ঢাকা ০৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৪ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

সোনাইমুড়িতে বিয়ের পরের দিনই যুবকের আত্মহত্যা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১০:২১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০ ২৩২৭ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মেহেদী রাঙ্গা হাত নিয়ে বিবাহের পরের দিনই গলায় ফাঁস দিয়ে সুলতান মাহমুদ বাদশা (২৫) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯ টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯ টায় উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের ভাভিয়াপাড়া ওমর আলী হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাত্র একদিন আগে গতকাল শনিবার ওমর আলী হাজী বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ বাদশা সাথে পার্শ্ববর্তী ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের সুরত ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ হানিফের মেয়ে পূষ্প আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। রোববার সকালে বড় বোন লিজা আক্তার বড় ভাই এবং ভাবির জন্য নাস্তা নিয়ে যায়। এ সময় ভাইকে রুমে না পেয়ে সে এদিক-ওদিক খুঁজতে থাকে।

পরে পার্শ্ববর্তী রুমের দরজা বন্ধ থাকায় একাধিকবার দরজা খুলতে বলে সে। দীর্ঘক্ষণ পরেও দরজাটি না খোলায় সবার মধ্যে সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো বাদশার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে সবাই চিৎকার শুরু করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত বাদশার বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, তার একমাত্র ছেলে বাদশা কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তার কোন কারণ তিনি জানেন না এবং জানার আগ্রহ নেই বলেও জানান তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সোনাইমুড়িতে বিয়ের পরের দিনই যুবকের আত্মহত্যা

আপডেট সময় : ১০:২১:১০ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ীতে মেহেদী রাঙ্গা হাত নিয়ে বিবাহের পরের দিনই গলায় ফাঁস দিয়ে সুলতান মাহমুদ বাদশা (২৫) নামে এক যুবক আত্মহত্যা করেছে।

রোববার (২৫ আগস্ট) রাত ৯ টার দিকে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়। এর আগে সকাল ৯ টায় উপজেলার বারগাঁও ইউনিয়নের ভাভিয়াপাড়া ওমর আলী হাজী বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মাত্র একদিন আগে গতকাল শনিবার ওমর আলী হাজী বাড়ির নিজাম উদ্দিনের ছেলে সুলতান মাহমুদ বাদশা সাথে পার্শ্ববর্তী ছাতারপাইয়া ইউনিয়নের সুরত ভূঁইয়া বাড়ির মোহাম্মদ হানিফের মেয়ে পূষ্প আক্তারের সাথে পারিবারিকভাবে বিবাহ হয়। রোববার সকালে বড় বোন লিজা আক্তার বড় ভাই এবং ভাবির জন্য নাস্তা নিয়ে যায়। এ সময় ভাইকে রুমে না পেয়ে সে এদিক-ওদিক খুঁজতে থাকে।

পরে পার্শ্ববর্তী রুমের দরজা বন্ধ থাকায় একাধিকবার দরজা খুলতে বলে সে। দীর্ঘক্ষণ পরেও দরজাটি না খোলায় সবার মধ্যে সন্দেহ জাগে। পরবর্তীতে দরজা ভেঙ্গে ফ্যানের সাথে ওড়না পেঁচানো বাদশার মরদেহ ঝুলে থাকতে দেখে সবাই চিৎকার শুরু করে। পরে খবর পেয়ে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

নিহত বাদশার বাবা নিজাম উদ্দিন জানান, তার একমাত্র ছেলে বাদশা কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তার কোন কারণ তিনি জানেন না এবং জানার আগ্রহ নেই বলেও জানান তিনি।

সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো.গিয়াস উদ্দিন ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখবেন তিনি।