রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী

- আপডেট সময় : ০১:৪৯:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৫ ৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড (বিউবো) বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী কার্যালয় রাজস্ব আদায়ে লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করছে। একই সাথে গ্রাহকদের নিরলসভাবে সেবা দিতে কাজ করে যাচ্ছে। এর ফলে আর্থসামাজিক উন্নয়নে বিদ্যুৎ শক্তিকে কাজে লাগানোর সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
আরো পড়ুন: ঘাস কাটতে গিয়ে অজ্ঞাত মহিলার কঙ্কাল দেখে চিৎকার, অতঃপর…
বিউবো সূত্রে জানা যায়, গত বছর জুন-জুলাই মাসে বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী কার্যালয়ের উদ্যোগে ছয়টি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। এসব ভ্রাম্যমাণ আদালতে বকেয়াধারী, অবৈধ বিদ্যুৎ ব্যবহারকারী গ্রাহকদের বিরুদ্ধে ৪২টি মামলা দেওয়া হয়। এরপর গত বছরের আগস্ট থেকে চলতি বছরে বকেয়া বিল আদায় ও অবৈধ বিদ্যুৎকারী গ্রাহকদের বিরুদ্ধে পাঁচটি ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করা হয়। ভ্রাম্যমাণ আদালতে ৪৬টি মামলা দেওয়া হয়। এসব মামলা বিপরীতে প্রায় ৯২ লক্ষ টাকা রাজস্ব আদায় করা হয়েছে। অপরদিকে, গত বছরের জুলাই মাসে রাজস্ব আদায় করা হয় ৭ কোটি ৮২ লক্ষ ৫৪ হাজার ৮৪৭ টাকা, অক্টোবর মাসে ৯ কোটি ২৩ লক্ষ ৩৪ হাজার ২১৩ টাকা, নভেম্বর মাসে ১১ কোটি ৩৩ হাজার ১৮৭ টাকা, চলতি বছরের জানুয়ারি মাসে ৭ কোটি ৮১ লক্ষ ৩ হাজার ২১১ টাকা।
আরো পড়ুন: অফিস ঢুকে প্রধান শিক্ষককে মারধরের অভিযোগ
বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনীর কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে আগের তুলনায় বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী কার্যালয়ে রাজস্ব আদায় বেড়েছে। তবে স্বার্থানেষী মহলের স্বার্থের ব্যাঘাত ঘটলে অপপ্রচারেরও কমতি থাকেনা। মনগড়া ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলে কর্মকর্তাদের ঘায়েলের চেষ্টা করেন। খুঁটি স্থানান্তর প্রক্রিয়া সড়ক বিভাগের নির্দেশনায় ও অর্থায়নে কিছু জায়গায় সম্পন্ন করা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে পূর্বে যে অবস্থানে আগে খুঁটি ছিলে তার বরাবর পিছনের দিকে পূর্বের এলাইমেন্ট ঠিক রেখেই কাজ সম্পাদন করা হচ্ছে। ৩৩/১১/০.৪ কেভি লাইন বিউবোর নকশা ও পরিদর্শন বিভাগের প্রণীত ডিজাইন মোতাবেক নির্মিত। এখানে পোলের স্থান বা অবস্থান নির্ধারিত। এতে হস্তক্ষেপ করার সুযোগ নেই।
আরো পড়ুন: বামনী নদীর ভাঙন রোধে ক্লোজার নির্মাণ ও ব্লক স্থাপনের দাবিতে মানববন্ধন
বিউবো বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ চৌমুহনী কার্যালয়ের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. শাহাদাত ইসলাম বলেন, গত বছরের তুলনায় ২০২৪-২৫ অর্থ বছরেরর ২-৩ মাস বাকী থাকার আগেই আমরা সকল লক্ষ্য মাত্রা অর্জন করতে পেরেছি। এই অর্থ বছরের মধ্যে বন্যা পড়েছে। আমরা বন্যা থাকাকালীনও লক্ষ্যমাত্রা পূরণ করেছি। একটি মহল ব্যক্তি স্বার্থে আমাদের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নাজমুন হাসান নিপুনের বিরুদ্ধে কুৎসা রটায়। বিষয়টি আমি খতিয়ে দেখেছি যা পুরোপুরি মিথ্যাচার। পূর্বের এলাইমেন্ট ঠিক রেখে কাজ করতে হয়। এতে মনগড়া কিছু করার সুযোগ নেই।