ঢাকা ০৩:৫৩ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

নোয়াখালীর ধর্মপুরে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ নিজের দোকানেই ঝুলে আছে

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৭:০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১ ২৮৫২ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে নিখোঁজ হওয়ার ১১ ঘন্টা পর এক মুদি দোকানির ঝুলন্ত মরদেহ তার নিজের দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ ও নিহতের পরিবার তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি।

নিহত কামাল উদ্দিন জুয়েল (৩৫) সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মাধু মিয়ার বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। তিনি ২ ছেলের জনক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ১টার দিকে ধর্মপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ঈদগাও মাঠের পোলের গোড়া সংলগ্ন নিহতের মুদি ও মনোহারি দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের ছোট ভাই মো.শাহদাত হোসেন মামুন জানান, তাদের বাড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামে। তার সেজো ভাই জুয়েল একই ইউনিয়নের তাদের বাড়ি সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ডের ঈদগাও মাঠের পাশে মুদি দোকান করত। পাশাপাশি পরিবাবের দেখভাল করত সে। তারা তিন ভাই প্রবাসে থাকেন। তিনি আরো জানান, তাদের দুবাই প্রবাসী দুই ভাই দুবাই থেকে মাঝে মধ্যে হন্ডির ব্যবসা করত। তারা হুন্ডির টাকা বিদেশ থেকে জুয়েলের কাছে পাঠায়। সে টাকা গুলো বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত। গতকালকে দুবাই থেকে হন্ডির মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা জুয়েলের কাছে পাঠানো হয়। বুধবার (২৬ মে) রাত ১১টার দিকে জুয়েল ঘরে ভাত খেয়ে বাহিরে চলে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাত ১২টার দিকে আমার ভাবি আমাকে এ বিষয়ে ফোন করে জানালে আমি তার নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। আমি মনে করেছি তিনি টাকা দিতে হয়তো মাইজদী গেছেন। পরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমি শুয়ে পড়ি। সকাল ১০টার দিকে আমার জেঠাতো ভাই মো. ইরাজ তার দোকানে গিয়ে স্যাটার খুলে দেখতে পায় স্যাটারের পাশে একটি লোহার সাথে তার মরদেহ ঝুলে আছে।

নিহতের ভাই মামুন অভিযোগ করেন, কখনো আমার ভাই রাতে দোকানে থাকতনা। তার ভাইকে কেউ হত্যা করে দোকানের ভিতর একটি লোহার সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। তার ভাইয়ের হাতে হালকা আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি) মো.সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছেনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

নোয়াখালীর ধর্মপুরে নিখোঁজ ব্যবসায়ীর মরদেহ নিজের দোকানেই ঝুলে আছে

আপডেট সময় : ০৭:০১:৫৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৭ মে ২০২১

নোয়াখালী প্রতিবেদক:

 

নোয়াখালীর সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নে নিখোঁজ হওয়ার ১১ ঘন্টা পর এক মুদি দোকানির ঝুলন্ত মরদেহ তার নিজের দোকান থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে পুলিশ ও নিহতের পরিবার তাৎক্ষণিক এ হত্যাকান্ডের কোন কারণ জানাতে পারেনি।

নিহত কামাল উদ্দিন জুয়েল (৩৫) সদর উপজেলার ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের মাধু মিয়ার বাড়ির আবুল কালামের ছেলে। তিনি ২ ছেলের জনক ছিলেন।

বৃহস্পতিবার (২৭ মে) দুপুর ১টার দিকে ধর্মপুর ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ঈদগাও মাঠের পোলের গোড়া সংলগ্ন নিহতের মুদি ও মনোহারি দোকান থেকে মরদেহটি উদ্ধার করা হয়।

নিহতের ছোট ভাই মো.শাহদাত হোসেন মামুন জানান, তাদের বাড়ি ধর্মপুর ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ডের ধর্মপুর গ্রামে। তার সেজো ভাই জুয়েল একই ইউনিয়নের তাদের বাড়ি সংলগ্ন ২নং ওয়ার্ডের ঈদগাও মাঠের পাশে মুদি দোকান করত। পাশাপাশি পরিবাবের দেখভাল করত সে। তারা তিন ভাই প্রবাসে থাকেন। তিনি আরো জানান, তাদের দুবাই প্রবাসী দুই ভাই দুবাই থেকে মাঝে মধ্যে হন্ডির ব্যবসা করত। তারা হুন্ডির টাকা বিদেশ থেকে জুয়েলের কাছে পাঠায়। সে টাকা গুলো বিভিন্ন জায়গায় পৌঁছে দিত। গতকালকে দুবাই থেকে হন্ডির মাধ্যমে এক লক্ষ টাকা জুয়েলের কাছে পাঠানো হয়। বুধবার (২৬ মে) রাত ১১টার দিকে জুয়েল ঘরে ভাত খেয়ে বাহিরে চলে যায়। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ ছিলেন। রাত ১২টার দিকে আমার ভাবি আমাকে এ বিষয়ে ফোন করে জানালে আমি তার নম্বরে একাধিকবার ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেনি। আমি মনে করেছি তিনি টাকা দিতে হয়তো মাইজদী গেছেন। পরে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে আমি শুয়ে পড়ি। সকাল ১০টার দিকে আমার জেঠাতো ভাই মো. ইরাজ তার দোকানে গিয়ে স্যাটার খুলে দেখতে পায় স্যাটারের পাশে একটি লোহার সাথে তার মরদেহ ঝুলে আছে।

নিহতের ভাই মামুন অভিযোগ করেন, কখনো আমার ভাই রাতে দোকানে থাকতনা। তার ভাইকে কেউ হত্যা করে দোকানের ভিতর একটি লোহার সাথে মরদেহ ঝুলিয়ে রাখে। তার ভাইয়ের হাতে হালকা আঘাতের চিহৃ রয়েছে বলেও জানান তিনি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সুধারম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মর্তা (ওসি) মো.সাহেদ উদ্দিন জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে এটা হত্যা না আত্মহত্যা এ বিষয়ে এখনো কিছু বলা যাচ্ছেনা। ময়না তদন্তের রিপোর্ট হাতে পেলে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানা যাবে।