ঢাকা ০৪:৩৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২০ জানুয়ারী ২০২৫

হত্যা, গুম ও হামলার আশঙ্কায় এমপি একরাম ও তিন বাগিনাসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করলেন মির্জা কাদের

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০১:১৮:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১ ৩০১৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিবেদক:

 

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই আলোচিত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে জানান, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ তার তিন ভাগিনা দেশের মধ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন।

 

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীসহ ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

 

হত্যা, গুম ও হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে এই জিডি করেন কাদের মির্জা। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগটি তিনি নিজে তদন্ত করছেন।

 

 

এ ছাড়াও আমেরিকাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নুরুল করিম জুয়েল, তার শ্বশুর আল-আমিন, সেলিম চৌধুরী, ভিপি বাবুল, সাহাব উদ্দিন, শাহজাহান ছোটনসহ অনেকে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের এ পরিকল্পনা করছেন। এতে তিনি ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করে এই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

 

অভিযোগে আব্দুল কাদের মির্জা আরও বলেন, গত শনিবার (৫ জুন) আমেরিকান সময় রাত ১০টায় ও পরদিন রোববার (৬ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার দিকে সাংসদ একরামের কবিরহাটের বাড়ি ও আমেরিকায় আল-আমিনের ম্যাকডোনাল্ডের বাড়িতে অভিযুক্ত আসামিরা বৈঠক করে তাকে (কাদের মির্জা) হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেন।

 

এ ছাড়াও বুধবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় তার ভাগনে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর বসুরহাট পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের বাসায় বৈঠক করে কাদের মির্জার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। পরিষদের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অনাস্থা দিয়ে তাকে পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন বলেও উল্লেখ করেন আ: কাদের মির্জা।

 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু ৯ জুন সন্ধ্যায় তার বাসায় আওয়ামী লীগের সভার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ওই সভায় কাউকে হত্যা বা গুম করার পরিকল্পনা হয়নি। এমনকি কাউকে হামলা বা পদ থেকে সরানোর পরিকল্পনাও হয়নি। সেখানে দলীয় কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার জন্য এক আলোচনা সভা হয়েছে।’

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

হত্যা, গুম ও হামলার আশঙ্কায় এমপি একরাম ও তিন বাগিনাসহ ৯৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় জিডি করলেন মির্জা কাদের

আপডেট সময় : ০১:১৮:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ জুন ২০২১

নোয়াখালী প্রতিবেদক:

 

 

বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর ছোট ভাই আলোচিত বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আব্দুল কাদের মির্জা অভিযোগ করে জানান, সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আজম পাশা চৌধুরী রুমেলসহ তার তিন ভাগিনা দেশের মধ্যে তাকে হত্যার পরিকল্পনা করছেন।

 

নোয়াখালী-৪ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক একরামুল করিম চৌধুরীসহ ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে তাদের বিরুদ্ধে কোম্পানীগঞ্জ থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জা।

 

হত্যা, গুম ও হামলার আশঙ্কায় বৃহস্পতিবার রাতে এই জিডি করেন কাদের মির্জা। বিষয়টি নিশ্চিত করে কোম্পানীগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, অভিযোগটি তিনি নিজে তদন্ত করছেন।

 

 

এ ছাড়াও আমেরিকাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য নুরুল করিম জুয়েল, তার শ্বশুর আল-আমিন, সেলিম চৌধুরী, ভিপি বাবুল, সাহাব উদ্দিন, শাহজাহান ছোটনসহ অনেকে তাকে হত্যা করে লাশ গুমের এ পরিকল্পনা করছেন। এতে তিনি ৯৬ জনের নাম উল্লেখ করে ও ২০-২৫ জন অজ্ঞাতপরিচয়ে আসামি করে এই সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।

 

অভিযোগে আব্দুল কাদের মির্জা আরও বলেন, গত শনিবার (৫ জুন) আমেরিকান সময় রাত ১০টায় ও পরদিন রোববার (৬ জুন) বাংলাদেশ সময় সকাল ৮টার দিকে সাংসদ একরামের কবিরহাটের বাড়ি ও আমেরিকায় আল-আমিনের ম্যাকডোনাল্ডের বাড়িতে অভিযুক্ত আসামিরা বৈঠক করে তাকে (কাদের মির্জা) হত্যা করে লাশ গুমের পরিকল্পনা করেন।

 

এ ছাড়াও বুধবার (৯ জুন) সন্ধ্যায় তার ভাগনে মাহবুবুর রশিদ মঞ্জুর বসুরহাট পৌরসভা ৯ নং ওয়ার্ডের বাসায় বৈঠক করে কাদের মির্জার নেতাকর্মীদের ওপর হামলা করে। পরিষদের কাউন্সিলরদের মাধ্যমে অনাস্থা দিয়ে তাকে পদ থেকে সরানোর ষড়যন্ত্র করছেন বলেও উল্লেখ করেন আ: কাদের মির্জা।

 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের (একাংশ) মুখপাত্র মাহবুবুর রশিদ মঞ্জু ৯ জুন সন্ধ্যায় তার বাসায় আওয়ামী লীগের সভার বিষয়টি স্বীকার করে বলেন, ‘ওই সভায় কাউকে হত্যা বা গুম করার পরিকল্পনা হয়নি। এমনকি কাউকে হামলা বা পদ থেকে সরানোর পরিকল্পনাও হয়নি। সেখানে দলীয় কর্মকাণ্ডকে গতিশীল করার জন্য এক আলোচনা সভা হয়েছে।’