নোয়াখালী প্রতিবেদক:
আদালতে মামলার ভিত্তিতে মৃত্যুর ৩মাস ২১দিন পর নোয়াখালীর সদর উপজেলার উত্তর শুল্লকিয়া গ্রাম থেকে মারজাহান বেগম নামের এক গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলন করা হয়েছে। মামলার বাদি নিহত গৃহবধূর শাশুড়ি রহিমা বেগম। ওই মামলায় রহিমার স্বামী আব্দুল খালেক, সৎ ছেলে সোহাগ, রাজু ও সৎ মেয়ের স্বামী জামাল উদ্দিনকে আসামী করা হয়। আসামীদের মধ্যে সোহাগকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সে বর্তমানে জেলা কারাগারে রয়েছে।
রোববার বিকেলে ময়না তদন্ত শেষে পুনঃরায় ওই গৃহবধূর লাশ দাফন করা হয়েছে। এরআগে সকাল ৯টার দিকে জেলা প্রশাসকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) তারিকুল ইসলামের উপস্থিতিতে এবং সুধারাম মডেল থানা পুলিশের সহযোগিতায় মারজাহানের লাশ উত্তোলন করা হয়।
জানা গেছে, চলতি বছরের গত ৩ এপ্রিল দুপুরে সৎ ছেলে সোহাগের স্ত্রী মারজাহানকে বাড়িতে রেখে বাবার বাড়িতে যান রহিমা বেগম। রাত ২টার দিকে রহিমার স্বামী আব্দুল খালেক তাকে মোবাইলে জানান মারজাহান বিষপান করে আত্মহত্যা করেছে। পরদিন ভোরে তিনি বাড়িতে ফিরে আসেন। আসার পর রহিমা জানতে পারেন সোহাগের পরকিয়ার প্রেমের প্রতিবাদ করায় রাতে মারজাহানের সাথে আসামীদের ঝগড়া হয়। এর একপর্যায়ে তারা সবাই মিলে মারজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করে মুখে ভিষ ঢেলে দেয়। এ ঘটনার প্রতিবাদ করতে চাইলে খালেকসহ পরিবারের লোকজন রহিমাকে ঘরে আটকে রাখে। প্রায় দুই মাস ঘরে আটক থাকার পর গত ১৬জুন বাড়ি থেকে পালিয়ে এসে নোয়াখালী আমলি আদালতে চারজনকে আসামী করে একটি মামলা দায়ের করেন তিনি। নিহত মারজাহানের গলা ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহৃ ছিলো। হত্যার আগেও আসামীরা একাধিকবার মারজাহানকে শারীরিক নির্যাতন করেছিল বলেও মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে। মামলার বাদি এ ঘটনার সুষ্ঠো বিচার দাবি করেছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট তারিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আদালতের নির্দেশে নিহত গৃহবধূর লাশ কবর থেকে উত্তোলনের পর নোয়াখালী জেনারেল হাসাপাতালে ময়না তদন্ত শেষে পুনঃরায় দাফন করা হয়েছে।