সংবাদ শিরোনাম ::
পাখি ধরতে গিয়ে নিখোঁজ, ৩দিন পর পুকুরে মিলল মাদরাসা ছাত্রের লাশ সুবর্ণচর দলিল লেখক সমিতির শোকসভা, দোয়া ও চেক হস্তান্তর বাসে যাত্রীকে মারধরের ভিডিও ভাইরাল, গ্রেপ্তার-২ ধীর গতিতে নামছে নোয়াখালীর পানি চাঁদা না পেয়ে ভূমিহীনদের চাষাবাদ বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগে মানববন্ধন আগাম বন্যায় দিশেহারা নোয়াখালীর মানুষ, বাড়ছে মহুরী নদীর পানি দুর্বৃত্তদের ছুরিকাঘাতে গুরুতর আহত আ.লীগ নেতার মা, চিকিৎসারত অবস্থায় মৃত্যু সালিশ বানিজ্য বা সন্ত্রাস-চাঁদাবাজির কোন সুযোগ নেই, সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে নোয়াখালী বিএনপি Widow gang-raped in the dead of night, 1 arrested গভীরে রাতে পুকুর পাড়ে নিয়ে বিধবাকে গণধর্ষণ, গ্রেফতার ১

নোয়াখালীতে ১৯জন ক্রেতা বিক্রেতাকে জরিমানা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১২:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০ ৪০০ বার পড়া হয়েছে
সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বিশ্বব্যাপি মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে  গত ১১এপ্রিল নোয়াখালী জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেছিল প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে গত কয়েকদিন আগে সীমিত পরিসরে দোকান-পাট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দেখা যায় মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রায় ৯০ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা সরকার প্রদত্ত শর্ত মেনে চলছেন না। ইতোমধ্যে নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮জন। সংক্রমণ বেড়েছে মারাক্তক আকারে। এমতাবস্থায় জনস্বার্থে ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর অনুরোধে জেলায় লকডাউন কঠোর করে প্রশাসন। প্রথমদিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশসহ আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। আটক, জরিমানা ও মুছলেকা নেওয়া হয়েছে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে।
শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার সদর, বেগমগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার খিলপাড়া বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ভূইয়া মার্কেটের চৌধুরী ফ্যাশন নামের একটি দোকানের সামনের অংশ বন্ধ করে ভিতরে ক্রয় বিক্রয় চলাকালে ভিতরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ওই দোকান থেকে অন্তত অর্ধশত ক্রেতাকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোকানের মালিককে ১৫হাজার টাকা ও ১৮জন ক্রেতাকে ২শ টাকা করে জরিমানা করা হয়। একইসাথে ৩৩জন নারী ক্রেতার কাছ থেকে মুছলেকাও নেওয়া হয়। ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা কুলছুম মনি।
অপরদিকে সরকারি নিষেধ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় জেলা শহর মাজইদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ ব্যবসায়ীকে আটক করে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ। পরে আগামীতে এমন ভূল করবে না মর্মে তাদের কাছ থেকে মুছলেকা নেওয়া হয়। এছাড়াও জেলার সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় গাড়ী নিয়ে বের হওয়ায় ৩৭টি সিএনজি ও অটোরিকশা আটক করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো আলমগীর হোসেন বলেন, জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগী। তাই জনগনের মধ্যে সচেতনতা জরুরি। যারা সরকারি নিষেধ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশের  চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জনস্বার্থে পুলিশের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য

Your email address will not be published. Required fields are marked *

আপনার ইমেইল এবং অন্যান্য তথ্য সংরক্ষন করুন

আপলোডকারীর তথ্য
ট্যাগস :

নোয়াখালীতে ১৯জন ক্রেতা বিক্রেতাকে জরিমানা

আপডেট সময় : ১২:১৩:০১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ মে ২০২০
নোয়াখালী প্রতিনিধিঃ
বিশ্বব্যাপি মহামারি আকার ধারণ করা করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব রোধে  গত ১১এপ্রিল নোয়াখালী জেলাকে লকডাউন ঘোষনা করেছিল প্রশাসন। স্বাস্থ্য বিধি মেনে গত কয়েকদিন আগে সীমিত পরিসরে দোকান-পাট খোলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে দেখা যায় মার্কেট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভিড়। প্রায় ৯০ভাগ ক্রেতা-বিক্রেতা সরকার প্রদত্ত শর্ত মেনে চলছেন না। ইতোমধ্যে নোয়াখালীতে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১০৮জন। সংক্রমণ বেড়েছে মারাক্তক আকারে। এমতাবস্থায় জনস্বার্থে ও নোয়াখালী-৪ আসনের সাংসদ একরামুল করিম চৌধুরীর অনুরোধে জেলায় লকডাউন কঠোর করে প্রশাসন। প্রথমদিনে জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশসহ আইন শৃংঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক তৎপরতা দেখা গেছে। আটক, জরিমানা ও মুছলেকা নেওয়া হয়েছে অনেক ক্রেতা ও বিক্রেতার কাছ থেকে।
শুক্রবার সকাল থেকে রাত পর্যন্ত জেলার সদর, বেগমগঞ্জ ও চাটখিল উপজেলায় এ অভিযান পরিচালনা করা হয়।
জানা গেছে, শুক্রবার সকালে চাটখিল থানার ওসি আনোয়ারুল ইসলামের নেতৃত্বে উপজেলার খিলপাড়া বাজারে অভিযান চালায় পুলিশ। এসময় ভূইয়া মার্কেটের চৌধুরী ফ্যাশন নামের একটি দোকানের সামনের অংশ বন্ধ করে ভিতরে ক্রয় বিক্রয় চলাকালে ভিতরে অভিযান চালানো হয়। অভিযানকালে ওই দোকান থেকে অন্তত অর্ধশত ক্রেতাকে আটক করা হয়। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে দোকানের মালিককে ১৫হাজার টাকা ও ১৮জন ক্রেতাকে ২শ টাকা করে জরিমানা করা হয়। একইসাথে ৩৩জন নারী ক্রেতার কাছ থেকে মুছলেকাও নেওয়া হয়। ভ্রাম্যামাণ আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মাহমুদা কুলছুম মনি।
অপরদিকে সরকারি নিষেধ অমান্য করে দোকান খোলা রাখায় জেলা শহর মাজইদীতে অভিযান চালিয়ে ৭ ব্যবসায়ীকে আটক করে সুধারাম মডেল থানা পুলিশ। পরে আগামীতে এমন ভূল করবে না মর্মে তাদের কাছ থেকে মুছলেকা নেওয়া হয়। এছাড়াও জেলার সরকারি নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে রাস্তায় গাড়ী নিয়ে বের হওয়ায় ৩৭টি সিএনজি ও অটোরিকশা আটক করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা পুলিশ।
নোয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো আলমগীর হোসেন বলেন, জেলায় প্রতিদিনই বাড়ছে করোনা রোগী। তাই জনগনের মধ্যে সচেতনতা জরুরি। যারা সরকারি নিষেধ অমান্য করবে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। জেলার বিভিন্নস্থানে পুলিশের  চেকপোস্ট বসানো হয়েছে। জনস্বার্থে পুলিশের এ অভিযান অব্যহত থাকবে।