নোয়াখালী প্রতিনিধি:
দুটি কিডনিই অকেজো। সচল রাখতে চলছে ডায়ালাইসিস। বেঁচে থাকার আশার আলো এখন নিভুনিভু। চিকিৎসকেরা বলেছেন, আগের চেয়ে তার শারীরিক অবস্থা এতটা ভালো নয়। দ্রুত প্রয়োজন অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপন।
বলছি নোয়াখালী সদর উপজেলার পূর্ব এওজবালিয়া গ্রামের দিন মজুর আবদুল ওদুদের ছেলে চা-শ্রমিক জহিরুল ইসলামের কথা। দুটি কিডনি অকেজো হয়ে বর্তমানে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের কিডনি ডায়ালাইসিস ইউনিটে ভর্তি রয়েছেন জহিরুল।
চিকিৎসক ডা. ফজলে এলাহী খান বলেন, জহিরুলের দুটি কিডনিই অকেজো হয়ে গেছে। পুরোপুরি সুস্থ হতে অন্তত একটি কিডনি জরুরি ভিত্তিতে প্রতিস্থাপন (ট্রান্সপ্লান্ট) করতে হবে।
দরিদ্র পরিবারের সদস্য জহিরুল ইসলাম চট্রগ্রামের একটি চা-পাতা কারখানার শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। চলতি বছরের জুলাই মাসে তিনি করোনায় আক্রান্ত হন। করোনা নেগেটিভ আসার পর শুরু হয় শারীরিক নানা সমস্যা। গত ১৭ সেপ্টেম্বর অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে জেলা শহরের একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ডাক্তার দেখানো হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর ডাক্তার বললো তার দুটি কিডনি অকেজো হয়ে গেছে। পরে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে। চিকিৎসায় প্রয়োজন অনেক টাকা। ভিটা-মাটিহীন পরিবারের পক্ষে এত টাকা যোগান দেওয়া সম্ভব নয়। তাই জহিরুলের অন্তত একটি কিডনি প্রতিস্থাপনের জন্য দেশের বিত্তবানদের কাছে সাহায্যের আবেদন করেছেন পরিবারের সদস্যরা।
জহিরুলের ১৫ মাস বয়সের মেয়েকে সাথে নিয়ে চিকিৎসার টাকার জন্য মানুষের ধারে ধারে ঘুরছেন স্ত্রী মুন্নি আক্তার। স্বামীর সুস্থতায় সমাজের মানুষের কাছে দোয়া ও সাহায্য কামনা করছেন তিনি।
সাহায্য পাঠাতে যোগাযোগ ও বিকাশ নাম্বার- ০১৮৮৯-২৪০৩৯৮।