নিজেস্ব প্রতিবেদক, নোয়াখালী:
নদী ভাঙনের কবলে পড়ে বিপর্যস্ত নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলার চর এলাহী ইউনিয়ন। এখানে প্রতিদিন রাক্ষসী বামনীয়া নদীর ভাঙ্গনে পড়ে ঘরবাড়ি হারাচ্ছে শতশত পরিবার।
চর এলাহীতে টেকসই কোনো বেড়িবাঁধ না থাকায় ইতিমধ্যেই এই ইউনিয়নটির বেশকিছু এলাকা নদী গর্বে বিলীন হয়ে গেছে। রাক্ষসী নদী কেড়ে নিয়েছে এখানকার হাজার হাজার একর ফসলী জমি, কেড়ে নিয়েছে কতশত মাছের ঘের, নদীতে হারিয়ে গেছে স্কুল মাদ্রাসা, রাস্তাঘাট সহ অসংখ্য বাড়িঘর।
চর এলাহী ইউনিয়ন বাংলাদেশের দুজন প্রভাবশালী মন্ত্রীর এলাকা হলে-ও এখানে নদী ভাঙন প্রতিরোধে তেমন কোনো জোরালো ভূমিকা নেয়নি কেউ-ই। এখানকার মানুষ তাদের ভোটে নির্বাচিত করেছেন ক্ষমতাসীন দল বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে। নির্বাচিত করেছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির অন্যতম সদস্য সাবেক আইনমন্ত্রী প্রয়াত মওদুদ আহমদ কে। কিন্তু তারা কেউ-ই এই এলাকার নদী ভাঙন রোধে স্থায়ী কোনো ব্যবস্থা না নেওয়ায় ইউনিয়নটি বিলীন হয়ে যাচ্ছে নদী গর্বে।
এলাকাটির মানুষ আশায় বুক বেধেছিল যখন সরকার নোয়াখালী খাল খনন ও নদীতীর সংরক্ষণের কাজ শুরু করেছিল। কিন্তু বিধিবাম! সে আশা ও তাদের পূরণ হয়নি। সরকার নদী তীরে নামমাত্র একটি বেড়িবাঁধ নির্মাণ করেই তার দায় সেরেছে। সে বেড়িবাঁধটিও জোয়ারের পানিতে ভেসে গেছে। যার ফলে এখন জোয়ার আসলেই পানি চলে আসে চর এলাহী বাজার পর্যন্ত।
স্থানীয়রা জানান অতিদ্রুত যদি সরকার নদী ভাঙন প্রতিরোধে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করে তাহলে যেকোনো সময় বাংলার মানচিত্র থেকে হারিয়ে যাবে চর এলাহী নামক ইউনিয়নটি।