ঢাকা ০১:০৭ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০২ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের মালিকানা ছিনতাই করেও এনসিপি সংগঠন হিসেবে ব্যর্থ হয়েছে: নাছির Blind Amjad receives Eid gift from Tarique Zia জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে দৃষ্টি হারানো আমজাদ পেলো তারেক জিয়ার ঈদ উপহার ভাড়াটিয়ার দোকানে তালা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা School student murdered in trivial incident: Police unravel mystery নোয়াখালীতে তুচ্ছ ঘটনায় স্কুল ছাত্র খুন: রহস্য উদঘাটন করল পুলিশ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের ইতালি মার্কেটে পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিখোঁজের ২ দিন পর সেপটিক ট্যাংক থেকে স্কুল ছাত্রের মরদেহ উদ্ধার তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে কবিরহাটের পথচারীদের মাঝে ইফতার বিতরণ নিজ এলাকায় হামলার শিকার এনসিপি নেতা হান্নান মাসুদ, ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া, আহত-১৫

হাতিয়া ও সোনাইমুড়ী থেকে মাদরাসা ছাত্রসহ ২ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৮:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩ ৬০১৮ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে আলাদা আলাদা স্থান থেকে এক মাদরাসা ছাত্র সহ দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো, জেলার হাতিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. হেমায়েতুল্লাহ সিয়াম (১৪) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধন্যপুর গ্রামের হাজী বাড়ির মৃত আবুল ওয়াদুদের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৫৫)।

 

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সোনাইমুড়ী থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই দিন হাতিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহ মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

 

জানা যায়, এর আগে সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সিয়াম। একই দিন সকাল সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিষপান করে আত্মহত্যা করে রুহুল আমিন।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সদ্যদের অগোচরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দেয় সিয়াম। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে হাতিয়ার উকিলপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ খানায় পড়াশুনা করত। তার ১৬ পারা কোরআন মুখস্ত ছিল।

 

অপরদিকে, একই দিন সকাল সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিষপান করে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে রুহুল আমিন। পরে পরিবারের লোকজন তার মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে তাকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লায় মারা যায় সে।

 

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক ও হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস। তারা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শকন করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক

হাতিয়া ও সোনাইমুড়ী থেকে মাদরাসা ছাত্রসহ ২ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার

আপডেট সময় : ০৮:৪৫:২৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১০ এপ্রিল ২০২৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

নোয়াখালীতে আলাদা আলাদা স্থান থেকে এক মাদরাসা ছাত্র সহ দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো, জেলার হাতিয়া পৌরসভার ১নং ওয়ার্ডের মৃত নাসির উদ্দিনের ছেলে মো. হেমায়েতুল্লাহ সিয়াম (১৪) ও সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের ধন্যপুর গ্রামের হাজী বাড়ির মৃত আবুল ওয়াদুদের ছেলে মো. রুহুল আমিন (৫৫)।

 

সোমবার (১০ এপ্রিল) বিকেলে সোনাইমুড়ী থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। একই দিন হাতিয়া থেকে উদ্ধারকৃত মরদেহ মঙ্গলবার সকালে ময়না তদন্তের জন্য ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হবে।

 

জানা যায়, এর আগে সোমবার দুপুর সোয়া ১টার দিকে পরিবারের সদস্যদের ওপর অভিমান করে ঘরের আড়ার সাথে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে সিয়াম। একই দিন সকাল সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিষপান করে আত্মহত্যা করে রুহুল আমিন।

 

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পরিবারের সদ্যদের অগোচরে ঘরের দরজা বন্ধ করে ঘরের আড়ার সাথে ফাঁস দেয় সিয়াম। পরিবারের সদস্যরা তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পেয়ে উদ্ধার করে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সে হাতিয়ার উকিলপাড়া হাফিজিয়া মাদরাসার হেফজ খানায় পড়াশুনা করত। তার ১৬ পারা কোরআন মুখস্ত ছিল।

 

অপরদিকে, একই দিন সকাল সকাল ৮টার দিকে পারিবারিক কলহের জের ধরে পরিবারের সদস্যদের অজান্তে বিষপান করে গুরুত্বর অসুস্থ হয়ে পড়ে রুহুল আমিন। পরে পরিবারের লোকজন তার মুখে বিষের গন্ধ পেয়ে তাকে সোনাইমুড়ী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে সেখান থেকে ঢাকায় নেওয়ার পথে সকাল ১০টার দিকে কুমিল্লায় মারা যায় সে।

 

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন, সোনাইমুড়ী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক ও হাতিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাঞ্চন কান্তি দাস। তারা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শকন করে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট সম্পন্ন করে। পরে ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে। এ ঘটনায় দুটি অপমৃত্যু মামলা নেওয়া হয়েছে।