ঢাকা ০৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৩ জানুয়ারী ২০২৫

কোম্পানীঞ্জে আ.লীগ সভাপতির ওপর হামলা ঘটনায় প্রধান আসামি পৌর কাউন্সিলর আটক

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:১৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১ ৬৩৭৩ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

প্রতিবেদক, কোম্পানীঞ্জ, নোয়াখালী।

 

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাসেলকে (৪৩) আটক করেছে পুলিশ।

সে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের যুগি সাত্তার বাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে। শনিবার (২২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে হামলা মামলার প্রধান আসামী সে। ওই মামলায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে আটক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত (৬ মে) রাত ৮টা ২০মিনিটের দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান (৭১) ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে বাড়ি থেকে বসুরহাট বাজারে আসার পথে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বদু কেরানীর পোল এলাকায় পৌঁছলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাসেল ও একই ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আইনাল মারুফের নেতৃত্বে ৮-১০জন আমার রিকশার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে রাত ১২টার দিকে ভুক্তভোগী খিজির হায়াত খান নিজেই বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত (৮ মার্চ) পাঁচটার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে হামলা চালানোর হয়। হামলার একপর্যায়ে খিজির হায়াতকে ওই কক্ষের ভেতর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনা হয়। তারা এ সময় তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন এবং পরনের পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলেন। ওই হামলায় খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা সাত-আটজন আহত হয়েছেন। তখন তিনি এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে চাইলেও কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করায় মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে এ ঘটনায় তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
নিউজ ডেস্ক
ট্যাগস :

কোম্পানীঞ্জে আ.লীগ সভাপতির ওপর হামলা ঘটনায় প্রধান আসামি পৌর কাউন্সিলর আটক

আপডেট সময় : ০৬:১৮:৫২ অপরাহ্ন, শনিবার, ২২ মে ২০২১

প্রতিবেদক, কোম্পানীঞ্জ, নোয়াখালী।

 

 

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি খিজির হায়াত খানের ওপর হামলা মামলার প্রধান আসামি বসুরহাট পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. রাসেলকে (৪৩) আটক করেছে পুলিশ।

সে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের যুগি সাত্তার বাড়ির আবদুস সাত্তারের ছেলে। শনিবার (২২ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে তাকে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের নিজ বাড়ি থেকে আটক করে পুলিশ।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ এ তথ্য নিশ্চিত করেন জানান, কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ’লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানকে হামলা মামলার প্রধান আসামী সে। ওই মামলায় তাকে আটক করেছে পুলিশ। পরবর্তীতে আটক আসামিকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।

উল্লেখ্য, গত (৬ মে) রাত ৮টা ২০মিনিটের দিকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আ.লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খান (৭১) ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা যোগে বাড়ি থেকে বসুরহাট বাজারে আসার পথে পৌরসভার ৭নং ওয়ার্ডের বদু কেরানীর পোল এলাকায় পৌঁছলে বসুরহাট পৌরসভার মেয়র আবদুল কাদের মির্জার অনুসারী পৌরসভা ৭নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মো. রাসেল ও একই ওয়ার্ড ছাত্রলীগ সভাপতি আইনাল মারুফের নেতৃত্বে ৮-১০জন আমার রিকশার গতিরোধ করে। এক পর্যায়ে তারা আমাকে রিকশা থেকে নামিয়ে বেধড়ক মারধর করে। পরে রাত ১২টার দিকে ভুক্তভোগী খিজির হায়াত খান নিজেই বাদী হয়ে দুইজনকে আসামী করে কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা দায়ের করেন।

প্রসঙ্গত, এর আগে গত (৮ মার্চ) পাঁচটার দিকে বসুরহাটের রূপালী চত্বরে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ের পাশে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা খিজির হায়াত খানের ওপর আবদুল কাদের মির্জা, তার ভাই সাহাদাত হোসেন ও ছেলে তাশিক মির্জার নেতৃত্বে হামলা চালানোর হয়। হামলার একপর্যায়ে খিজির হায়াতকে ওই কক্ষের ভেতর থেকে টেনে হিঁচড়ে বের করে আনা হয়। তারা এ সময় তাকে কিল, ঘুষি ও লাথি মারেন এবং পরনের পাঞ্জাবি ছিড়ে ফেলেন। ওই হামলায় খিজির হায়াতের সঙ্গে থাকা সাত-আটজন আহত হয়েছেন। তখন তিনি এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানায় মামলা করতে চাইলেও কাদের মির্জাকে প্রধান আসামি করায় মামলা নেয়নি পুলিশ। পরে এ ঘটনায় তিনি আদালতে একটি মামলা দায়ের করেন।