ঢাকা ১২:৫৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগ নেতার ওপর হামলা: হাত-পায়ে পড়েছে ৯ ভাঙ্গা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১ ৫২৫৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরী মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) নতুন বিল্ডিংয়ের ৭০৬ নম্বর কেবিনে তাকে ভর্তি করা হয়।

তবে তার মূল চিকিৎসা এখনো শুরু হয়নি। কারণ তার ডায়াবেটিস, হার্ট, পেসারের সমস্যা আছে। এগুলো স্টেবল হলে, করোনা টেস্ট করে তার অপারেশন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিল্পপতি নাজমুল হক নাজিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, ডান পায়ের হাঁটুর জয়েন্ট ছুটে নিচে নেমে গেছে তার। ডান হাতের দুটো আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে। হাঁটুর নিচে একটি পায়ে ৬ ভাঙ্গা পড়েছে। তবে এক্সরেতে পায়ে কোন গুলি বা গুলির চিহৃ দেখা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পায়ের একটি স্থানে লোহার রড ঢুকে বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। তবে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনাচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, খুব কাছ থেকে পায়ে গুলি করা হয়েছে। যদি লোহার রডের মাথা দিয়ে খুঁচিয়ে এমন আঘাত করা হত তা হলে আঘাতের ওই স্থানে থেতলে যেত। আসলে আঘাতের স্থানে এমনটি হয়নি। তিনি আরো জানান, এখনো এক্সরের কোন রিপোর্ট তাদের হাতে আসেনি। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা অনুসারী ৭জনকে আটক করেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বুসরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১ নম্বর সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরনবী চৌধুরীকে (৬৬), গুলি করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেয় কাদের মির্জার অনুসারীরা।

পরে একই দিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মিজানুর রহমান বাদল এ হামলার জন্য বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা এবং তার সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

কোম্পানীগঞ্জে আ.লীগ নেতার ওপর হামলা: হাত-পায়ে পড়েছে ৯ ভাঙ্গা

আপডেট সময় : ০৭:৫১:০৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২০ এপ্রিল ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ইউপি চেয়ারম্যান নুরনবী চৌধুরী মুমূর্ষ অবস্থায় ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানে (পঙ্গু হাসপাতাল) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গতকাল সোমবার বিকেল ৪টার দিকে ঢাকার জাতীয় অর্থোপেডিক হাসপাতাল ও পুনর্বাসন প্রতিষ্ঠানের (পঙ্গু হাসপাতাল) নতুন বিল্ডিংয়ের ৭০৬ নম্বর কেবিনে তাকে ভর্তি করা হয়।

তবে তার মূল চিকিৎসা এখনো শুরু হয়নি। কারণ তার ডায়াবেটিস, হার্ট, পেসারের সমস্যা আছে। এগুলো স্টেবল হলে, করোনা টেস্ট করে তার অপারেশন করতে হবে।

মঙ্গলবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় ডাক্তারের উদ্ধৃতি দিয়ে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শিল্পপতি নাজমুল হক নাজিম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি আরো জানান, ডান পায়ের হাঁটুর জয়েন্ট ছুটে নিচে নেমে গেছে তার। ডান হাতের দুটো আঙ্গুল ভেঙ্গে গেছে। হাঁটুর নিচে একটি পায়ে ৬ ভাঙ্গা পড়েছে। তবে এক্সরেতে পায়ে কোন গুলি বা গুলির চিহৃ দেখা যায়নি। প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পায়ের একটি স্থানে লোহার রড ঢুকে বড় একটি গর্তের সৃষ্টি হয়। তবে পরে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার অফিসার ইনাচার্জ (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি জানান, খুব কাছ থেকে পায়ে গুলি করা হয়েছে। যদি লোহার রডের মাথা দিয়ে খুঁচিয়ে এমন আঘাত করা হত তা হলে আঘাতের ওই স্থানে থেতলে যেত। আসলে আঘাতের স্থানে এমনটি হয়নি। তিনি আরো জানান, এখনো এক্সরের কোন রিপোর্ট তাদের হাতে আসেনি। এ ঘটনায় পুলিশ এখন পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মির্জা অনুসারী ৭জনকে আটক করেছে।

উল্লেখ্য, সোমবার (১৯ এপ্রিল) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে বুসরহাট পৌরসভার ৩নং ওয়ার্ডে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও ১ নম্বর সিরাজপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. নুরনবী চৌধুরীকে (৬৬), গুলি করে লোহার রড দিয়ে পিটিয়ে দুই পা ভেঙ্গে দেয় কাদের মির্জার অনুসারীরা।

পরে একই দিন দুপুর পৌনে ২টার দিকে, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান ও উপজেলা আ.লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো.মিজানুর রহমান বাদল এ হামলার জন্য বসুরহাটের মেয়র আবদুল কাদের মির্জার নির্দেশে তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জা এবং তার সন্ত্রাসীদের দায়ী করেছেন।