ঢাকা ০৯:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
অল্পদিনেই মানুষের মন জয় করেছেন কবিরহাট উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা মোস্তফা কামাল কৃষি জমির মাঠি কাটায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা হামলা ভাংচুরের প্রতিবাদে ডাকা মানববন্ধনে ফের হামলা, সাংবাদিককে প্রাণনাশের হুমকি ইটভাটার শ্রমিকরা পেলেন কবিরহাট মার্কেন্টাইল ব্যাংকের শীতবস্ত্র ইতিহাসে পুরো ক্যাবিনেটসহ স্বৈরাচারী সরকার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা বিরল – মামুনুর রশিদ মামুন Submission of memorandum to Chief Counsel on airport claims বিমানবন্দরের দাবিতে প্রধান উপদেষ্টা বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান ফ্যামিলি কার্ড বাতিলের প্রতিবাদে জেএসডির বিক্ষোভ 34 families received assistance from Bangladesh Foundation Japan বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন জাপানের সহায়তা পেল ৩৪ পরিবার

সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ওবায়দুল কাদেরকে পদত্যাগের আহ্বান করল উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মঞ্জু

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১ ৪০০৯ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র ও উপজেলা আ.লীগের সদস্য মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তিন দিন আগে আপনার ভাই সাহাদাত বাড়ির সামনে চকলেট বোমা কত গুলো রেখে একটা নাটক সাজিয়েছে। তাকে নাকি বোমা মেরে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনার ভাই সাহাদাত এমন কোন ঘটনা যে তাকে বোমা মেরে মারতে হবে।

এখন আবার গুজব রটানো হচ্ছে। আপনার ভাইয়ের কর্মিরা এবং বাহির থেকে আনা সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণের কথা বলে একটা গুজব রটাচ্ছে। এটাকি হেড মাস্টার মোশারেফ সাহেবের বাড়ি এটাকি ওবায়দুল কাদের সাহেবদের বাড়ি। নাকি এটা সন্ত্রাসীদের বাড়ি। আমি আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই। না হলে আপনাদের বাড়ির ঘাটলায়, আপনাদের বাড়ির ভিতরে,আপনাদের সামনে, আপনার বাড়ির পিছনে, আপনার ভাইয়ের অফিসের পিছনে বোমা বানায় কিভাবে সন্ত্রাসীরা। কোম্পানীগঞ্জ কি আপনাদেরকে ইজারা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০টায় মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু নিজের ফেইসবুক লাইক ফেইজ থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মঞ্জু কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কাকে হুমকি দিচ্ছেন। কোম্পানীগঞ্জকে শান্ত করতে হলে আপনাকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। কিসের শান্তির বার্তা দিচ্ছেন আপনি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের একজন নেতাকর্মির শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকতে আপনার সাথে কোন বৈঠক হবেনা। আমাদের আর একটা কর্মির গায়ে যদি আঘাত পড়ে আবদুল কাদের মির্জাকে পৌরসভা থেকে নিয়ে আসব। তোকে পৌরসভা থেকে নিয়ে আসবো। যেখানে থাকোস সেখান থেকে নিয়ে আসবো। আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়াস না। বহু ধৈর্য ধরছি আমরা, ভদ্রতা অনেক দেখিয়েছি। অনেক সম্মান দেখিয়েছি।

সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দেখতে দেখতে চার মাস দেখেছেন। এখন পর্যন্ত আ.লীগের দুটি কর্মি জীবন দিয়েছে। আ.লীগের সভাপতি লাঞ্ছিত হয়েছে, সাধারণ সম্পাদক আজকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার দুটি হাঁটু বিকল করে দেয়া হয়েছে। আপনি বসে বসে খেলা দেখছেন। কিসের খেলা দেখছেন। আপনি কি আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা নিচ্ছেন। শরীরের সব রক্ত চলে গেলেও কোম্পানীগঞ্জে আপনার ভাই আবদুল কাদের মির্জা ও সাহাদাত এবং আপনার ভাতিজাা তাশিককে এখানে অপরাজনীতি করে আ.লীগকে ধ্বংস করতে দেয়া হবেনা। এটা স্পষ্ট ভাষায় আপনাকে বলে দিচ্ছি। আপনি ব্যবস্থা নেন। না হলে এর শেষ পরিণতির জন্য আপনি দায়ী থাকবেন।

