ঢাকা ০২:০৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২ ৫১৪০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানভাণ্ডার হচ্ছে ইন্টারনেট। জ্ঞানের এই জগত থেকে শিশুদের দূরে রেখে তাদেরকে আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না। তবে তাদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে হবে। শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিক্ষক বা অভিভাবকের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে নূন্যতম ধারণা থাকলে তারা ছাত্র-ছাত্রী বা সন্তানের জন্য প্যারেন্টাইল গাইডেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ইন্টারন্টে নিশ্চিত করতে পারেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী ঢাকায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র আয়োজিত অন লাইনে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিতকরণ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহজাবিন হক, টিআইসি‘র অধক্ষ্য মো: গোলাম ফারুক এবং আইএসপিএবি‘র সভাপতি ইমদাদুল হক প্রমূখ বক্তৃতা করেন। শিশু প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন খাতের বক্তারা তাদের বক্তব্য পেশ করেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী অম্বিকা রায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তা গোলাম মনোয়ার কামাল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল যুগে তথ্য সম্পর্কে অসচেতনতা কাম্য হতে পারে না। তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে তথ্য যুগে অসহায়ভাবে নিজেকে আত্মসমর্পন করতে হবে।

তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে শিশুদের শারীরিক মানসিক নিরাপত্তার ন্যায় ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়ে বাবা মাকে অধিকতর যত্নশীল হতে হবে। একইভাবে শিক্ষক শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের জগতটাকে যথাযথভাবে গাইড করবেন।

তিনি বলেন যে অবস্থাতে আমরা এখন বসবাস করছি আগামী দশ বছর পর সে অবস্থা বিরাজ করবে না। আগামী দিনের প্রযুক্তি হবে বিস্ময়কর। ৫ম শিল্প যুগের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের ৭০ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নতুনদেরকে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে তারা বিস্ময়করভাবে সফল হবে।

তিনি বলেন আমরা যত বেশি ডিজিটাল হই তার পরও শিশুদের বিকাশে খেলার মাঠ, শ্রেণিকক্ষ লাগবেই। শিশুরা আমাদের বড় সম্পদ উল্লেখ করে বীর মুক্তি যোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিশুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি শিশুদের ডিজিটাল যন্ত্র থেকে সুরক্ষায় যে কোন সুপারিশ ও পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখবে বলে আয়োজকদের আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রী নিরাপদ ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, আমরা নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ২২ হাজার পর্নো সাইট ও ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি।

ফেসবুক ইউটিউট এবং টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আমাদের কমিউনিটি স্টেন্ডার্ড অনুসরণ করার জন্য ফলপ্রসূ ভূমিকা আমরা রাখছি। তাদের সাথে নিয়মিত আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে ক্ষতিকর কনটেন্ট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী প্রতিটি আইনের মতই ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বর্ণনা করেন। তিনি অত্যন্ত স্পষ্ট করে বণে যে ডিজিটাল অপরাধ দশনে বা প্রতিরোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন না করে কোন উপায় ছিলোনা। মন্ত্রী মহোদয় বলেন, সভ্য সমাজে আইনতো থাকতেই হবে। সকল মহলের মতামত নিয়ে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করতে এই আইইন একবারও ব্যবহার করা হয়নি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে হিংসা বিদ্বেষ ছড়ানো গর্হিত কাজ উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিটিআরসি‘র ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি এটি জানান যে বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের হাজার হাজার লিঙ্ক বন্ধ করতে রিপোর্ট করেছে। কিন্তু একটি লিঙ্কও মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

ট্যাগস :

শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে হবে: মোস্তাফা জব্বার

আপডেট সময় : ১২:১৭:৫৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২২

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেছেন. পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ জ্ঞানভাণ্ডার হচ্ছে ইন্টারনেট। জ্ঞানের এই জগত থেকে শিশুদের দূরে রেখে তাদেরকে আগামী দিনের যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলা যাবে না। তবে তাদের জন্য ইন্টারনেটকে নিরাপদ করতে হবে। শিশুদের জন্য নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে শিক্ষক ও অভিভাবকদের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। একজন শিক্ষক বা অভিভাবকের ডিজিটাল প্রযুক্তি বিষয়ে নূন্যতম ধারণা থাকলে তারা ছাত্র-ছাত্রী বা সন্তানের জন্য প্যারেন্টাইল গাইডেন্স ব্যবহারের মাধ্যমে নিরাপদ ইন্টারন্টে নিশ্চিত করতে পারেন বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী ঢাকায় আইন ও সালিশ কেন্দ্র আয়োজিত অন লাইনে শিশু নির্যাতন প্রতিরোধে পরিস্থিতি বিশ্লেষণ ও শিশুদের নিরাপদ ইন্টারনেট ব্যবহার নিশ্চিতকরণ শীর্ষক ভার্চুয়াল গোল টেবিল বৈঠকে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, বিটিআরসি চেয়ারম্যান শ্যাম সুন্দর সিকদার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহজাবিন হক, টিআইসি‘র অধক্ষ্য মো: গোলাম ফারুক এবং আইএসপিএবি‘র সভাপতি ইমদাদুল হক প্রমূখ বক্তৃতা করেন। শিশু প্রতিনিধিসহ বিভিন্ন খাতের বক্তারা তাদের বক্তব্য পেশ করেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের অনুষ্ঠান সমন্বয়কারী অম্বিকা রায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আইন ও সালিশ কেন্দ্রের কর্মকর্তা গোলাম মনোয়ার কামাল অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন।

ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রী ব্যক্তিগত ও রাষ্ট্রীয় তথ্যের নিরাপত্তা রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরে বলেন, ডিজিটাল যুগে তথ্য সম্পর্কে অসচেতনতা কাম্য হতে পারে না। তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে না পারলে তথ্য যুগে অসহায়ভাবে নিজেকে আত্মসমর্পন করতে হবে।

তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকার বদ্ধপরিকর উল্লেখ করে ডিজিটাল প্রযুক্তি বিকাশের অগ্রনায়ক জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, ব্যক্তিগত জীবনে শিশুদের শারীরিক মানসিক নিরাপত্তার ন্যায় ডিজিটাল নিরাপত্তার বিষয়ে বাবা মাকে অধিকতর যত্নশীল হতে হবে। একইভাবে শিক্ষক শিক্ষিকারা শিক্ষার্থীদের জ্ঞানের জগতটাকে যথাযথভাবে গাইড করবেন।

তিনি বলেন যে অবস্থাতে আমরা এখন বসবাস করছি আগামী দশ বছর পর সে অবস্থা বিরাজ করবে না। আগামী দিনের প্রযুক্তি হবে বিস্ময়কর। ৫ম শিল্প যুগের প্রযুক্তির চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় দেশের ৭০ ভাগ তরুণ জনগোষ্ঠীকে তৈরি করতে হবে। তিনি নতুন প্রজন্মকে অত্যন্ত মেধাবি হিসেবে উল্লেখ করে বলেন, নতুনদেরকে সঠিকভাবে তৈরি করতে পারলে তারা বিস্ময়করভাবে সফল হবে।

তিনি বলেন আমরা যত বেশি ডিজিটাল হই তার পরও শিশুদের বিকাশে খেলার মাঠ, শ্রেণিকক্ষ লাগবেই। শিশুরা আমাদের বড় সম্পদ উল্লেখ করে বীর মুক্তি যোদ্ধা জনাব মোস্তাফা জব্বার বলেন, শিশুদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব। তিনি শিশুদের ডিজিটাল যন্ত্র থেকে সুরক্ষায় যে কোন সুপারিশ ও পরামর্শ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অত্যন্ত গুরুত্বের সাথে দেখবে বলে আয়োজকদের আশ্বস্ত করেন। মন্ত্রী নিরাপদ ইন্টারনেট এবং ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের গৃহীত বিভিন্ন উদ্যোগ তুলে ধরে বলেন, আমরা নিরাপদ ইন্টারনেট নিশ্চিত করতে ইতোমধ্যে ২২ হাজার পর্নো সাইট ও ২ হাজার জুয়ার সাইট বন্ধ করেছি।

ফেসবুক ইউটিউট এবং টিকটকসহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমকে আমাদের কমিউনিটি স্টেন্ডার্ড অনুসরণ করার জন্য ফলপ্রসূ ভূমিকা আমরা রাখছি। তাদের সাথে নিয়মিত আলোচনা ও বৈঠকের মাধ্যমে ক্ষতিকর কনটেন্ট বন্ধে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্ত্রী উল্লেখ করেন।

মন্ত্রী প্রতিটি আইনের মতই ডিজিটাল অপরাধ প্রতিরোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়নের প্রয়োজনীয়তার কথা বর্ণনা করেন। তিনি অত্যন্ত স্পষ্ট করে বণে যে ডিজিটাল অপরাধ দশনে বা প্রতিরোধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন প্রণয়ন না করে কোন উপায় ছিলোনা। মন্ত্রী মহোদয় বলেন, সভ্য সমাজে আইনতো থাকতেই হবে। সকল মহলের মতামত নিয়ে আইনটি তৈরি করা হয়েছে। মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করতে এই আইইন একবারও ব্যবহার করা হয়নি।

অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নারী ও শিশুদের বিরুদ্ধে হিংসা বিদ্বেষ ছড়ানো গর্হিত কাজ উল্লেখ করে বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এসবের বিরুদ্ধে সবাইকে সচেষ্ট থাকতে হবে।

বিটিআরসি‘র চেয়ারম্যান ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিটিআরসি‘র ভূমিকা তুলে ধরেন। তিনি এটি জানান যে বিটিআরসি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের হাজার হাজার লিঙ্ক বন্ধ করতে রিপোর্ট করেছে। কিন্তু একটি লিঙ্কও মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণ করার জন্য নয়।