ঢাকা ০৩:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২৫

কবিরহাটে খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও নোয়াখালী খালের মাটি নিয়ে চলছে হরিলুট, তথ্য সংগ্রহে যাওয়াতে সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকী বালু উত্তোলন কারীর

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:০০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২ ১১৪৪৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ বিডিপি বাজারের পাশে নোয়াখালী খাল থেকে বালু উত্তেলনের মধ্য দিয়ে রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। এছাড়াও নলুয়া অলিমাঝির খেয়া নামক স্থানের পূব পাশে নোয়াখালী খাল খননের পরে জমাট বাঁধা মাটি নিয়েও চলছে হরিলুট।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের বিডিপি বাজারের পশ্চিম পাশে জাফরের বাড়ির পাশবর্তী নোয়াখালী খালের তিন মুখে খালের মধ্যে বাঁধ তৈরী করে ৩/৪টি ড্রেজার মেশিনের সাহয্যে প্রায় অর্ধলক্ষ বর্গফুট বালু উত্তোলন করে রেখেছে। যাহা এখন শুধু মাত্র বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। খাল থেকে বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের জায়গা ও মানুষের বসত ভিটে হয়ে পড়েছে হুমকির মূখে। খালেই ভেঙে পড়তে পারে আশপাশে থাকা নিরহ মানুষের ঘরবাড়ি।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একদিক ব্যাক্তি জানান, স্থানীয় নুরুল হক নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে বহিরাগত কিছু লোক এসে প্রথমে খাল পাড়ে থাকা মাটি গুলো পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে অনত্র বিক্রি করে পুরো খাল পাড়ের পাশে থাকা বাঁধ জমিনে পরিনত করেছে। যা পরবর্তী বর্ষার মৌসমে খালে প্রভাহিত জোয়ারের পানিতে দূভোগ নেমে আসতে পারে খাল পাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষে জনজীবনে। স্থানীয়রা আরো জানান, শুধু খাল পাড়ের মাটি নিয়েই ক্ষান্ত হইনি তারা। খালের মধ্যে কিছুদিন পর পর অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে তারা। একবার উঠাবে সেটি বিক্রি শেষে আবার উঠাবে। এভাবেই চলছে তাদের রমরমা বানিজ্য। যা প্রশাসনের লোকেরা দেখেও না দেখার মত রয়েছে। যার ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে তাদের এ বালু উত্তোলন আর বানিজ্য।

অন্যদিকে নলুয়া অলিমাঝির খেয়া নামক স্থানের পূব পাশে নোয়াখালী খাল খননের পরে জমাট বাঁধা মাটি নিয়েও চলছে হরিলুট। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাল পাড়ে থাকা মাটি গুলো বিভিন্ন মাটি খেকোরা পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করতেছে। প্রতিনিয়ত রাস্তায় শতাধিক মাটির পিকআপ চলাচলের কারণে ধুলাবালির কবলে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দূর্বোগ। ভারসাম্য নষ্ট অত্র হচ্ছে এলাকার পরিবেশের। বিলিন হচ্ছে এলাকার ছোটখাটো কাঁচা ও পাকা রাস্তার। এমতবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

 

বালুর বিষয়ে, ঘটনাস্থলে কেন সাংবাদিক যাবে। সাংবাদিকদের কাজকি বালু উত্তোলনের ভিডিও করা? এভাবে রাগন্বিত হয়ে স্থানীয় আব্দুল্যা মিয়ারহাটের অলির চা দোকানে ভরা মজলিসে সাংবাদিক সেলিমকে দেখে নেওয়ার হুমকী প্রদান করেন বালু ও মাটি বিক্রেতা নুরুল হক। শুধু তাই নয় ইউএনও কিন্বা এসিল্যান্ড তাকে কি করবে সেটিও দেখবে বলে ভরা মজলিসে হুংকার ছাড়েন এ মাটি বিক্রেতা নুরুল হক।

 

এ বালু উত্তোলকারীর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিসকাতুল তামান্নাকে অভিহিত করার পর, নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার কর্মস্থলে না থাকায় তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিসকাতুল তামান্না বিষয়টি আমলে নিয়ে তার ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাতে ঘটনাস্থলে পাঠানোর কথা জানিয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার আস্বাস প্রদান করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

কবিরহাটে খাল থেকে অবৈধ বালু উত্তোলন ও নোয়াখালী খালের মাটি নিয়ে চলছে হরিলুট, তথ্য সংগ্রহে যাওয়াতে সাংবাদিককে দেখে নেওয়ার হুমকী বালু উত্তোলন কারীর

