ঢাকা ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৩ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অটোরিকশার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, পাঁচ শিশুসহ আহত-৬ মানবিক তারুণ্যের ৮ম যুব সম্মেলন ও এ্যাওয়ার্ড বিতরণ সম্পত্তির বিরোধ নিয়ে থানায় অভিযোগ, পুলিশের তদন্তকালে বাদীর উপর হামলা, আহত ৪ হাসনাত-সারজিস ছাত্রলীগ থেকে গিয়ে নতুন দলে এসেছে: ইসমাইল সম্রাট কবিরহাটের একমাত্র বিনোদন কেন্দ্র শিরিন গার্ডেনে হামলার অভিযোগ, পুলিশসহ আহত ৭ সুধারামে বিএনপি নেতাকে কুপিয়ে জখম, অভিযোগ যুবলীগ-ছাত্রলীগ নেতকর্মীদের বিরুদ্ধে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩২ ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:০০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২ ২০২১০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমান ওরফে আশিকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন, হয়রানি, মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের রাতে ডেকে নিয়ে নিজ অফিসকক্ষে বসিয়ে রাখাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

 

শিক্ষা বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের ৩২ শিক্ষার্থী জন অনুষদের ডিনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সপ্তাহ আগে। এসব অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীরা বলেছে, কয়েক বছর ধরে তাঁরা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমানের যৌন হয়রানি, মানসিক নির্যাতনসহ নানা পক্ষপাতপূর্ণ আচরণের শিকার হয়ে আসছেন। যার সর্বশেষ প্রতিফলন ঘটেছে সম্প্রতি শেষ হওয়া সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। এতে যেসব শিক্ষার্থী তাঁর কথামতো চলেনা, তাঁর কক্ষে গিয়ে সময় দেয়না, তাঁদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা তাঁর সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ বজায় রেখেছেন, তাঁদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হওয়ায় তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

 

উক্ত বিভাগের নাম প্রকাশ না করে একজন ছাত্রী অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ভয়ভীতি প্রদর্শনের (পরীক্ষার ফলাফলের) মাধ্যমে তাঁর অফিসকক্ষে বসিয়ে রাখেন শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান। অনলাইন পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে ছাত্রীদের শাড়ি পরা নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন তিনি।

 

জানতে চাইলে এস এম মুশফিকুর রহমান বলেন, তিনি অভিযোগগুলো দেখেছেন। একটি অভিযোগেরও সত্যতা নেই। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে অভিযোগগুলো সাজিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য মো. দিদার-উল-আলম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত। অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

শিক্ষকের বিরুদ্ধে ৩২ ছাত্রীকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগ

আপডেট সময় : ০৯:০০:৩৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২১ অগাস্ট ২০২২

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমান ওরফে আশিকের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের যৌন নিপীড়ন, হয়রানি, মানসিক নির্যাতন, পরীক্ষায় নম্বর কম দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ছাত্রীদের রাতে ডেকে নিয়ে নিজ অফিসকক্ষে বসিয়ে রাখাসহ নানা অভিযোগ উঠেছে।

 

শিক্ষা বিভাগের প্রথম ও দ্বিতীয় ব্যাচের ৩২ শিক্ষার্থী জন অনুষদের ডিনের কাছে এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন এক সপ্তাহ আগে। এসব অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।

 

লিখিত অভিযোগে শিক্ষার্থীরা বলেছে, কয়েক বছর ধরে তাঁরা শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক এস এম মুশফিকুর রহমানের যৌন হয়রানি, মানসিক নির্যাতনসহ নানা পক্ষপাতপূর্ণ আচরণের শিকার হয়ে আসছেন। যার সর্বশেষ প্রতিফলন ঘটেছে সম্প্রতি শেষ হওয়া সেমিস্টার পরীক্ষার ফলাফলের ওপর। এতে যেসব শিক্ষার্থী তাঁর কথামতো চলেনা, তাঁর কক্ষে গিয়ে সময় দেয়না, তাঁদের নম্বর কমিয়ে দেওয়া হয়েছে। আর যাঁরা তাঁর সঙ্গে ‘সুসম্পর্ক’ বজায় রেখেছেন, তাঁদের বেশি নম্বর দেওয়া হয়েছে। এতে অনেক শিক্ষার্থীর শিক্ষাজীবন বিপন্ন হওয়ার উপক্রম হওয়ায় তাঁরা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।

 

উক্ত বিভাগের নাম প্রকাশ না করে একজন ছাত্রী অভিযোগ করেন, নির্দিষ্ট কোনো কারণ ছাড়াই বিশেষ করে মেয়ে শিক্ষার্থীদের রাত আটটা থেকে সাড়ে আটটা পর্যন্ত ভয়ভীতি প্রদর্শনের (পরীক্ষার ফলাফলের) মাধ্যমে তাঁর অফিসকক্ষে বসিয়ে রাখেন শিক্ষক এস এম মুশফিকুর রহমান। অনলাইন পরীক্ষার ভাইভা বোর্ডে ছাত্রীদের শাড়ি পরা নিয়ে অপ্রাসঙ্গিক প্রশ্ন করেন তিনি।

 

জানতে চাইলে এস এম মুশফিকুর রহমান বলেন, তিনি অভিযোগগুলো দেখেছেন। একটি অভিযোগেরও সত্যতা নেই। কেউ উদ্দেশ্যপ্রণোদিত হয়ে পরিকল্পিতভাবে অভিযোগগুলো সাজিয়েছেন।

 

এ বিষয়ে নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (নোবিপ্রবি) উপাচার্য মো. দিদার-উল-আলম বলেন, বিষয়টি সম্পর্কে তিনি অবগত। অভিযোগ তদন্ত করার জন্য তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।