নোয়াখালী প্রতিবেদক:
নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউনিয়নে বর যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস (হাইছ) দূর্ঘটনা শিকার হয়েছে। এতে সুমি আক্তার (২৪) নামের একজন নিহত ও বরসহ আরও ১৫জন আহত হয়েছেন। আহতদের মধ্যে রয়েছে ৮জন শিশু।
শুক্রবার দুপুর ১টার দিকে নুরু পাটোয়ারীহাট এলাকায় এ দূর্ঘটনা ঘটে। নিহত সুমি আক্তার পূর্ব এওজবালিয়া ইউনিয়নের দুলাল হোসেনের মেয়ে। আহতরা হচ্ছেন, রাব্বি, দুলাল হোসেন, শিহাব উদ্দিন, আনোয়ারা বেগম, রোজিনা আক্তার, পপি, শ্রাবন্তী, সিপাত, শাওন, আব্দুর রহমান, শ্রাবন্তী, কাউছার, সামিয়া আক্তার ও বিজয়সহ ১৫জন।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুপুরে বর মো. রাব্বীসহ লক্ষ্মীপুর জেলার রামগতি উপজেলার গুচ্ছগ্রামে যাচ্ছিল বর যাত্রীবাহী একটি মাইক্রোবাস। দুপুর ১টার দিকে তাদের বহনকারী গাড়িটি নুরু পাটোয়ারীহাট এলাকায় পৌঁছলে চালক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলে। এসময় গাড়িটি সড়কের পাশের গাছের সাথে ধাক্কা লেগে ধুমড়ে মুছড়ে যায়। এতে গাড়িতে থাকা সবাই আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসত সুমি আক্তারকে মৃত ঘোষণা করেন। অপর আহত সবাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
হাসপাতালের ইন্টানি চিকিৎসক আলী আহমদ জানান, গাড়িতে থাকা একজন মারা গেছেন। আহতদের মধ্যে শিশুসহ বেশ কয়েকজনের অবস্থা আশংকাজনক। তাদের উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা পাঠানো হতে পারে।
সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহেদ উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়েছে। আহতদের হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।