্যে পাল্টাপাল্টি সংঘর্ষ, ফেইসবুকে অপপ্রচার ও লাইভে গিয়ে চরিত্র হনন নিয়ে উত্তেজনা বিরাজ করছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকেল ৫টার দিকে কাদের মির্জার প্রতিপক্ষ বাদল তার ফেইসবুক অ্যাকাউন্টকে এডিট করে প্রচারের অভিযোগে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন।
জিডিতে বাদল উল্লেখ করেন, আজ (১৫ এপ্রিল) অনুমান ৩ টার দিকে চরএলাহী ইউনিয়নের বাসিন্দা কামাল হোসেন আমার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে একটি পোস্ট স্ক্রিনশটের মাধ্যমে নিয়ে আমার উপরের নাম রেখে বাকি সব গুলো কেটে এডিট করে ওবায়দুল কাদের আ,কা মির্জা, শাহাদাত এরা নাস্তিক রাজাকার পরিবারের এদের বর্জন করুন।
এই পরিবার থেকে কোম্পানীগঞ্জের জনগণ মুক্তি চাই। আ.কা মির্জাকে গ্রেপ্তার না করলে আরো লাশ পড়বে। তার ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে উক্তি লিখে পরবর্তীতে কামাল হোসেন তার ফেইসবুক অ্যাকাউট থেকে পোষ্ট করে। পরবর্তীতে বসুরহাট পৌরসভার বাসিন্দা, হামিদ উল্যাহ, সাহাদাত হোসেন সজল ও চরকাঁকড়া ইউনিয়নের শাহাদাত হোসেন পিংকু, চরহাজারী ইউনিয়নের রুমন চৌধুরী স্ট্যাটাসের ছবি সেভ করে তাদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্ট হতে পোস্ট করে। আমার রাজনৈতিক ক্যারিয়ার নষ্ট করার জন্য উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে আমাকে হেয় প্রতিপন্ন করার জন্য এমন কাজ করে।
কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বাদলের জিডি করার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
উল্লেখ্য, এর আগে-বৃহস্পতিবার বিকেলে মির্জা কাদেরের অনুসরী শাহাদাত সিফাতের ফেইসবুক লাইভে মিথ্যাচারের জের ধরে আ.লীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, গোলাগুলি ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে।
এ ঘটনায় দুই গ্রুপের অন্তত ৮জন আহত হয়েছে। আহতরা হলো, আরমান (৪৩), মির্জা কাদেরের ছেলে তাশিক মির্জা (২৯), মিরাজ (৩৩)। তবে আহতদের মধ্যে উপজেলা আ.লীগ গ্রুপের আরমান ছাড়া বাকীদের আঘাত গুরুত্বর নয় বলে জানা গেছে।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকাল ৪টার দিকে কোম্পানীগঞ্জ থানার গেটের সামনে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।