ঢাকা ০২:৪৮ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৮ জানুয়ারী ২০২৫

চুরির মালের লাখে ২৫ হাজার দিতে হয় মেম্বারকেঃ সুবর্ণচরে আটককৃত চোর বেলাল

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৫০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১ ৯৮৭৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

 

নোয়াখালী সুবর্ণচরে হোন্ডা চুরির করার সময় বেলাল নামের স্থানীয় এক চোরকে গণপিটুনি দেয় উত্তজিত জনতা। গণধোলাই খেয়ে চোর চক্রের সাথে জড়িত মূলহোতা এবং নির্দেশন দাতার নাম বলে দেয় আটককৃত চোর। ফেসবুক থেকে এক যুবক সেই ভিডিও লাইভ সম্প্রচার করলে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়, শত শত ফেসবুক আইডি থেকে সেটি পোস্ট করা হয়, তিব্রনিন্ধার ঝড় ওঠে স্যোসাল মিডিয়ায়, জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

চোরের বর্ণনা অনুযায়ী এই চক্রের মূলহোতা সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জসিম উদ্দিন রায়হান, ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামি লীগ নেতা জামশেদ এবং হাসানের নাম উল্লেখ করে সকল বর্ণনা দেন আটককৃত চোর বেলাল। পরে চরজব্বার থানার পুলিশ বেলালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

 

ঘটনাটি ঘটে আজ ২৫ জুলাই (রবিবার) বেলা ১১ টায় সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের তোতার বাজারে । আটককৃত চোর বেলাল উদ্দিন (২২) চরজুবিলী ইউনিয়নের চরমহিউদ্দিন গ্রামের করিমের ছেলে।

 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন উদ্দিন রায়হান একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার।

 

ভিডিওতে দেখা যায়, আটককৃত চোর বেলাল বলেন, ২২ থেকে ৩০ জন তাদের এই চক্রের সাথে জড়িত তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে সেলিম বাজারের হাসান এবং সকল চুরির প্রতি লাখে ২৫ হাজার টাকা নেন ইউপি সদস্য রায়হান এবং ২৫ হাজার টাকা নেন জামসেদ নেতা। ঘটনার সময় তার সাথে সেলিম বাজারের হাসান, রামগতির রুবেল ছিলো। তারা দুজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

বেলাল আরো বলেন, সে চট্রগ্রাম থেকে এখানে এসেছে, সুবর্নচরে ৩ টি হোন্ডা চুরির সাথে জড়িত তাদের কাছে ১০/১২ টি চোরাইকৃত হোন্ডা রয়েছে হোন্ডাগুলি রক্ষিত আছে। তবে বাকি হোন্ডা গুলো চক্রের অন্য সদস্যরা বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে এসেছে।

 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন রায়হান বলেন, “বেলাল আমাদের এলাকায় চুরির সাথে জড়িত কয়েকদিন আগে আমরা তাকে মারধর করি। সে যেটা বলেছে সেটা মিথ্যা, আমি কোন চোর চক্রের সাথে জড়িত নই”।

 

অভিযুক্ত জামসেদ নেতা বলেন, আমরা চোর ডাকাত পশ্রয় দেয়না, এসবের সাথে আমরা জড়িত নই।

 

চোরকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন, আটককৃত বেলালের কাছ থেকে আমরা এখনো সঠিক কোন তথ্য পাইনি, তবে অভিযান অব্যাহত আছে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।

 

উল্লেখ্য যে, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ১৪ জুলাই চর মহিউদ্দিন গ্রামের সিএনজি চালক মাহমুদুল হককে পিটিয়ে আহত করেন রায়হান মেম্বার। এ ঘটনায় মাহমুদুল বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মারধরের ঘটনাটিও ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

চুরির মালের লাখে ২৫ হাজার দিতে হয় মেম্বারকেঃ সুবর্ণচরে আটককৃত চোর বেলাল

আপডেট সময় : ০৮:৫০:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ জুলাই ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ

 

 