আপডেট সময় : ০৮:০০:০৬ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩ জানুয়ারী ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালী কবিরহাট উপজেলার ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ বিডিপি বাজারের পাশে নোয়াখালী খাল থেকে বালু উত্তেলনের মধ্য দিয়ে রমরমা বানিজ্য চালিয়ে যাচ্ছে একটি মহল। এছাড়াও নলুয়া অলিমাঝির খেয়া নামক স্থানের পূব পাশে নোয়াখালী খাল খননের পরে জমাট বাঁধা মাটি নিয়েও চলছে হরিলুট।

সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৩নং ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের উত্তর জগদানন্দ গ্রামের বিডিপি বাজারের পশ্চিম পাশে জাফরের বাড়ির পাশবর্তী নোয়াখালী খালের তিন মুখে খালের মধ্যে বাঁধ তৈরী করে ৩/৪টি ড্রেজার মেশিনের সাহয্যে প্রায় অর্ধলক্ষ বর্গফুট বালু উত্তোলন করে রেখেছে। যাহা এখন শুধু মাত্র বিক্রির অপেক্ষায় রয়েছে। খাল থেকে বালু উত্তোলনের কারণে আশপাশের জায়গা ও মানুষের বসত ভিটে হয়ে পড়েছে হুমকির মূখে। খালেই ভেঙে পড়তে পারে আশপাশে থাকা নিরহ মানুষের ঘরবাড়ি।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একদিক ব্যাক্তি জানান, স্থানীয় নুরুল হক নামের এক ব্যাক্তির মাধ্যমে বহিরাগত কিছু লোক এসে প্রথমে খাল পাড়ে থাকা মাটি গুলো পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে অনত্র বিক্রি করে পুরো খাল পাড়ের পাশে থাকা বাঁধ জমিনে পরিনত করেছে। যা পরবর্তী বর্ষার মৌসমে খালে প্রভাহিত জোয়ারের পানিতে দূভোগ নেমে আসতে পারে খাল পাড়ে বসবাসরত সাধারণ মানুষে জনজীবনে। স্থানীয়রা আরো জানান, শুধু খাল পাড়ের মাটি নিয়েই ক্ষান্ত হইনি তারা। খালের মধ্যে কিছুদিন পর পর অবৈধ ড্রেজার বসিয়ে বালু উত্তোলন করে বিক্রি করে আসছে তারা। একবার উঠাবে সেটি বিক্রি শেষে আবার উঠাবে। এভাবেই চলছে তাদের রমরমা বানিজ্য। যা প্রশাসনের লোকেরা দেখেও না দেখার মত রয়েছে। যার ফলে দিন দিন বেড়েই চলছে তাদের এ বালু উত্তোলন আর বানিজ্য।

অন্যদিকে নলুয়া অলিমাঝির খেয়া নামক স্থানের পূব পাশে নোয়াখালী খাল খননের পরে জমাট বাঁধা মাটি নিয়েও চলছে হরিলুট। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, খাল পাড়ে থাকা মাটি গুলো বিভিন্ন মাটি খেকোরা পিকআপ ভ্যানের মাধ্যমে অন্যত্র নিয়ে বিক্রি করতেছে। প্রতিনিয়ত রাস্তায় শতাধিক মাটির পিকআপ চলাচলের কারণে ধুলাবালির কবলে জনজীবনে নেমে এসেছে চরম দূর্বোগ। ভারসাম্য নষ্ট অত্র হচ্ছে এলাকার পরিবেশের। বিলিন হচ্ছে এলাকার ছোটখাটো কাঁচা ও পাকা রাস্তার। এমতবস্থায় প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন স্থানীয় সাধারণ মানুষ।

 

বালুর বিষয়ে, ঘটনাস্থলে কেন সাংবাদিক যাবে। সাংবাদিকদের কাজকি বালু উত্তোলনের ভিডিও করা? এভাবে রাগন্বিত হয়ে স্থানীয় আব্দুল্যা মিয়ারহাটের অলির চা দোকানে ভরা মজলিসে সাংবাদিক সেলিমকে দেখে নেওয়ার হুমকী প্রদান করেন বালু ও মাটি বিক্রেতা নুরুল হক। শুধু তাই নয় ইউএনও কিন্বা এসিল্যান্ড তাকে কি করবে সেটিও দেখবে বলে ভরা মজলিসে হুংকার ছাড়েন এ মাটি বিক্রেতা নুরুল হক।

 

এ বালু উত্তোলকারীর বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিসকাতুল তামান্নাকে অভিহিত করার পর, নির্বাহী কর্মকর্তা হাসিনা আক্তার কর্মস্থলে না থাকায় তার কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মিসকাতুল তামান্না বিষয়টি আমলে নিয়ে তার ইউনিয়ন ভুমি কর্মকর্তাতে ঘটনাস্থলে পাঠানোর কথা জানিয়ে পরবর্তীতে আইনগত ব্যাবস্থা নেওয়ার আস্বাস প্রদান করেন।