এ সময়ও সেতুমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, কোম্পানীগঞ্জে যে দুটি হত্যাকান্ড হয়েছে আজকে পর্যন্ত আপনি আপনার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। তার মানে হচ্ছে এ হত্যার দায় আপনিও এড়াতে পারেননা। আপনার এসব ডুয়েল স্ট্যান্টবাজি বন্ধ করেন। এর দায় আপনি এড়াতে পারেন না। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে আপনি পদত্যাগ করেন। কাদের মির্জার ছেলে শিবচরে ইলেকশন করতে গিয়ে সাংসদের গাড়ির স্ট্রিকার লাগিয়ে ধরা পড়ে। পরে মন্ত্রী তাকে ফোন দিয়ে রক্ষা করে। ঘটনাটি কোম্পানীগঞ্জের মানুষ একটু জানতে চায়। এ বেয়াড়া ভাই এবং তার ছেলেকে সামলান।

কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে জিম্মি করে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছে। আপনার ভাই রক্ত পিপাসু নরপিশাচ ফেইসবুক লাইভে এসে ঘোষণা দিয়েছে সে লাশ ফেলবে। ভাইয়ের কারণে আপনার সম্মান গেছে। এসব নোংরা খেলা বন্ধ করুন। একবার ভাইয়ের পক্ষে একবার আ.লীগের পক্ষে। এসব করে কোম্পানীগঞ্জ ও নোয়াখালীর আ.লীগকে জাহান্নাম বানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সেতো কুলাঙ্গার, তাকে নিয়ে কথাও বলতে চায়না। এ কুলাঙ্গার আ.লীগ থেকে পদত্যাগ করে এখন ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে কথা বলে, আ.লীগ নিয়ে কথা বলে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করবে। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা আর ভাইয়ের সাইনবোর্ড বিক্রি করে আর কত দিন খাবে। আপনাকে আগামীকাল পর্যন্ত সময় দিলাম। এসব ইঁদুর বিড়াল খেলা বন্ধ করেন। যদি বন্ধ না করেন তাহলে পরদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জে লাগাতার আইন অমান্য আন্দোলন চলবে। সে আন্দোলন আপনি রুখতে পারবেন না। আপনাকে অনুরোধ করলাম, পবিত্র রমজান মাসে কোম্পানীগঞ্জের মানুষক যে জিম্মি দশায় আছে। এ থেকে মুক্তি দিন। আপনি এসে দেখেন। আপনার ভাইয়ের সন্ত্রসীদের কারণে বসুরহাট বাজারে মানুষ ওঠেনা। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার ভাইয়ের সমস্যার সমাধান করতে না পারেন পদত্যাগ করেন। আপনার কারণে শুধু নোয়াখালীর আ.লীগ নয়, সারাদেশের আ. লীগ বিতর্কিত হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হলে ওবায়দুল কাদেরকে পদত্যাগের আহ্বান করল উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র মঞ্জু

আপডেট সময় : ১২:১১:৩৩ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ এপ্রিল ২০২১

নোয়াখালী প্রতিনিধি:

 

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের মুখপাত্র ও উপজেলা আ.লীগের সদস্য মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, তিন দিন আগে আপনার ভাই সাহাদাত বাড়ির সামনে চকলেট বোমা কত গুলো রেখে একটা নাটক সাজিয়েছে। তাকে নাকি বোমা মেরে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। আপনার ভাই সাহাদাত এমন কোন ঘটনা যে তাকে বোমা মেরে মারতে হবে।

এখন আবার গুজব রটানো হচ্ছে। আপনার ভাইয়ের কর্মিরা এবং বাহির থেকে আনা সন্ত্রাসীরা গুলি বর্ষণের কথা বলে একটা গুজব রটাচ্ছে। এটাকি হেড মাস্টার মোশারেফ সাহেবের বাড়ি এটাকি ওবায়দুল কাদের সাহেবদের বাড়ি। নাকি এটা সন্ত্রাসীদের বাড়ি। আমি আপনাকে প্রশ্ন করতে চাই। না হলে আপনাদের বাড়ির ঘাটলায়, আপনাদের বাড়ির ভিতরে,আপনাদের সামনে, আপনার বাড়ির পিছনে, আপনার ভাইয়ের অফিসের পিছনে বোমা বানায় কিভাবে সন্ত্রাসীরা। কোম্পানীগঞ্জ কি আপনাদেরকে ইজারা দেওয়া হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (২২ এপ্রিল) রাত ১০টায় মাহবুবুর রশীদ মঞ্জু নিজের ফেইসবুক লাইক ফেইজ থেকে লাইভে এসে তিনি এসব কথা বলেন।

মঞ্জু কাদের মির্জাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, কাকে হুমকি দিচ্ছেন। কোম্পানীগঞ্জকে শান্ত করতে হলে আপনাকে কোম্পানীগঞ্জ থেকে বিতাড়িত করতে হবে। কিসের শান্তির বার্তা দিচ্ছেন আপনি। কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের একজন নেতাকর্মির শরীরে এক ফোটা রক্ত থাকতে আপনার সাথে কোন বৈঠক হবেনা। আমাদের আর একটা কর্মির গায়ে যদি আঘাত পড়ে আবদুল কাদের মির্জাকে পৌরসভা থেকে নিয়ে আসব। তোকে পৌরসভা থেকে নিয়ে আসবো। যেখানে থাকোস সেখান থেকে নিয়ে আসবো। আমাদের ধৈর্যের সীমা ছাড়াস না। বহু ধৈর্য ধরছি আমরা, ভদ্রতা অনেক দেখিয়েছি। অনেক সম্মান দেখিয়েছি।

সেতুমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, আপনি দেখতে দেখতে চার মাস দেখেছেন। এখন পর্যন্ত আ.লীগের দুটি কর্মি জীবন দিয়েছে। আ.লীগের সভাপতি লাঞ্ছিত হয়েছে, সাধারণ সম্পাদক আজকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। তার দুটি হাঁটু বিকল করে দেয়া হয়েছে। আপনি বসে বসে খেলা দেখছেন। কিসের খেলা দেখছেন। আপনি কি আমাদের ধৈর্য পরীক্ষা নিচ্ছেন। শরীরের সব রক্ত চলে গেলেও কোম্পানীগঞ্জে আপনার ভাই আবদুল কাদের মির্জা ও সাহাদাত এবং আপনার ভাতিজাা তাশিককে এখানে অপরাজনীতি করে আ.লীগকে ধ্বংস করতে দেয়া হবেনা। এটা স্পষ্ট ভাষায় আপনাকে বলে দিচ্ছি। আপনি ব্যবস্থা নেন। না হলে এর শেষ পরিণতির জন্য আপনি দায়ী থাকবেন।

এ সময়ও সেতুমন্ত্রীর উদ্দেশ্যে তিনি আরো বলেন, কোম্পানীগঞ্জে যে দুটি হত্যাকান্ড হয়েছে আজকে পর্যন্ত আপনি আপনার ভাইয়ের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেননি। তার মানে হচ্ছে এ হত্যার দায় আপনিও এড়াতে পারেননা। আপনার এসব ডুয়েল স্ট্যান্টবাজি বন্ধ করেন। এর দায় আপনি এড়াতে পারেন না। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে ব্যর্থ হলে আপনি পদত্যাগ করেন। কাদের মির্জার ছেলে শিবচরে ইলেকশন করতে গিয়ে সাংসদের গাড়ির স্ট্রিকার লাগিয়ে ধরা পড়ে। পরে মন্ত্রী তাকে ফোন দিয়ে রক্ষা করে। ঘটনাটি কোম্পানীগঞ্জের মানুষ একটু জানতে চায়। এ বেয়াড়া ভাই এবং তার ছেলেকে সামলান।

কোম্পানীগঞ্জের মানুষকে জিম্মি করে অর্থের পাহাড় গড়ে তুলেছে। আপনার ভাই রক্ত পিপাসু নরপিশাচ ফেইসবুক লাইভে এসে ঘোষণা দিয়েছে সে লাশ ফেলবে। ভাইয়ের কারণে আপনার সম্মান গেছে। এসব নোংরা খেলা বন্ধ করুন। একবার ভাইয়ের পক্ষে একবার আ.লীগের পক্ষে। এসব করে কোম্পানীগঞ্জ ও নোয়াখালীর আ.লীগকে জাহান্নাম বানিয়েছেন।

তিনি বলেন, সেতো কুলাঙ্গার, তাকে নিয়ে কথাও বলতে চায়না। এ কুলাঙ্গার আ.লীগ থেকে পদত্যাগ করে এখন ইউনিয়ন পরিষদ নিয়ে কথা বলে, আ.লীগ নিয়ে কথা বলে। বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে গবেষণা করবে। বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা আর ভাইয়ের সাইনবোর্ড বিক্রি করে আর কত দিন খাবে। আপনাকে আগামীকাল পর্যন্ত সময় দিলাম। এসব ইঁদুর বিড়াল খেলা বন্ধ করেন। যদি বন্ধ না করেন তাহলে পরদিন থেকে কোম্পানীগঞ্জে লাগাতার আইন অমান্য আন্দোলন চলবে। সে আন্দোলন আপনি রুখতে পারবেন না। আপনাকে অনুরোধ করলাম, পবিত্র রমজান মাসে কোম্পানীগঞ্জের মানুষক যে জিম্মি দশায় আছে। এ থেকে মুক্তি দিন। আপনি এসে দেখেন। আপনার ভাইয়ের সন্ত্রসীদের কারণে বসুরহাট বাজারে মানুষ ওঠেনা। দলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে আপনার ভাইয়ের সমস্যার সমাধান করতে না পারেন পদত্যাগ করেন। আপনার কারণে শুধু নোয়াখালীর আ.লীগ নয়, সারাদেশের আ. লীগ বিতর্কিত হচ্ছে।