নোয়াখালী সুবর্ণচরে হোন্ডা চুরির করার সময় বেলাল নামের স্থানীয় এক চোরকে গণপিটুনি দেয় উত্তজিত জনতা। গণধোলাই খেয়ে চোর চক্রের সাথে জড়িত মূলহোতা এবং নির্দেশন দাতার নাম বলে দেয় আটককৃত চোর। ফেসবুক থেকে এক যুবক সেই ভিডিও লাইভ সম্প্রচার করলে মুহুর্তেই তা ভাইরাল হয়ে যায়, শত শত ফেসবুক আইডি থেকে সেটি পোস্ট করা হয়, তিব্রনিন্ধার ঝড় ওঠে স্যোসাল মিডিয়ায়, জড়িতদের দ্রুত গ্রেফতারের দাবী জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

 

চোরের বর্ণনা অনুযায়ী এই চক্রের মূলহোতা সুবর্ণচর উপজেলার ৫নং চরজুবিলী ইউনিয়ন ৯নং ওয়ার্ডের বর্তমান মেম্বার জসিম উদ্দিন রায়হান, ৯নং ওয়ার্ডের আওয়ামি লীগ নেতা জামশেদ এবং হাসানের নাম উল্লেখ করে সকল বর্ণনা দেন আটককৃত চোর বেলাল। পরে চরজব্বার থানার পুলিশ বেলালকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়।

 

ঘটনাটি ঘটে আজ ২৫ জুলাই (রবিবার) বেলা ১১ টায় সুবর্ণচর উপজেলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের তোতার বাজারে । আটককৃত চোর বেলাল উদ্দিন (২২) চরজুবিলী ইউনিয়নের চরমহিউদ্দিন গ্রামের করিমের ছেলে।

 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন উদ্দিন রায়হান একই গ্রামের মৃত আব্দুল খালেকের পুত্র তিনি দীর্ঘ ১০ বছর ধরে ৯নং ওয়ার্ডের মেম্বার।

 

ভিডিওতে দেখা যায়, আটককৃত চোর বেলাল বলেন, ২২ থেকে ৩০ জন তাদের এই চক্রের সাথে জড়িত তাদেরকে নিয়ন্ত্রণ করে সেলিম বাজারের হাসান এবং সকল চুরির প্রতি লাখে ২৫ হাজার টাকা নেন ইউপি সদস্য রায়হান এবং ২৫ হাজার টাকা নেন জামসেদ নেতা। ঘটনার সময় তার সাথে সেলিম বাজারের হাসান, রামগতির রুবেল ছিলো। তারা দুজন দৌঁড়ে পালিয়ে যায়।

বেলাল আরো বলেন, সে চট্রগ্রাম থেকে এখানে এসেছে, সুবর্নচরে ৩ টি হোন্ডা চুরির সাথে জড়িত তাদের কাছে ১০/১২ টি চোরাইকৃত হোন্ডা রয়েছে হোন্ডাগুলি রক্ষিত আছে। তবে বাকি হোন্ডা গুলো চক্রের অন্য সদস্যরা বিভিন্ন স্থান থেকে নিয়ে এসেছে।

 

অভিযুক্ত ইউপি সদস্য জসিম উদ্দিন রায়হান বলেন, “বেলাল আমাদের এলাকায় চুরির সাথে জড়িত কয়েকদিন আগে আমরা তাকে মারধর করি। সে যেটা বলেছে সেটা মিথ্যা, আমি কোন চোর চক্রের সাথে জড়িত নই”।

 

অভিযুক্ত জামসেদ নেতা বলেন, আমরা চোর ডাকাত পশ্রয় দেয়না, এসবের সাথে আমরা জড়িত নই।

 

চোরকে আটকের সত্যতা নিশ্চিত করে চরজব্বার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জিয়াউল হক তরিক খন্দকার বলেন, আটককৃত বেলালের কাছ থেকে আমরা এখনো সঠিক কোন তথ্য পাইনি, তবে অভিযান অব্যাহত আছে জড়িতদের গ্রেফতার করা হবে।

 

উল্লেখ্য যে, পারিবারিক কলহের জের ধরে গত ১৪ জুলাই চর মহিউদ্দিন গ্রামের সিএনজি চালক মাহমুদুল হককে পিটিয়ে আহত করেন রায়হান মেম্বার। এ ঘটনায় মাহমুদুল বাদী হয়ে চরজব্বার থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। মারধরের ঘটনাটিও ফেসবুকে ব্যাপক ভাইরাল হয়।